
ওরা এলো শেষরাতে। মেঘনা তীরের গ্রামটি তখন নীরব, নির্জন। নিশ্চিন্ত গ্রামবাসী ছিল ঘুমে বিভোর। মাঝে মাঝে দুয়েকটা বাচ্চার কান্না শোনা যাচ্ছিল। দুঃস্বপ্ন দেখে কান্না করছিল ওরা। নদীতীরে থামলো ছোট একটি জাহাজ। চাঁদের আলোতে দেখা গেল জাহাজের পাটাতন বেয়ে মাটিতে নামছে বেশ কজন লোক। সবার হাতেই দেশীয় অস্ত্র। নিজেদের মধ্যে অচেনা ভাষায় কথা বলছে। দ্রুত গ্রামের দিকে এগিয়ে গেল তারা। একটু পর গ্রামের দিক থেকে ভেসে এল আতংকিত মানুষের চিৎকার ও কান্না। আরো কিছুক্ষণ পর আকাশে দেখা গেল লেলিহান শিখা। পুরো গ্রামে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে কেউ। ভোরের দিকে দলটা ফিরে এল। তাদের সাথে নিয়ে এসেছে প্রচুর জিনিসপত্র। গ্রামবাসীদেরকেও নিয়ে এসেছে বন্দী করে। পুরুষ-মহিলা নির্বিশেষ সবার হাতের তালু ছিদ্র করে দেয়া হয়েছে। সেখানে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে পাতলা বেত। এই বেত বেঁধে দেয়া হয়েছে অপর বন্দীর হাতে ঢুকানো বেতের সাথে। হাতের ক্ষত থেকে রক্ত ঝরছে। চোখে জমেছে অশ্রু। সবাইকে জাহাজে ওঠানো হলো। পাটাতনের নিচে ঢুকিয়ে ফেলা হলো সবাইকে। আগামী দুদিন তারা আর পৃথিবীর আলো-বাতাস দেখবে না। প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যায় তাদের এক মুঠো করে চাল দেয়া হবে। তা খেয়ে যদি বাঁচতে পারে, বেঁচে থাকবে। মরে গেলেও কোনো আপত্তি নাই। দুদিন পর সন্দ্বীপ পৌঁছবে এই জাহাজ। যারা জীবিত থাকবে তাদেরকে দাস হিসেবে ব্যবহার করা হবে। যারা মারা যাবে তাদের লাশ ফেলে দেয়া হবে সমুদ্রে। সূর্য মাথার উপর উঠতেই জাহাজটি পাল তুলে রওনা হলো সন্দ্বীপের দিকে। পেছনে রেখে গেলে মৃত্যুর চিহ্ন।
ষোড়শ ও সপ্তদশ শতাব্দীর বাংলায় এটি ছিল বেশ পরিচিত দৃশ্য। চট্টগ্রাম থেকে ফরিদপুর, সুন্দরবন থেকে যশোর, কোনো এলাকাই তখন নিরাপদ ছিল না। এসব এলাকার গ্রামে গ্রামে নিয়মিত হামলা করছিল জলদস্যুরা। জলদস্যুতার সূচনা করে মগরা, পরে তাদের সাথে এসে যুক্ত হয় পর্তুগিজরা। এই পর্তুগিজদের বড় অংশই ছিল দাগি অপরাধী। যাদেরকে তাদের নানা অপরাধের কারণে গোয়া এবং হুগলি থেকে বিতাড়ন করা হয়েছিল। শুধু অপরাধীরাই নয় বরং পাদ্রীরাও জড়িত ছিল এসব দস্যুতার সাথে। ফ্রেই ভিসেন্তে নামক একজন পাদ্রী ছিলেন দস্যুদলের নেতা।
যামিনীমোহন ঘোষ মগদের পরিচয় দিয়েছেন এভাবে–মগরা মূলত আরাকানের বাসিন্দা, যারা চট্টগ্রামের কাছাকাছি বসবাস করে। (১) ড. আহমদ শরিফও এই মত দিয়েছেন। আরাকানের এই বাসিন্দারা যখন পর্তুগিজদের সাথে হাত মিলিয়ে দস্যুতা শুরু করে তখন থেকেই তারা মগ নামে পরিচিত হয়ে ওঠে।
পর্তুগিজ জলদস্যুরা সন্দ্বীপ দখল করে জলদস্যুতা শুরু করে। তাদের সাথে জোট বাঁধে আরাকানি মগরা। এই দুয়ে মিলে গড়ে ওঠে এক নৃশংস জলদস্যু বাহিনী। যদিও তাদের মধ্যে নানা কোন্দল ছিল, এবং শেষদিকে পর্তুগিজরা মগদের থেকে পৃথক হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু টানা কয়েক দশক ধরে এই সম্মিলিত বাহিনী বাংলার মানুষের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছিল। পর্তুগিজ বংশোদ্ভুত এক ঐতিহাসিক লিখেছেন, সপ্তদশ শতকে পূর্ববংগে পর্তুগিজদের কর্মকাণ্ডের যতই নিন্দা করা হোক না কেন তা যেন তাদের অত্যাচার বর্ণনা করার জন্য মোটেও যথেষ্ট নয়। সে সময় তারা শয়তানের রাজত্ব কায়েম করেছিল। (২)

আরাকানের প্রাচীন মানচিত্র, ১৬১৮
বাংলায় মোগল শাসনের সূচনার দিকে, যখন বারো ভূঁইয়ারা দুর্বল ছিল এবং মোগলরাও নিজেদের ক্ষমতা শক্ত করতে পারেনি, সে সময় মগ জলদস্যুরা বেপরোয়া হয়ে উওঠে। মোগল আমলেই মগরা ঢাকায় তিনবার আক্রমণ করে। ১৬১৪ খ্রিস্টাব্দের ডিসেম্বরে আরাকান রাজা ও পর্তুগিজ জলদস্যু গঞ্জালেসের সম্মিলিত বাহিনী ভুলুয়া আক্রমণ করে। ভুলুয়ার মোগল থানাদার আব্দুল ওয়াহিদ তাদের প্রতিহত করতে না পেরে পিছু হটেন। জলদস্যুদের বাহিনী ব্যাপক লুটতরাজ চালায়। তারা ডাকাতিয়া নদী পর্যন্ত পৌঁছে যায়। পরে জলদস্যুদের দুই গ্রুপের মধ্যে বিবাদ শুরু হলে তারা পিছু হটে।
১৬২০ খ্রিস্টাব্দে মগরা ঢাকা শহরে ব্যাপক হামলা চালায়। সে সময় সুবাদার ইবরাহিম খান ফতেহজং বীরত্বের সাথে তাদের প্রতিহত করেন। এই পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে মগরা ১৬২১ খ্রিস্টাব্দে বরিশালের শাহবাজপুরে হামলা করে। ইবরাহিম খান দ্রুত তার নৌবহর নিয়ে তাদের আক্রমণ করেন। মগরা পালিয়ে যশোরের দিকে চলে যায় এবং সেখান থেকে প্রায় ১৫০০ নারী-পুরুষকে বন্দী করে। ১৬২১-১৬২৪ খ্রিস্টাব্দে মগ-ফিরিংগিদের হাতে প্রায় ৪২০০০ মানুষ বন্দী হয়। পর্তুগিজরা এদের মধ্যে ২৮ হাজার জনকে খ্রিস্টান ধর্মে দীক্ষিত করে। বাকিদেরকে দাস হিসেবে বিক্রি করা হয়। ১৬২৫ সালে মগরাজ শ্রীসুধর্ম ঢাকায় আক্রমণ করলে ঢাকার মোগল সুবাদার খানজাদ খান আতংকে ঢাকা ছেড়ে রাজমহলে পালিয়ে যান। মগরা বিজয়ীর বেশে ঢাকা শহরে প্রবেশ করে। তিনদিন ধরে তারা শহরে চালায় নির্মম লুণ্ঠন ও হত্যা। সুবাদারের প্রাসাদ মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়া হয়। ফেরার সময় মগদের সঙ্গী হয় অসংখ্য যুদ্ধবন্দী ও বিপুল ধন-সম্পদ।
মগদের আক্রমণে উপকূলীয় অঞ্চলগুলো জনশূন্য হয়ে পড়ে। ফরাসি পর্যটক বার্নিয়ের লিখেছেন, মগ জলদস্যুদের আক্রমণে সমুদ্র উপকূলীয় অনেক দ্বীপ এখন জনশূন্য। এখন এই সব দ্বীপ দেখলে মনেই হয় না এককালে এখানে লোকালয় ছিল। ধূ ধূ করছে জনমানবশূন্য এসব গ্রাম। (৩)
মগ দস্যুদের অত্যাচারে গ্রামের পর গ্রাম মানবশূন্য হয়ে পড়ে। রাতের বেলা নদীর দুই তীরে থাকত ঘন অন্ধকার। বাতি জ্বালানোর মতো কেউ ছিল না। মগদের হামলা থেকে বেঁচে গেলেও নিস্তার ছিল না। হিন্দু সমাজে তাকে অস্পৃহ ঘোষণা করা হত। বিশেষ করে মগদের হাত থেকে পালিয়ে আসা হিন্দু মহিলাদের সমাজ গ্রহণ করতো না। তাদেরকে মগ-পরিবাদ বলে ডাকা হত।
মগরা হামলা করতো নদীপথে। যেখানে নদী নেই সেখানে তারা হামলা করতো না। তবে বর্ষাকালে বাংলার ফসলের মাঠ আর নদী সব পানিতে ভেসে যেত ফলে তখন তারা আরো ভেতরে প্রবেশের সুযোগ পেত। বিশেষ করে বিয়ে বা অন্য উৎসবের দিনে তারা হানা দিত। নগদ অর্থের হাতছানি, সাথে অনেককে বন্দী করার সুযোগ। এসব বন্দীকে তারা নিজেদের এলাকায় চাষের কাজে লাগাতো কিংবা অন্যদের কাছে বিক্রি করে দিত। যাত্রাপথে বন্দীদের খাবার দেয়া হত না। শুধু সকাল আর সন্ধায় এক মুঠো চাল দেয়া হত। ঐতিহাসিক শিহাবুদ্দিন তালিশ মগ দস্যুদের এসকল নির্যাতনের মর্মস্পর্শী বিবরণ দিয়েছেন।
জলদস্যুদের হাতে বন্দী হয়েছিলেন মহাকবি আলাওল। চট্টগ্রাম থেকে আরাকান যাত্রাকালে মগদের হামলায় তার পিতা নিহত হন। তাকে বন্দী করে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি নিজের কবিতায় এই অভিজ্ঞতা এভাবে ব্যক্ত করেছেন–
কার্য্যহেতু যাইতে পন্থে বিধির ঘটন,
হার্মাদের নৌকা সংগে হৈল দর্শন। (৪)

ইদ্রাকপুর দুর্গ
১৬৬০ খ্রিস্টাব্দে বাংলার সুবাদার মীর জুমলা ইদ্রাকপুর দুর্গ নির্মাণ করেন। এটি বর্তমান মুন্সিগঞ্জ জেলায় অবস্থিত। এই দুর্গ নির্মাণের উদ্দেশ্য ছিল মগ ও পর্তুগিজ জলদস্যুদের হাত থেকে শহরবাসীকে রক্ষা করা। এই দুর্গের তিন কিলোমিটার এলাকার মধ্যেই রয়েছে চারটি নদী। ইছামতি, ধলেশ্বরী, শীতলক্ষ্যা, মেঘনা। এই নদী পথে মগরা নিয়মিত হামলা চালাত।

মীর জুমলা
মগদের দমন করার চুড়ান্ত পদক্ষেপ নেন শায়েস্তা খান। ১৬৬৪ সালে ক্ষমতায় এসেই তিনি মগদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেন। সে সময় চট্টগ্রামে ছিল মগদের মূল ঘাটি। আলাউদ্দিন হুসেন শাহের আমলে চট্টগ্রাম মুসলিম শাসকদের অধীনে আসে। পরে আফগান-মোগল দ্বন্দ্বের সময় আরাকানের রাজা চট্টগ্রাম দখল করে নেন। সেই থেকে এটি ছিল মগদের শক্তিশালী কেন্দ্র। তাদের হাতে ছিল প্রচুর জলবা। এগুলো ছিল দ্রুতগামী যুদ্ধজাহাজ। শায়েস্তা খান জানতেন মগদের সাথে ফিরিংগিদের সম্পর্কের কথা। তাই তিনি প্রথমে কূটনৈতিক কৌশলের মাধ্যমে ফিরিংগিদের সরিয়ে নিলেন। এমনকি ফিরিংগিদের একাংশকে নিজের বাহিনীতেও সম্পৃক্ত করে নিলেন। মগরা একা হয়ে গেল। তবে তাদের সাহায্যে ছিল আরাকানরাজ। তার স্বার্থ ছিল এখানে। কারণ মগরা বাংলা থেকে যে সম্পদ লুট করতো তার একটা ভাগ তাকেও দেয়া হত।

শায়েস্তা খাঁ
চট্টগ্রাম জয়ের জন্য শায়েস্তা খানকে সন্দ্বীপ দখল করতে হবে। এটা তিনি ভালো করেই জানতেন। ১২ নভেম্বর ১৬৬৫ খ্রিস্টাব্দে শায়েস্তা খানের বাহিনী সন্দ্বীপ দখল করে। এরপর ঢাকা, নোয়াখালী ও ফেনী থেকে তিনটি মোগল সেনাদল এগিয়ে যায় চট্টগ্রামের দিকে। শায়েস্তা খান এই অভিযানকে খুবই গুরুত্বের সাথে নিয়েছিলেন। তিনি নিজে সারাদিন বাহিনীর তদারকি করতেন। ফেনী নদী দিয়ে মোগল বাহিনী রওনা হয়। ঘন জংগল কেটে সাফ করা হয় বাহিনীর চলার সুবিধার্থে। ২৩ জানুয়ারী, ১৬৬৬ খ্রিস্টাব্দে সীতাকুণ্ডের কুমিরার কাছে মগদের সাথে মোগল বাহিনীর সরাসরি সংঘর্ষ হয়। মগদের প্রায় ৫৫টি যুদ্ধজাহাজ ছিল। সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে সমুদ্রে। তীব্র বাতাসে যুদ্ধজাহাজগুলো কাত হয়ে যাচ্ছিল, এর মধ্যেই একে অপরের প্রতি গোলাবর্ষণ করছিল। সারাদিন তীব্র লড়াইয়ের পর পরদিন তারা পিছু হটে কর্ণফুলী নদীতে প্রবেশ করে। তাদের সহায়তায় নতুন বাহিনী এগিয়ে আসে। মগদের ধাওয়া করে মোগল বাহিনী। তীব্র লড়াইয়ের পর মগরা এখানে পরাজিত হয়। তাদের প্রচুর সেনা নিহত হয়, অনেকে বন্দী হয়। তাদের ১৩৫টি যুদ্ধজাহাজ মোগলদের হস্তগত হয়। এই যুদ্ধের পর মগরা পালাতে থাকে। তাদের কয়েকটি দুর্গ মোগলদের হাতে আসে। বাঁশ ও কাঠনির্মিত এসব দুর্গে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। এ সময় প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র ও কয়েকটি হাতি মোগলদের হাতে আসে। অসংখ্য অপহৃত কৃষককে এসব কেল্লা থেকে উদ্ধার করা হয়। জীবিত মগরা পালাতে থাকে। এসময় মুসলমান কৃষকদল, যারা মগদের হাতে বন্দী ছিল, তারা নির্বিচারে মগদের হত্যা করতে থাকে। এক মগ নেতার দুই হাত কেটে মোগল সেনাপতির সামনে নিয়ে আসা হয়।
২৭ জানুয়ারী উম্মেদ খান সাধারণ ঘোষণা দ্বারা জানমালের নিরাপত্তা ঘোষণা করেন। মগদের ধাওয়া করার জন্য মীর মুর্তজার অধীনে আরেকটি বাহিনী প্রেরণ করা হয়। এই বাহিনী মগদের ধাওয়া করে কক্সবাজারের রামুতে পৌঁছে যায়। এই এলাকা ছিল আরাকান রাজার ভাই রাউলির অধীনে। তার কাছে থেকে এই এলাকা ছিনিয়ে নেয়া হয়। বহু মুসলমানকে এখানে বন্দী করা হয়েছিল। তাদেরকে উদ্ধার করা হয়। ঢাকা থেকে যাত্রা শুরু করে চট্টগ্রাম দখল পর্যন্ত পুরো অভিযানে সময় লেগেছিল এক মাস দুই দিন। এই যুদ্ধের পর মগরা আর কখনোই তাদের হারানো শক্তি ফিরে পায়নি। ২৯ জানুয়ারী ১৬৬৬ খ্রিস্টাব্দে শায়েস্তা খানের কাছে বিজয়ের সংবাদ পৌঁছে। তিনি আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করেন। গরিবদের মাঝে দুহাতে দান-সদকা করেন। সেনাবাহিনীর সদস্যদের উত্তম পোষাক ও হাতি-ঘোড়া উপহার দেন। (৫)
শায়েস্তা খানের এই অভিযানের পর মগরা আর কখনোই তাদের হারানো শক্তি ফিরে পায়নি। চট্টগ্রামের উপরও তাদের নিরংকুশ আধিপত্য বজায় রাখতে পারেনি। তবে এর পরেও দুয়েকবার তারা হামলা করেছিল। ১৭১৭ খ্রিস্টাব্দের ফেব্রুয়ারী মাসে তারা সমুদ্র উপকূল এলাকায় হামলা করে প্রায় ১৮০০ মানুষকে বন্দী করে নিয়ে যায়। ১৭৭৮ খ্রিসাব্দে নোয়াখালীর ভুলুয়াতে লবনচষীরা মগদের আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্থ হন।
মগ দস্যুরা অতীতের অংশ হয়ে গেছে। তবে রয়ে গেছে তাদের নির্যাতনের দুঃসহ স্মৃতি। সমুদ্র উপকূলের জনপদগুলোতে কান পাতলে শোনা যায় নির্যাতিতদের আর্তনাদ। এখনো সুন্দরবনের ভেতর বয়ে চলা বাতাসে শোনা যায় মগদের পালটানা জাহাজের খসখসে শব্দ।
লেখকঃ ইমরান রায়হান
সূত্র
১। Magh Raiders In Bengal, p-17 – jamini mohan ghosh. Bookland private limited, allahabad
২। হিস্টরি অব দ্য পর্তুগিজ ইন বেংগল, পৃ. ১৪৮- জোয়াকিম জোসেফ এ ক্যাম্পোস। দিব্যপ্রকাশ, ঢাকা।
৩। মোগল সাম্রাজ্যের পথে পথে, পৃ. ২১৫ – এনায়েত রসুল। স্বরবৃত্ত প্রকাশন, ঢাকা
৪। বঙ্গে মগ ফিরিঙ্গি ও বর্গির অত্যাচার, পৃ. ২১- মুহাম্মদ আবদুল জলিল। বাংলা একাডেমি, ঢাকা
৫। মুঘল আমলে বাংলায় মুসলিম শাসনের ইতিহাস, পৃ. ১৩৫-১৪২- ডক্টর মুহাম্মদ মোহর আলী। মেধা বিকাশ প্রকাশন, ঢাকা