সপ্তম শতকে উত্তর আফ্রিকায় ইসলামের বিজয়ের পর নতুন এই ধর্মটি পশ্চিম আফ্রিকার বিভিন্ন দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। আর ইসলামের এই প্রসার হয় আরব বণিক, বুদ্ধিজীবী ও মুসলিম মিশনারীদের হাত ধরে। এসময় আফ্রিকার শাসকগণ আরবদের এই ইসলাম প্রসারে কোন ধরণের বাধা প্রদান করেননি। নতুন এই ধর্মের প্রতি হয় তারা সহিষ্ণুতা দেখিয়েছেন নতুবা নিজেরাই ইসলামে দীক্ষিত হয়ে এই অঞ্চলের ইতিহাসই বদলে দিয়েছেন। এভাবে সাহারা মরুভূমি ও তার আশেপাশের অঞ্চলগুলো ইসলামের স্পর্শে আসে। আরব বণিকগণ যখন লোহিত সাগর অতিক্রম করে তখন পূর্ব আফ্রিকায় ইসলাম প্রবেশ করে। সেইসময় এই অঞ্চলের সাহিল উপকূল হয়ে উঠেছিল মুসলমানদের প্রধান কেন্দ্র হিসেবে। প্রথমদিকে আফ্রিকায় ইসলামের প্রচার শান্তিপূর্ণভাবেই সংঘটিত হয়। কিন্তু ১৪ শতকে এসে সামরিক অভিযানের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। খ্রিস্টান রাজ্য নুবিয়ার (তৎকালীন উত্তর সুদান ও দক্ষিণ মিশর নিয়ে গঠিত রাজ্য) বিরুদ্ধে মুসলিমরা সপ্তম শতকের পর এই প্রথম কোন সামরিক অভিযান চালায়। ১৮ শতকে পশ্চিম আফ্রিকার আদিবাসী জাতি মুসলিম ফুলানি লেক শাদ অঞ্চলে একটি পবিত্র যুদ্ধের সূচনা করে। সামরিক অভিযান সমকালীন অনেকসময় মুসলিমরা আফ্রিকান স্থানীয় ধর্মীয় গোষ্ঠীর তোপের মুখে পড়তেন এবং ক্ষেত্রবিশেষে তাদের সাথে যুদ্ধও করতে হতো।
এই সাময়িক যুদ্ধবিগ্রহ বাদ দিলে ছয় শতাব্দীব্যাপী এ অঞ্চলে শান্তিপূর্ণভাবে ইসলাম ছড়িয়ে পড়ে। আফ্রিকায় যে ইসলামের আগমন ঘটেছিল সেই ইসলাম ছিল আরবের ইসলাম থেকে আলাদা। শত বছরের আফ্রিকান প্রথা ও সংস্কৃতিকে উপেক্ষা করতে পারেনি মুসলমানদের এই ধর্ম। ফলে দেখা যায় প্রাচীন আফ্রিকান সংস্কৃতি ও প্রথার চর্চা ইসলাম পরবর্তী সময়েও অব্যাহত থাকে। তবে ইসলামের ব্যাপারে আফ্রিকান রাজনৈতিক নেতারা এক ইতিবাচক ধারণা পোষণ করতেন। আফ্রিকান প্রথা ও সংস্কৃতির বর্তমানতার পাশাপাশি নতুন এই মুসলিম আফ্রিকায় ইসলাম নিয়ে আসে প্রশাসনিক আইন, নৈতিক ও অর্থনৈতিক ধারণা, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতির মত দৈনন্দিন জীবনের ব্যাপক চর্চিত বিষয়। ফলে ইসলাম শুধু ধর্মের বাইরে গিয়ে একটি জীবনব্যবস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়। আর এই ধারণাকে গ্রহণ করতে আফ্রিকান শাসক ও অভিজাতরা অনীহা প্রকাশ করেনি। কারণ তারা বুঝতে পেরেছিল সরকার ও রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার পাশাপাশি নতুন অর্থনৈতিক ব্যবস্থা এই অঞ্চলে প্রয়োজনীয় যা ইসলাম সরবরাহ করতে পেরেছিল।
মধ্যপ্রাচ্য থেকে উত্তর আফ্রিকায় দামেস্কের উমাইয়া খিলাফতের সামরিক অভিযানের মাধ্যমে ইসলাম নিজের শক্ত অবস্থান প্রতিষ্ঠিত করার পর অষ্টম শতকে এই ধর্ম ইসলামী বার্বারদের কাছে পশ্চিম আফ্রিকার আড়াআড়িভাবে থাকা বাণিজ্য পথ হয়ে পৌঁছে যায়। এরপর মধ্য আফ্রিকার পূর্ব উপকূল থেকে শেষে লেক শাদে গিয়ে পৌঁছায়। ইতোমধ্যে ইসলাম মিশর হয়ে তারপর সুদান এবং তারপর সাহারা মরুভূমির নিম্নাঞ্চলে প্রবেশ করে। ইসলাম প্রসারের তৃতীয় ঢেউ এই ধর্মকে আফ্রিকার পূর্ব উপকূলে নিয়ে আসে। আরব সাগর ও পারস্য উপসাগর হয়ে ইসলাম প্রবেশ করে হর্ন অফ আফ্রিকা ও সাহিল উপকূলে। একটা সময় ইসলাম সাব সাহারার সাভানা অঞ্চলে বিস্তার লাভ করে। সেখানকার অভিজাতরা ইসলামকে স্বাগতম জানায়৷ তথাপি আফ্রিকান প্রাচীন প্রথা ও ধর্মীয় রীতিনীতি বেশকিছু জায়গায় অক্ষত থাকে কিংবা ইসলামের বিধানের সাথে মিশে নতুন এক মিশ্র জীবনব্যবস্থার উদ্ভব হয়।
মুসলিম বণিকদের যেহেতু আফ্রিকার দুর্গম অঞ্চলসমূহেও অবাধ যাতায়াত ছিল ফলে এসব স্থানেও ইসলামের বিস্তার ঘটতে থাকে। একটি সাম্রাজ্য থেকে আরেকটি সাম্রাজ্যে ইসলাম স্রোতধারার মত অগ্রসর হয়। ৯৮৫ খ্রিস্টাব্দে মালির গাও শহর হয়ে দশম শতাব্দীর শেষ নাগাদ ঘানা সাম্রাজ্যে ইসলামের উত্থান হয়। এখান থেকে আবার তেরো শতকে সর্বপূর্বের মালি সাম্রাজ্য এবং পনেরো শতকে সোংগাই সাম্রাজ্যে (আধুনিক মৌরিতানিয়া ও মালি নিয়ে গঠিত সাম্রাজ্য) ইসলাম নিজের অস্তিত্ব জানান দেয়৷ দশম শতাব্দীর শুরুতে কানেম সাম্রাজ্য (আধুনিক শাদের প্রাচীন সাম্রাজ্য) ও ১২ শতকের নগররাষ্ট্র হাউসাল্যান্ড ইসলামকে গ্রহণ করলে সাহারা মরুভূমির নিম্নাঞ্চলীয় সব দেশে ইসলামের বিস্তার সম্পূর্ণ হয়।
কিন্তু পূর্ব আফ্রিকায় এসে আবার ভিন্ন এক বাস্তবতার মুখোমুখি হয় ইসলাম ও মুসলমানরা। এসময় ইথিওপিয়ায় গড়ে উঠেছিল শক্তিশালী খ্রিস্টান সাম্রাজ্য। কিংডন অফ আক্সুম ও নুবিয়া ইসলামকে মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুত হয়। এই অঞ্চলের খ্রিস্টান রাজ্যকে পদানত করতে তখন সংকল্পবদ্ধ হয় মিশরের মামলুক সালতানাত। ১৪ শতকের দিকে যখন মামলুক সালতানাত পূর্ব আফ্রিকায় প্রতিদ্বন্দ্বী খ্রিস্টান সাম্রাজ্যকে বশীভূত করতে সামরিক হস্তক্ষেপের চিন্তাভাবনা করছে ঠিক তখন মুসলিম বিশ্বে তাদের জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। গর্বিত এই সাম্রাজ্য নিজেদের দায়িত্বশীলতার জায়গা থেকে এবং নিজেদের গৌরব বৃদ্ধি করতে নুবিয়া ও কিংডম অফ আক্সুমে সামরিক অভিযান চালায়। এই অভিযানে সাম্রাজ্যগুলোর পতন হয়। শুধুমাত্র কিংডম অফ আবিসিনিয়া (ইথিওপিয়া) ছাড়া এ অঞ্চলে ইসলামের প্রসার আবারো পাকাপোক্ত হয়। হর্ন অফ আফ্রিকায় পত্তন হয় দুই সমৃদ্ধ মুসলিম নগররাষ্ট্র আদাল সালতানাত ও আজুরান।
সাহিল উপকূলের দূরতম পূর্বে ইসলাম ব্যাপক সফলতা লাভ করে। অষ্টম শতাব্দীর মাঝামাঝি সময় থেকে আরব ও মিশরের মুসলিম বণিকরা সাহিল উপকূলের বিভিন্ন শহরে স্থায়ীভাবে এসে বসবাস করতে শুরু করে। স্থানীয় আফ্রিকানদের সাথে মুসলিমদের বৈবাহিক সম্পর্ক ও ভাষার আদান প্রদানের দরুন সাহিলে একটি ভিন্নধর্মী মিশ্র সংস্কৃতির পত্তন হয়। ১২ শতক থেকে ইসলাম আরো দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় যখন পারস্য উপসাগর হয়ে ইরানের সিরাজ শহরের বণিকরা আফ্রিকার উপকূলে বাণিজ্য করতে আসে। এভাবে সাহিল উপকূলে সমৃদ্ধ মুসলিম সংস্কৃতির জন্ম হয়। পরবর্তীতে একটা সময় এই বলে পরিচিত হয় যে, একজন সাহিলী অবশ্যই একজন মুসলিম হবেন। তবে একথা সত্য যে, উপকূল জুড়ে ইসলাম প্রভাবশালী হলেও পূর্ব আফ্রিকার মূল স্থলভাগে মানুষের কাছে ধর্ম হিসেবে ১৯ শতকের আগ পর্যন্ত খুব কম প্রভাবই রাখতে পেরেছিল। মুসলমানরা খ্রিস্টানদের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে পারলেও নুবিয়ার প্রাচীন ভাবধারার আরও অনেকই ছিল ইসলামের প্রতিপক্ষ। তারা নতুন আসা এই ধর্মকে মেনে নিতে পারেনি। এদের মধ্যে মোসী নামের এক জাতি ইসলামের ঢেউ প্রতিহত করার জন্য যুদ্ধে নামে। মোসীরা নাইজার নদীর দক্ষিণাঞ্চল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছিল। তারা ১৫ শতকের শুরুর দিকে মালি সাম্রাজ্যের সমৃদ্ধ বাণিজ্যিক শহর তিমবুক্তু আক্রমণ করে৷ একইসময় আফ্রিকার পূর্ব ও পশ্চিম উপকূলে পর্তুগিজ খ্রিস্টানদের আগমন ঘটে। তারাও এ অঞ্চলে ইসলামের প্রসার রুখে দেয়ার জন্য সংকল্পবদ্ধ হয়। আফ্রিকার পশ্চিম উপকূলে ইউরোপীয়দের বাণিজ্যিক আধিপত্যের কারণে এ অঞ্চলে খ্রিস্ট ধর্মের প্রসার ঘটে। এর মধ্যে কিংডম অফ কঙ্গো খ্রিস্টানিটি গ্রহণ করে। ১৬ শতক থেকে সাহিল উপকূলে ইসলামের প্রভাব হুমকির মুখে পড়ে।
ঠিক কী কারণে আফ্রিকা এত দ্রুত ইসলাম গ্রহণ করল?
আধ্যাত্মিক উদ্দেশ্য বাদ দিলে আফ্রিকায় ইসলামের দ্রুত প্রসারের পেছনে বাণিজ্যিক কারণকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেছেন অনেক ইতিহাসবিদ। আফ্রিকায় ইসলাম প্রভাবশালী হওয়ার প্রাক্বালে এই মহাদেশের উপকূল জুড়ে মুসলমানদের বাণিজ্যিক তৎপরতা ছিল ব্যাপক। আফ্রিকান নেতারা মনে করেছিলেন ইসলামকে গ্রহণ করলে অথবা নিদেনপক্ষে সহনশীল হলে তা ব্যবসার ক্ষেত্রে অনুকূল হবে। কেননা সমকালীন ভূবাণিজ্যিক অবস্থা বিচার করলে ইসলাম ও ব্যবসার খুব দৃঢ় সম্পর্ক দেখতে পাওয়া যায়। যেমন, ঘানা সাম্রাজ্যের রাজারা নিজে ধর্মান্তরিত হওয়ার উদাহরণ পাওয়া যায় না। কিন্তু তারা মুসলিম ব্যবসায়ীদের প্রতি সহনশীল ছিলেন এবং যারা মুসলিম হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করতেন তাদেরও খুব একটা বাধা দিতেন না। এগারো শতকের মধ্যভাগে ঘানার রাজধানী শহর দুইটি স্বতন্ত্র ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছিল। যার একটি অংশ ছিল মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ আর আরেকটি ছিল ঘানার স্থানীয় বিশ্বাসী লোকদের সংখ্যাগরিষ্ঠ। ভিন্নধর্মী চিত্র পাওয়া যায় আবার মালি সাম্রাজ্যে। সেখানকার রাজারা নিজে ইসলাম গ্রহণ করেন। মক্কা ও মদিনায় হজ্ব পালন করার জন্য অনেকে মালি সাম্রাজ্য ত্যাগ করে। কায়রো, মক্কা, মদিনা ইত্যাদি শহর থেকে মালিতে আসেন ইসলামি স্কলার, স্থপতি। নিয়ে আসা হয় প্রচুর বইপত্র। মসজিদ ও কোরান ভিত্তিক স্কুল এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় মালি জুড়ে । ধর্মান্তর বৃদ্ধি পেলে আরও মুসলিম স্কলার ভিনদেশ থেকে আফ্রিকায় আসেন। একসময় ইসলাম পশ্চিম আফ্রিকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। নেটিভ আফ্রিকানরা ধর্মান্তরিত হয়ে একসময় স্কলার এমনকি সূফী দরবেশে পরিণত হয়। একটা সময় দেখা যায়, ইসলাম কোন ভিনদেশী ধর্মের খোলস থেকে বেরিয়ে শতভাগ আফ্রিকান অরিজিন ধর্মতে রূপান্তরিত হয়।
প্রাচীন লোকবিশ্বাসের আড়ালে ইসলাম
এই মহাদেশে ইসলামের ব্যাপক প্রসার হলেও ধর্মচর্চার ব্যাপারে অনেক প্রাচীন রীতিনীতি ঢুকে যায় এখানে। ইসলামে প্রাচীন আদিবাসী বিশ্বাস আর চর্চার এমন সম্মীলনের প্রমাণ পেয়েছিলেন পর্যটক ইবনে বতুতা। ১৩৫২ সালে মালি ভ্রমণের সময় তিনি এই বিষয়টির কথা উল্লেখ করেছেন তার বর্ণনায়। এছাড়া প্রথমদিকে ইসলাম চর্চা হতো আরবি ভাষায়। ফলে সাধারণ শ্রেণীর মধ্যে বোধগম্যতার দিক থেকে একটু অসুবিধা হতো। যার কারণে গ্রামীণ সমাজব্যবস্থায় ইসলাম ততোটা জনপ্রিয় হতে পারেনি। ইসলামে প্রাচীন আফ্রিকান রীতিনীতির বর্তমানতার পেছনে দায়ী করা যেতে পারে সে অঞ্চলের শাসকদের। তারা নিজেরা চাননি যে আফ্রিকান প্রাচীন প্রথার চর্চা রহিত করে জনমনে দ্বিধার সৃষ্টি হোক যেহেতু এটি একটি ঐতিহাসিক ব্যাপার ছিল। এমনকি ইসলাম যেখানে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় ছিল সেই সাহিল উপকূলেও নওমুসলিমরা খারাপ আত্মাকে খুশি করতে অনুষ্ঠানাদি করতো।
সাংস্কৃতিক প্রভাব
সবকিছু ছাপিয়ে ধীরে ধীরে আফ্রিকায় ইসলাম প্রভাবশালী হতে লাগলো। ইসলামের প্রভাবে আফ্রিকায় সাংস্কৃতিক পরিবর্তন ব্যাপকভাবে দৃশ্যমান হয়। এসময় কিছু গোষ্ঠীর আগের প্রতিপত্তি কমে যায়। ইসলাম আগমনের পূর্বে কামার সম্প্রদায় এই মহাদেশে বিশেষ সম্মান লাভ করতো। তাদের কর্ম নিপুণতাকে আফ্রিকানরা শ্রদ্ধা ও সমীহভরে কল্পনা করতো। এছাড়া খনিতে কাজ করা শ্রমিকদেরও তারা বিশেষ ক্ষমতাশালী মানুষ মনে করতো। ইসলামের সাম্য ও সমতার বাণী ও একত্ববাদী চেতনা এমন মূল্যায়নকে ব্যর্থ করে দেয়। নারী অধিকারের বিষয়েও পরিবর্তন সূচিত হলো। ইসলামী স্থাপত্য হিসেবে মসজিদের পত্তন হলো৷ যেখানেই মুসলিম সেখানেই মসজিদ; এভাবে আফ্রিকায় নতুন এক স্থাপত্যরীতির উন্মেষ ঘটে। লেখনী, সংখ্যার ধারণার প্রয়োগ, গণিত, পরিমাপন পদ্ধতি মুসলমানদের হাত ধরে এই মহাদেশে বহুলাংশে চর্চিত হতে থাকে। মুসলিম স্কলার, মিশনারী ও পর্যটকদের দ্বারা সংরক্ষিত ও রচিত হতে থাকে আফ্রিকার ইতিহাস। যা পরবর্তীতে প্রাচীন আফ্রিকার ইতিহাস পাঠে এক গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাসের সূচনা করে।