প্রায় ৩,৫০০ বছর আগে, মিশরের প্রাচীন শহর থেবসে বাস করতেন হাটনেফার ও তাঁর ছেলে রামোস। সমাজে তাঁরা ছিলেন সম্মানিত ও প্রভাবশালী মানুষ। মৃত্যুর পর তাঁদের জন্য নির্মিত হয় এক সুন্দর সমাধি। আর সেখানেই, বহু বছর পরে, আবিষ্কৃত হয় এক বিস্ময়কর বস্তু—এক টুকরো রুটি! হ্যাঁ, সত্যি! মাটির নিচে শতাব্দীর পর শতাব্দী...

মিশর আজ নতুন সাজে সেজেছে। চারদিকে তৈরী হয়েছে এক উৎসবমুখর পরিবেশ। বাদ্য-বাজনার তালে তালে নৃত্য চলছে। পুরোহিতরাও শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি সম্পন্ন করে অপেক্ষা করছেন বর-বধূর জন্য। রাজপ্রাসাদের অভ্যন্তরে প্রস্তুত হচ্ছেন ফারাও চতুর্থ থুতমোসের ছেলে তৃতীয় আমেনহোটেপ। খানিক বাদেই বিয়ে করতে যাচ্ছেন তিনি।...

আজ থেকে ১৭০০ বছর আগে কেমন ছিলো মানুষের জীবন? অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আমরা রাজা-রানি বা সম্ভ্রান্ত শ্রেণির কাহিনী শুনে থাকি আর সেসব জমকালো উৎসবমুখর জীবনের গল্প শুনতেই বোধ হয় বেশি ভালোবাসি। কিন্তু মুদ্রার উল্টো পিঠের প্রাচীন বিশ্বে সাধারণ মানুষের জীবন কেমন ছিলো? কেমন ছিলো মধ্য এশিয়ার প্রাচীন সগডিয়ান...

জনবহুল ব্যস্ত নগরীর মধ্যেই এক বাড়ি থেকে ভেসে আসে নারীকন্ঠের তীক্ষ্ণ আর্তনাদ। আশেপাশের কৌতূহলী শিশুরা ভেতরে যেতে চাইলে বয়স্ক নারীরা তাদের বাধা দিয়ে অপেক্ষা করতে বললো। কিছুক্ষণের মধ্যেই আরও একবার কান্নার শব্দ পায় ওরা। নবজাতক শিশুর। এবার ওরা ভেতরে ঢোকার অনুমতি পায়। ফুটফুটে এক শিশুপুত্রের মুখে...

বিস্ময়কর নিদর্শন, আচার-অনুষ্ঠান ও মিথে ভরপুর এক সভ্যতার নাম প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতা। এই সভ্যতা কিন্তু এক দিনে গড়ে ওঠে নি, আবার হুট করেই এর পতন হয় নি। ধীরে ধীরে বিকশিত হওয়া এই অভূতপূর্ব মিশরীয় সভ্যতা তৈরী করেছে নিজের হাজার বছরের ইতিহাস ও ঐতিহ্য, যার মূল শেকড় ও শক্তি ছিলো উত্তর আফ্রিকায় প্রবাহিত...

সদ্য স্বামীহারা বিধবা রাণী আনখেসেনামেন। হঠাৎ করেই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেছেন মিশরের সবচেয়ে রহস্যময় ও কম বয়সী ফারাও তুতেনখামুন। মাত্র ১৮ বছর বয়সে মৃত তুতেনখামুন ছিলেন নিঃসন্তান। তাই কোনো উত্তরসূরিও তিনি রেখে যেতে পারেন নি। আনখেসেনামেনের গর্ভপাতের ফলাফল দুই শিশু কন্যার ভ্রূণের মমিও বাবার পাশেই...

‘আমেনহোটেপ’ শব্দটির অর্থ ‘আমুন সন্তুষ্ট’। সে সময় দেবতা আমুনই ছিলেন প্রধান এবং ফারাও তৃতীয় আমেনহোটেপও দেবতা আমুনের প্রতি নিবেদিত ছিলেন। তিনি এতোটাই নিবেদিত ছিলেন যে, সামরিক অভিযান থেকে অর্জিত সমস্ত সম্পদ তিনি আমুনের মন্দিরে দান করতেন। সে সময় মিশরের ধর্মীয় রাজধানী ছিলো ‘থিবস’ এবং প্রশাসনিক রাজধানী...

বিশ হাজার সৈন্য নিয়ে বেকুয়া উপত্যকা হয়ে সিরিয়ার দিকে অগ্রসর হলেন একজন মিশরীয় ফারাও, উদ্দেশ্য কাদেশ বিজয়। বিশাল সেই যাত্রায় পদে পদে নানা প্রতিকূলতার সম্মুখীন হচ্ছিলেন তার সেনাদল। খাদ্যাভাব, পানির অভাব ইত্যাদি সমস্ত সমস্যা মোকাবেলা করতে করতেই একের পর এক শহর পদানত করতে লাগলেন ফারাও। এমন সময় শত্রুপক্ষ...

আঠারো শতকের দিকে নীল নদের পূর্ব তীরে মধ্য মিশরের মরুভূমি অঞ্চলে এক বন্ধ্যা এলাকায় খুঁজে পাওয়া যায় একটি শহরের ধ্বংসাবশেষ, আজও পর্যন্ত যেখানে নতুন কিছু খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা অব্যাহত আছে। শহরটির নাম ‘আমার্না’। বিশ্বের প্রথম একেশ্বরবাদ প্রতিষ্ঠায় কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে পূর্ব দিকে মুখ করে থাকা এ...