প্রায় ১৪০০ বছর আগের কথা। অ্যাংলো-স্যাক্সনদের যুগ। অ্যাংলো-স্যাক্সনরা ছিলো যুদ্ধবাজ জাতি। ১০৬৬ সাল পর্যন্ত ইংল্যান্ড শাসন করা অ্যাংলো-স্যাক্সনরা মূলত জার্মানি থেকে ইংল্যান্ডে এসে ঘাঁটি গেঁড়েছিলো ৪১০ সালে। আর তখন থেকেই যুক্তরাজ্যের নাম হয় ‘ইংল্যান্ড’, যার অর্থ ‘অ্যাংলোদের দেশ’।
সময়টা তখন গুরুত্বপূর্ণ। প্যাগানিজম ছেড়ে মানুষ ধীরে ধীরে খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করছিলো। প্রাচীন রীতি-নীতি নতুন ধর্মের ধারার সাথে মিলেমিশে সহাবস্থান শুরু করেছিলো। ইউরোপের পৌত্তলিক ঐতিহ্য যুক্ত হয়েছিলো খ্রিস্টান ধর্মের নতুন ধারার সঙ্গে। শুরুর দিকে খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করা এমনই একজন ক্ষমতাবান অ্যাংলো-স্যাক্সন রাজা ছিলেন রেডওয়াল্ড। আনুমানিক ৬২৪ সালের দিকে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
৬২৪ সাল। সাটন হু-তে একদল লোক একত্রিত হয়েছেন। তাদের রাজাকে শেষ বিদায় জানাতে এসেছেন তারা। বিশাল এক নৌকায় ধন-সম্পদসমেত রাজার মৃতদেহকে বয়ে আনা হয়েছে। বহুদূর থেকে নৌকাটিকে টেনে আনা হচ্ছে। সম্মানিত রাজাকে সাটন হু-তে সমাধিস্থ করা হবে। হাজার হাজার লোক রাজাকে শেষ বিদায় জানাতে জড়ো হয়েছিলেন সেখানে। ভীষণ ভালোবাসতেন তারা রাজাকে। নদীর বুকে নৌকা দিয়ে চলার সময় দূর থেকে রাজার সমাধি দেখতে পেলে শ্রদ্ধায় অবনত হয়ে যেতো তাদের মাথা। সাটন হু-তে সমাধিস্থ হওয়া এই রাজাই কি রেডওয়াল্ড, নাকি অন্য কেউ? এর উত্তর সম্পর্কে আমরা এখনো নিশ্চিত নই।
১৯২৬ সাল। প্রাণোচ্ছ্বল দম্পতি ফ্রাঙ্ক এবং এডিথ প্রিটি নিজেদের নতুন সংসার গড়ে তোলার জন্য দক্ষিণ ইংল্যান্ডের সাফোক উপকূলে এক অদ্ভূত ও মায়াময় জায়গা পছন্দ করলেন। তাদের বাড়ির সামনে ছিলো কতোগুলো ঢিবি। বেশ মনোমুগ্ধকর আর রোমান্টিক পরিবেশ সেখানে। তবে এলাকাটি নিয়ে নানা রকম অদ্ভূত ও মুখরোচক গল্প কানে আসতে লাগলো তাদের। আজও যে মানুষ কুসংস্কার ও অন্ধবিশ্বাসের গোলকধাঁধাঁয় পড়ে রয়েছে, ভাবতে অবাক লাগে দুজনের। তবে জায়গাটির প্রতি মুগ্ধতা তাদের মনের জোরকে বাড়িয়ে দেয়। সাটন হু নামে পরিচিত সেই স্থাবর সম্পত্তিটি কিনে ফেলেন তারা।
খুব সুন্দর কোনো চলচ্চিত্রের মতো সুখেই কেটে যাচ্ছিলো তাদের জীবন। তবে সুখ বেশি দিন স্থায়ী হলো না। ১৯৩৪ সালে পাকস্থলীর ক্যান্সারে ভুগে ফ্রাঙ্ক অকালে মারা গেলেন। নয় বছরের সুখের সংসার নিমিষেই শেষ হয়ে গেলো এডিথের। বিশাল এই বাড়িতে এখন তিনি কি করবেন, ভেবে পাচ্ছেন না। এতো স্মৃতিবিজড়িত জায়গাটি ছেড়ে যেতেও ইচ্ছে করে না তার। শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নিলেন যে, এখানেই থাকবেন তিনি।
স্বামীর অনুপস্থিতিতে মন সবসময় ভারাক্রান্ত থাকতো এডিথের। অস্থিরতা বাজেভাবে পেয়ে বসে তাকে। মনের শান্তির জন্য তিনি স্বামীর মৃত্যুর পর আধাত্মিকতার দিকে ঝুঁকে পড়লেন। তখনকার অবস্থাপন্ন নারীদের জাদুবিদ্যার প্রতি ভীষণ কৌতূহল। এডিথও বাদ গেলেন না এ থেকে।
এর মাঝে নতুন এক বিপদ আসে এডিথের জীবনে। প্রচন্ড জ্বর হয় তার। মাঝে মাঝেই বাড়ির সামনের ঢিবিগুলোতে মৃত মানুষের মিছিল দেখতে শুরু করেন তিনি। এটা কি চোখের ভুল, নাকি হতাশা কিংবা জ্বরের ঘোর থেকে তৈরী হচ্ছে, বুঝতে পারেন না তিনি।
অত্যন্ত ডায়নামিক নারী ছিলেন এডিথ। বিয়ের আগেই ভারত ও মিশর ঘুরে বেড়িয়েছেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে রেড ক্রিসেন্টের সাথে কাজও করেছেন তিনি। তাই তাকে নিশ্চিতভাবেই একজন আধুনিক মানুষ বলা যেতে পারে। কিন্তু আসলেও কি কিছু আছে ঢিবিটিতে? তার কৌতূহলী মন এর উত্তর জানতে চায়। তিনি সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলেন, ঢিবিটি তিনি খনন করবেন।
এডিথ নিজেই বুঝতে পারছিলেন না যে, তিনি ঢিবিটি আসলে কোন কারণে খনন করতে চাইছেন। ভূতের ভয়, নাকি নতুন কিছু আবিস্কারের নেশা, কে জানে? যাই হোক, এই বিশাল সিদ্ধান্তটি নেবার পর তিনি প্রত্নতাত্ত্বিক বেসিল জন ওয়াল্ট ব্রাউনের সাথে আলোচনা করেন। বেসিল ব্রাউন এই প্রকল্পে কাজ করতে সাগ্রহে রাজি হয়ে যান। এই সিদ্ধান্ত বেসিলের জীবনকেও এক নতুন অধ্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলো। কারণ তিনি কোনো পেশাদার প্রত্নতাত্ত্বিক ছিলেন না। এই ঘটনাটি তার জীবন পুরোপুরি বদলে দিয়েছিলো।
১৯৩৯ সাল। শুরু হলো খননকাজ। ক্যাম্ব্রিজ ইউনিভার্সিটির প্রত্নতত্ত্ববিদ চার্লস ফিলিপও যুক্ত হলেন এর সাথে। খুঁড়তে খুঁড়তে এক পর্যায়ে নিয়মিত দূরত্বে মরিচা পড়া কতোগুলো পেরেকের সারি দেখতে পেলেন তারা। নৌকার একটি অবয়ব স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিলো। নৌকাটির কাঠ ক্ষয়ে গেলেও এর মধ্যে রাখা সম্পদগুলো সম্পূর্ণ অক্ষত ছিলো। এরপর খুব যত্নসহকারে কাজ এগোতে থাকলেন তারা এবং বুঝতে পারলেন যে, নৌকাসমাধিটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৮০ ফুট। এমন একটি জিনিস যে পাওয়া যাবে, সেটি স্বপ্নেও ভাবে নি কেউ।
কাজ শুরুর সময় সবারই সন্দেহ ছিলো যে, এখানে কিছু থাকলেও নিশ্চয়ই টুম্ব রবাররা তা বহু আগেই লুট করে নিয়ে গেছে। কাজ শুরুর পর সেই ধারণা সত্যিও হলো। তবে ভাগ্য এতোটাও খারাপ ছিলো না। ডাকাতরা সাইটটি খনন করেছে ঠিকই, কিন্তু খননের জন্য তারা ভুল জায়গা নির্বাচন করেছিলো। এ কারনে নৌকাসমাধির সম্পদগুলো প্রায় অক্ষত অবস্থাতেই ছিলো। আর টুম্ব রবারদের রেখে যাওয়া চিহ্নকে অনুসরণের মাধ্যমে লাভই বেশি হয়েছে। অপ্রত্যাশিতভাবেই সমগ্র পৃথিবীর মানুষ ইংল্যান্ডের প্রাচীন ঐতিহ্য সম্পর্কে নতুন কিছু জানবার সুযোগ পেয়েছে।
রোমান শাসনের পতনের পর ইংল্যান্ডের প্রথম অ্যাংলো-স্যাক্সন সময়কালের সমাধি ছিলো এটি। খুব যত্নের সাথে একটু একটু করে খুঁড়ে পুরোটা বের করে আনা হলো। খুব সুন্দরভাবে গুছিয়ে সমাধিস্থ করা হয়েছে নৌকাসমাধির মানুষটিকে। নৌকার মধ্যে হাঁড়ি, বালতি -এ সব দৈনন্দিন ব্যবহারের জিনিসগুলোকে এক দিকে রেখে ঠিক বিপরীত দিকে অস্ত্র, ঢাল, বাঁশি ইত্যাদি জিনিসপত্র রাখা হয়েছে। মাঝে আরও কিছু ব্যক্তিগত ব্যবহার্য বস্তুও আছে। একের পর এক বিস্ময়কর সব রাজকীয় ধন-সম্পদ বের হয়ে এসেছে। মোট ২৬৩টি বস্তু মিলেছে সমাধিটিতে। তার মধ্যে রয়েছে তলোয়ারসহ বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র, রূপার বাটি, চামচ, সোনার মুদ্রা ও একটি বিশেষ শিরস্ত্রাণ বা হেলমেট। দেখতে সবচেয়ে আকর্ষণীয় ছিলো ব্রোঞ্জের হেলমেটটি। অ্যাংলো-স্যাক্সনরা যেহেতু সব সময় যুদ্ধ-বিগ্রহে জড়িয়ে থাকতো, তাই নৌকাসমাধিতে বাহারি রকমের সূক্ষ্ম কারুকাজ করা অস্ত্র পাওয়া গিয়েছে। তাদের তলোয়ারগুলোতে কোনো রকম আতশ কাঁচের সাহায্য ছাড়াই যে পরিমাণ নিখুঁত নকশা আঁকা হয়েছে, তা বিস্ময়করভাবে তাদের সুদক্ষ শিল্পীমনেরই পরিচয় বহন করে।
নৌকার জিনিসগুলো দেখেই বোঝা যায়, এগুলো ভাইকিংদের নয়, বরং অ্যাংলো-স্যাক্সনদের তৈরী। রূপার বাটি ছাড়াও পাওয়া গিয়েছে একটি বড় রূপার থালা। গ্রীক লিপি খোদাই করা একটি চামচ তো ছিলো দেখার মতো। আর অস্ত্রগুলোর মধ্যে আকর্ষণীয় তলোয়ার ছাড়াও ছিলো একটি স্ক্যান্ডিনেভিয়ান ঢাল এবং রাজার পায়ের কাছে রাখা একটি বর্ম। এ ছাড়াও মিলেছে ফ্রান্সের মুদ্রাসমেত একটি থলে।
সাটন হু অঞ্চলের অধিবাসীদের মধ্য যুগের বহু দূর-দূরান্তের বণিকদের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিলো। স্ক্যান্ডিনেভিয়ার সাথে তাদের এক রমরমা বাণিজ্য তো ছিলোই, এ ছাড়াও তাদের অলংকারে ব্যবহৃত গার্নেড শ্রীলঙ্কা অথবা ভারত থেকে আমদানি করা হতো। বাইজেন্টাইন এবং মিশর তাদের সংস্কৃতিকে বেশ সমৃদ্ধ করেছিলো। বিটুমিন শুধু মধ্যপ্রাচ্যেই পাওয়া যেতো। আর রূপা আসতো পূর্ব ভূমধ্যসাগর থেকে। মিশরের বাটি, মধ্যপ্রাচ্যের বস্ত্র অসংখ্য হাত বদল হয়ে তাদের কাছে এসে পৌঁছাতো।
রাজার পরজন্মের প্রয়োজনে যা কিছু নৌকাসমাধিতে রাখা হতো, সেগুলোর প্রতিটির সাথেই রাজার এক মনস্তাত্ত্বিক যোগাযোগ থাকে বলে বিশ্বাস করা হতো। রাজার তলোয়ার মূলত তার যোদ্ধা-চরিত্রের প্রতীক ছিলো। লাইয়ার বা বীণা তার সঙ্গীতপ্রিয়তা অথবা কবিত্বের রূপকে প্রাধান্য দেয়। ড্রিংকিং-হর্ণজাতীয় পানের পাত্রগুলো তার উদার মানসিকতার প্রতীক। সোনা ও রূপার ওপর নিখুঁত কারুকাজ তার শিল্পীমনের পরিচায়ক।
কিন্তু প্রশ্ন জাগে, কাকে সমাধিস্থ করা হয়েছিলো এখানে। প্রত্নতাত্ত্বিকেরা মনে করেন, রাজা রেডওয়াল্ডেরই সমাধি এটি। তার মৃত্যুর সময় এবং সাটন হু-তে পাওয়া বিভিন্ন প্রত্নবস্তুর বয়স প্রায় কাছাকাছি। কিন্তু সত্যিই যে রেডওয়াল্ড শায়িত ছিলেন এখানে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত হবার উপায় কি? এখন পর্যন্ত কোনো মৃত ব্যক্তির হদিস তো মিললো না। বেশ কিছুদিন পর মাটির গুণগত মান পরীক্ষার মাধ্যমে এই প্রশ্নেরও জবাব বের হয়ে আসলো। আসলে ঐ বিশেষ জায়গার মাটিতে ফসফরাসের মাত্রা অনেক বেশি। তাই মাটি অম্লধর্মী হওয়ায় মৃত শরীরটি ধীরে ধীরে মাটির সাথে সম্পূর্ণরূপে মিশে গেছে।
চারদিকে খবর রটে গেলো সমাধিটির বিষয়ে। হেডলাইনে নিউজও হলো। কিন্তু সমাধির সম্পদগুলো কে পাবে –এই নিয়ে প্রশ্ন উঠলো। যুক্তি তো বলে, যার জায়গায় খনন হলো এবং যে খননের পুরো খরচ বহন করলেন, তিনিই তো হবেন সম্পদগুলোর মালিক। অর্থাৎ, হিসাবমতে এডিথই পাবেন এগুলো। এই নিয়ে বেশ চর্চা চললো কিছু দিন ইংল্যান্ডে। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে মহান এই নারী সমস্ত সম্পদ বিট্রিশ মিউজিয়ামকে দান করে দিলেন। ব্রিটিশরা তাকে ‘টেইম অফ এমপায়ার’ উপাধি দিতে চাইলে তিনি সবিনয়ে তাও প্রত্যাখ্যান করেন।
এরই মধ্যে বেঁধে গেলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। লন্ডনের জাদুঘরে আক্রমণ হলো। জাদুঘরের অমূল্য এই নির্দশনগুলোকে সুরক্ষিত রাখবার জন্য সেগুলোকে লন্ডনের একটি ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গে বাক্স-বন্দী করে লুকিয়ে ফেলা হলো। ১৯৫১ সাল পর্যন্ত সেগুলোকে আর সার্বজনীনভাবে উন্মুক্ত করা হয় নি। বর্তমানে ব্রিটিশ মিউজিয়ামে নিদর্শনগুলোকে সবার জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে।
ইংল্যান্ডের প্রথম দিকের যোদ্ধা সমাজের জলজ্যান্ত দলিল সাটন হু এর এই নৌকাসমাধি আবিষ্কার, গৌরবময় ইতিহাসের এক প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণ। ব্রিটিশ মূল্যবোধ ও ব্রিটিশ ইতিহাসে এক নতুন মাত্রার সংযোজন ছিলো এটি। নাৎসি-জার্মান যুদ্ধে তাদের ঐতিহ্য ও দেশাত্মবোধের প্রতীক হয়ে শক্তি যুগিয়েছে এই ঘটনা। ১৪০০ বছরের পুরনো এই সমাধি ইংরেজ ইতিহাসের প্রথম অধ্যায়কে উন্মোচন করেছে।
অন্ধকার যুগ বা ডার্ক এইজ বলে কোনো সময় আর নির্দিষ্ট করে উল্লেখ করা হয় না এর পর থেকে। কারণ অমূল্য এসব গুপ্ত সম্পদগুলোর নির্মাণকালকে ভারতবর্ষ, চীন, আরব, গ্রীস, মিশর ও রোমের মতো খ্যাতনামা সাম্রাজ্যগুলোর সোনালী অধ্যায় দিয়ে আড়াল করে যুক্তরাজ্যের অন্ধকার যুগ বলে চালিয়ে দিলে নির্ঘাত অবিচার করা হবে। তা ছাড়া সে সময়ে বিশ্ববাণিজ্যে তাদের শক্তিশালী অবস্থানের নমুনাগুলোও প্রমাণ করে যে, সেটি কোনোভাবেই ডার্ক এইজ হওয়া সম্ভব নয়। সাটন হু এর এই আবিষ্কারের পর আমরা বিশ্বাস করতে বাধ্য হয়েছি যে, সেই সময়ে ইংল্যান্ডে শিল্প ও সংস্কৃতির স্ফূরণ ঘটেছিলো। তাই আজ অমূল্য এই আবিষ্কারটি একটি সময়কালের নামই বদলে দেবার জন্য যথেষ্ট। সময়টি বর্তমানে পরিচিত হয় ‘আদি মধ্য যুগ’ নামে। ইতিহাস পুনঃর্লিখনের প্রয়োজনীয়তা আজ ভীষণভাবে অনুভব করছি। কারণ অবশ্যই ইতিহাস পরিবর্তনযোগ্য।
রেফারেন্সঃ
- The ghostly treasure ship of Sutton Hoo
- Amazing Anglo-Saxon Finds in a 7th-century Ship Burial Mound: The “Sutton Hoo” Treasures
- THE DIG (2021)