জেরুসালেমের গত ছয় হাজার বছরের ইতিহাসে সংঘটিত সবগুলো রক্তক্ষয়ী বিবাদের মূল কারণ বহিঃশক্তির আগ্রাসন, বহিরাগতদের অনিয়ন্ত্রিত অভিবাসন এবং পরাশক্তিগুলোর কুটিলতা। জেরুসালেমের মালিকানা পরিবর্তন হয়েছে অসংখ্য বার। আজো এ নগরী হয়ে উঠে আন্তর্জাতিক রাজনীতির প্রধান স্নায়ু কেন্দ্র। সময়-সময় হয়ে উঠে বিশ্ব ভূ–রাজনীতির অস্থিরতা নিরুপনের ব্যারোমিটার। শহরটি দাবী করে বসে বিশ্ববাসীর মনোযোগ এবং ন্যায়বিচার। একাদশ শতাব্দীর পর থেকে জেরুসালেম শহরটির প্রধান কিছু দখল-বেদখল-পুনর্দখলের অতি সংক্ষিপ্ত ইতিহাস লিপিবদ্ধ করা হয়েছে এই শেষ পর্বে।
একাদশ শতাব্দীকে বলা যেতে পারে জেরুসালেমের ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার শতক। এই শতকে শুধু ক্রুসেডাররাই জেরুসালেমে অন্য সম্প্রদায়কে নিপীড়ন করে নি, এর আগেও ধর্মীয় স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ করেছে বহিরাগত শাসকরা। দশম শতাব্দীতে ইসমাইলি শিয়া মতাদর্শে বিশ্বাসী উত্তর আফ্রিকার ফাতিমিয় খলিফার উত্থান হয় মরক্কোতে আব্বাসীয় শাসনের সময়। আব্বাসীয়দের পরাজিত করে তাদের খলিফা আল-আজিজের নেতৃত্বে ফাতিমিয়রা মিশর, জেরুসালেম এবং সিরিয়া দখল করে শাসন করে ৯৬৯ থেকে ১০৭০ সাল পর্যন্ত। তাঁর শাসনকালে জেরুসালেমের ইহুদি এবং খিষ্টানরা ধর্মীয় স্বাধীনতা পেয়েছিলো অনেক। আল-আজিজের মৃত্যুর পর একাদশ শতাব্দীর প্রথম দিকে তাঁর সন্তান আল-হাকিমের সময় অমুসলমানদের জেরুসালেমের ধর্মীয় স্থাপনাগুলোতে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়, এমনকি কিছু গির্জাও ধ্বংস করা হয়। আল-হাকিম ইসমাইলি শিয়া ছাড়া অন্য ধর্মীয় গোষ্ঠী, বিশেষ করে সুন্নী মুসলমান, ইহুদি এবং খ্রিষ্টানদের প্রতি ছিল সাংঘাতিকভাবে অসহিষ্ণু।। পরবর্তীতে, ১০২৭ সালে ফাতিমিয় খলিফা আল-জহর ধ্বংস করা গির্জাগুলোকে পুনর্নির্মাণ করেন এবং অন্য ধর্মালম্বীদের তাদের উপাসনালয়ে প্রবেশের অধিকার ফিরিয়ে দেন।
১০৭১ সালে ফাতিমিয়দের পতনের পর সেলজুক তুর্কীরা জেরুসালেম দখল করে শাসন করে ১০৯৯ সাল পর্যন্ত। সেলজুকরাও জেরুসালেমের সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় স্বাধীনতা ক্ষুন্ন করেছে অনেকভাবে। তারপর সংঘটিত হয় প্রথম ক্রুসেড, জেরুসালেমে চলে ক্রুসেডারদের ধর্মীয় জাতিগত নির্মূলের কালো অধ্যায়, যা’ সংক্ষেপে বলা হয়েছে আগের পর্বে। ১১৮৭ সালে মিশর ও সিরিয়ার প্রথম সুলতান এবং আইয়ুবী রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা সালাহউদ্দিন আইয়ুবী ক্রুসেডারদের লেভেন্ট (Levant) রাজ্যের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানে নামেন। তিনি ছিলেন ইরাকের একজন সুন্নী কুর্দি। সামরিক দক্ষতা এবং রনক্ষেত্রে অসাধারণ প্রজ্ঞার কারণে সালাহউদ্দিন নিজে সুন্নী হয়েও ইসমাইলি শিয়া মতবাদে বিশ্বাসী ফাতিমিয়দের একজন মন্ত্রী পর্যায়ের কর্মকর্তা ছিলেন। তিঁনি একসময় প্রচন্ড ক্ষমতাবান হয়ে ১১৭১ সালে ফাতিমিয় খলিফা বিলুপ্ত করে বাগদাদ-ভিত্তিক সুন্নী আব্বাসীয় খলিফার সাথে একাত্ম হন। ১১৮৭ সালের ৪ঠা জুলাই হাতিনের যুদ্ধে (Battle of Hattin) তিঁনি গাই অফ লুসিগান (Guy of Lusignan), জেরুজালেমের কিং কনসার্ট (King of Concert of Jerusalem) এবং ত্রিপোলির তৃতীয় রেমন্ডের (Raymond III of Tripoli) সম্মিলিত বাহিনীকে পরাজিত করে জেরুসালেম পুনর্দখল করেন। সুলতান সালাহউদ্দিন ইহুদিদেরকে নির্ভয়ে জেরুসালেমে আবার বসবাসের অনুমতি দেন। ঐ সময় তাঁর অধীনে জেরুসালেমে প্রচুর উন্নয়ন করা হয়। অসংখ্য স্থাপনা, বাজার, পাবলিক স্নানাগার এবং তীর্থযাত্রীদের আবাস নির্মাণের পাশাপাশি রাস্তা-ঘাটের প্রচুর সংস্কার করা হয়। জেরুসালেমে নেমে আসে আবারও স্বস্তি।
১২২৯ সালে মিশরের আইয়ুবী সুলতান আল-কামিলের সাথে রোমান সম্রাট দ্বিতীয় ফ্রেডেরিখের এক চুক্তি হলে, জেরুসালেম আবারো হয়ে পরে ইউরোপীয়ান বহিরাগতদের নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু তারা বেশী দিন জেরুসালেমেরে নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে পারে নি। পনেরো বছর পর, ১২৪৪ সালে শহরটি চলে যায় তুর্কির খোয়ারিজমিয় তাতারদের শাসনাধীনে। পশ্চিম এবং মধ্য রাশিয়াতে বসবাসরত তুর্কি-ভাষী জনগোষ্ঠীকে বলা হয় তাতার। এরা খ্রিষ্টান এবং ইহুদিদের জেরুসালেম থেকে বের করে দেয়, যদিও তারা জেরুসালেম শাসন করতে পেরেছিলো মাত্র তিন বছর। ১২৪৭ সালে আয়ুবীরা তাতারদেরকে তাড়িয়ে দেয় জেরুসালেম থেকে। আয়ুবী শাসনকালে সাম্রাজ্যের ক্রীতদাস-সৈনিকরা শক্তিশালী হয়ে মামলুক নামে এক নতুন সাম্রাজ্য গড়ে তোলে। এই মামলুকরাই পরবর্তীতে ১২৬০ থেকে ১৫১৭ সাল পর্যন্ত প্রায় ২৫০ বছর জেরুসালেম শাসন করে। এ সময়কালে মামলুকরা শহরে নির্মিত করে অনেক আধুনিক স্থাপনা, যা’র মধ্যে রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গ্রন্থাগার, হাসপাতাল, কৃত্তিম ঝর্ণা, এবং পাবলিক স্নানাগার। এসবের বেশিরভাগই ছিল আল-আকসা (টেম্পল মাউন্ট) এলাকাটিকে কেন্দ্র করেই।
১৫১৭ সালে, জেরুসালেম এবং আশেপাশের এলাকার শাসন চলে যায় শক্তিশালী উসমানীয় বা অটোমানদের হাতে। ১৯১৭ সাল পর্যন্ত, অর্থাৎ ঠিক চারশো বছর চলে অটোমান শাসন, এবং জেরুসালেমে বজায় থাকে ক্ষমতার স্থিতিশীলতা। এ চারশো বছর জেরুসালেমে হয়েছিল অভাবনীয় উন্নতি- বিশেষ করে সুলতান সুলাইমান দ্য ম্যাগনিফিসেন্টের (Suleiman The Magnificient) সময়কালে শহরটিতে সব সম্প্রদায়ের মধ্যে সৌহার্দ্য এবং শান্তি পৌঁছেছিল সর্বোচ্চ শিখরে। অটোমানদের শাসনকালে জেরুসালেমে শুরু হলো ডাক ব্যবস্থা, গড়ে উঠলো দূতাবাস, চালু হলো গণ-পরিবহন, নির্মাণ হলো পাকা সড়ক, এমনকি রেল লাইন পর্যন্ত বসানো হলো ১৮৯২ সালে।
ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ দিকে, বিশেষ করে ইউরোপে, শুরু হয় জায়োনিজম (Zionism) নামে ইহুদিদের পৃথক রাষ্ট্র গঠনের এক রাজনৈতিক প্রক্রিয়া। এই সাংগঠনিক প্রক্রিয়াতে ১৮৮২ থেকে ১৯১৪ সালের মধ্যে ইউরোপ থেকে ফিলিস্তানে প্রায় ৭৫ হাজার ইহুদি অভিবাসন করে। পরবর্তীতে, প্রথম বিশ্বযুদ্ধ নাটকীয়ভাবে পরিবর্তন করে ফেলে বিশ্বের ভু–রাজনীতি। পাল্টে যায় জেরুসালেমের রাজনীতির হিসেবে-নিকেশ। বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে অটোমান সাম্রাজ্য যখন চরম দুর্বল হয়ে পড়লো, ১৯১৭ সালে জেরুসালেমের যুদ্ধে (Battle of Jerusalem) ব্রিটিশরা দখল করে নেয় শহরটি। বৃটিশ জেনারেল এডমুন্ড এলেনবি জেরুসালেমের শাসন তার নিয়ন্ত্রণে নেয় অটোম্যানদের কাছ থেকে। ১৯২২ সালে লীগ অফ নেশনস (League of Nations) জেরুসালেম শাসন করার অধিকার দেয় ব্রিটেনকে। জেরুসালেমে আরম্ভ হলো বহিরাগতদের বেআইনী অভিবাসন এবং ফিলিস্তিনি ভূমি দখলের ধীর এবং সুদূরপ্রসারী ধ্বংসাত্মক প্রক্রিয়া।
১৯৪৮ সালের আগে জেরুসালেম এবং তৎসংলগ্ন এলাকাটিতে জন্মগ্রহণ করা সবাইকে বলা হয় ফিলিস্তিনি (Palestinian)। জনলগ্ন থেকেই জেরুসালেমে ফিলিস্তিনিদের মধ্যে কখনো হয়নি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা। বলা চলে, জেরুসালেম সৃষ্টির প্রথম থেকেই ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সৌহার্দ্য বজায় ছিল প্রায় সব সময়ই। শহরটিতে সবগুলো বিবাদ-সংঘাতের মূল কারণই ছিল বহিরাগতরা। পরবর্তী তিন দশক বৃটিশ শাসনাধীনে জায়োনিস্ট ভাবধারায় প্রভাবিত হয়ে প্রচুর সংখ্যক ইহুদি, বিশেষ করে ইউরোপ থেকে জেরুসালেমে অভিবাসন করতে থাকে। ব্রিটিশ সরকারের সরাসরি পৃষ্টপোষকতায় ইউরোপ থেকে প্রচুর ইহুদিদের জেরুসালেমে অভিবাসনের ব্যবস্থা করা হলো। ১৯১৭ সাল থেকে ব্রিটিশ শাসনাধীনে জেরুসালেমে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে পারস্পরিক তিক্ততা ক্রমেই বাড়তে থাকে। ফলশ্রুতিতে, ১৯২০ সালের ৪ঠা এবং ৭ই এপ্রিল ইহুদি-মুসলমানদের মধ্যে সংঘটিত হয় নবী মুসা বা জেরুসালেম সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা (Nabi Musa or Jerusalem Riot)। ১৯২৯ সালের আগস্ট মাসে হয় এই দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে আরেকটি দাঙ্গা, যা’ ফিলিস্তিনি দাঙ্গা বা বোরাক দাঙ্গা নামেই পরিচিত। ব্রিটিশদের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে ইউরোপ থেকে প্রচুর সংখ্যায় ইহুদিদের জেরুসালেম এবং এ’র সংলগ্ন এলাকায় বসবাসের প্রক্রিয়া চলতেই থাকলো অবাধভাবে। ১৯২২ থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশ শাসনামলে জেরুসালেমের জনসংখ্যা ৫২ হাজার থেকে বেড়ে দাঁড়ায় ১৬৫ হাজারে। এই জনসংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশই ছিল ইহুদি, অন্যরা ছিল মুসলমান এবং খ্রিস্টান। ইহুদিদের বেশিরভাগই ছিল বহিরাগত ইউরোপিয়ান। বিশেষ করে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরপর ইহুদিদের জেরুসালেম এবং এ’র আশেপাশের এলাকায় অভিবাসন চললো বিপুল পরিমানে। শুরু হলো এক সময়ের শান্তির নগর জেরুসালেমে অশান্তির অধ্যায়।
১৯৪৭ সালে জাতিসংঘ “দুই রাষ্ট্র” (একটি ফিলিস্তানি এবং অন্যটি ইসরাইল) নীতির একটি পরিকল্পনা অনুমোদন করে। অনুমোদনটি নীতি পর্যায়েই থেকে গেলো, বাস্তবায়িত আর হলো না। ১৯৪৮ সালে সংঘটিত হয় আরব-ইসরাইল যুদ্ধ। এ যুদ্ধের সময় ১৯৪৮ সালে রাজনীতির সব ব্যাকরণ উপেক্ষা করে, আন্তর্জাতিক রীতিনীতি লংঘন করে ডেভিড বেন-গারিওন “স্বাধীন ইসরাইল” রাষ্ট্রের ঘোষণা দেয়। জেরুসালেম নিয়ে বিশ্ব রাজনীতি হয়ে পড়লো পক্ষপাতদুষ্ট। তখনকার বৃহৎ শক্তিগুলোর পরোক্ষ-প্রত্যক্ষ সমর্থনে ইসরাইল দখল করে নেয় পশ্চিম জেরুসালেম এবং তৎসংলগ্ন এলাকা। জেরুসালেমের মোট ১৫টি মুসলমান এলাকার ১২টিকেই তাদের নিয়ন্ত্রণে নেয় ইসরায়েলিরা। তখন জেরুসালেমের আনুমানিক ৩০ হাজার মুসলমান হয় শরণার্থী । শহরটির বেশিরভাগ ধর্মীয় স্থাপনাগুলো তখনো পর্যন্ত ছিল জর্দানের অধীনে।
এখানেই শেষ নয়। ১৯৬৭ সালের ছয় দিনের আরব-ইসরাইল যুদ্ধে ইসরাইল দখল করে নেয় পূর্ব জেরুসালেম, গাযা স্ট্রিপ, গোলান হাইট, সিনাই পেনিনসুলা, এবং পশ্চিম তীর। মূল ধর্মীয় স্থাপনাগুলো ছিল পূর্ব জেরুসালেমেই। যুদ্ধের তিন সপ্তাহ পর, ১৯৬৭ সালের ২৭শে জুন, ইসরাইলের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয় পূর্ব জেরুসালেম এবং পশ্চিম তীরের ২৮টি ফিলিস্তানি গ্রামের উপর। পরে আল-আকসা এলাকাটির ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব ছেড়ে দেয়া হয় এক ইসলামি ওয়াকফের কাছে। ১৯৬৭ সালের যুদ্ধের পর জেরুসালেমে নির্মান করা হয় অসংখ্য ইহুদি বাসস্থান, কিন্তু গড়ে উঠে নি নতুন কোন ফিলিস্তিনি আবাসন।
২০১৬ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী জেরুসালেমের মোট জনসংখ্যা ছিল ৮,৮২,৭০০। তার মধ্যে ৫৩৬,৬০০ জন ইহুদি, ৩১৯,৮০০ জন মুসলিম, ১৫,৮০০ জন খ্রিস্টান এবং ১০,৩০০ জন অন্যান্য ধর্মের।
ফিলিস্তিনিদের অধিকারের প্রতি ১৩৫টি রাষ্ট্রের সমর্থন থাকলেও ইসরাইল ফিলিস্তিনিদের অধিকার স্বীকার করে না একেবারেই। যদিও “দুই-রাষ্ট্র” নীতিকে সমর্থন করে পৃথিবীর বেশিরভাগ রাষ্ট্র, কিন্তু জেরুসালেমের সীমানা, অধিকৃত এলাকায় ইসরায়েলের অবৈধ বসতি স্থাপনা এবং শহরটিকে ইসরায়েলের রাজধানী করাকে নিয়ে ইসরাইল এবং ফিলিস্তিনিদের মধ্যে রয়েছে গভীর মতভেদ। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও ইসরায়েলিরা পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেমে অবৈধভাবে বসতি স্থাপন করেই চলেছে। ইসরায়েলের এই অবৈধ বসতি নির্মাণ জাতিসংঘের রেজুলেশন এবং আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। “দুই-রাষ্ট্র” ভিত্তিক সমাধান এবং ঐ অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ইসরাইলের অবৈধ কর্মকান্ড জেরুসালেমে শান্তি প্রতিষ্ঠার মূল প্রতিবন্ধক।
বহু-ধর্মীয় বিশ্বাসের মিলনস্থল, প্রাচীন এই শহরটিকে নিয়ে অবিরাম সংঘাত চলছে, হয়তো চলবে আরো, কিন্তু প্রাচুর্য্যহীন এই অতি মূল্যবান নগরটি বিশ্বকে মাঝে মাঝে ঝাঁকি দিয়ে মনে করিয়ে দেয় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এর গুরুত্ব। প্রায়ই নগরীটি হয়ে পরে বিশ্ব রাজনীতির প্রধান স্নায়ু কেন্দ্র। প্রত্যাশা, জেরুসালেম আবার হয়ে উঠুক সব ধর্মীয় সম্প্রদায়ের জন্য এক শান্তিময় মিলনকেন্দ্রে।
তথ্যসূত্র:
* Jerusalem Wikipedia.
* Mona Boshnaq, S. Chan, I. Garshowitz, G. Tripoli, “The Conflict in Jerusalem Is Distinctly Modern. Here’s the History”, The New York Times, Dec. 5, 2017.
* Al Jazeera TV documentary. “Revival: The Muslim Response to the Crusades”, Dec. 14, 2016.
* The Israeli-Palestenian Conflict. 30-06-2017. history.com.