ইংরেজ রাজনীতিবিদ ও লেখক। যুক্তরাজ্যের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অধিক পরিচিত। চার্চিলকে যুক্তরাজ্য ও বিশ্বের ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নেতা হিসেবে গণ্য করা হয়। প্রথম জীবনে তিনি ব্রিটিশ নৌবাহিনীর সদস্য ছিলেন। ১৯৫৩ সালে তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। ২০০২ সালে বিবিসির এক জরিপে তিনি সর্বকালের সেরা ব্রিটেনবাসী হিসেবে মনোনীত হন। বাবা মাকে খুব বেশি কাছে পাননি চার্চিল, তবুও তাদের প্রচণ্ড ভালোবাসতেন। এমনটাও কথিত আছে যে, চার্চিল তার বাবাকে চিনেছেন অন্যদের মুখ থেকে, বাবা-ছেলের ঘনিষ্ঠতা থেকে নয়। মা জেনিন জেরোমও খুব একটা যেতেন না ছেলেকে দেখতে, যদিও চার্চিল প্রায়ই মাকে চিঠি লিখতেন। তার যখন ২১ বছর বয়স, তখন তার বাবা মারা যান, যার ফলে বাবা-ছেলের দূরত্বটা কখনোই মেটেনি।

জেনি স্পেনসার চার্চিল তাঁর দুই পুত্র, জ্যাক (বাম) এবং উইনস্টন (ডান) সাথে ১৮৮৯ সালে; Image source: Wikimedia

 সমালোচনাঃ
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের বাংলায় যে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ হয়েছিল (১৯৪৩ সালে) সেজন্যে অনেকেই চার্চিলের নীতিকে দোষারোপ করে থাকেন। যে দুর্ভিক্ষে প্রায় তিরিশ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। 

দুর্ভিক্ষ ১৯৪৩

নোবেল বিজয় ও মৃত্যু়ঃ

১৯৫৩ সালে ২য় রানী এলিজাবেথ স্যার উইনস্টন স্পেন্সার চার্চিলকে ‘নাইট’ উপাধিতে ভূষিত করেন। একই সালে তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৬৫ সালের ১৫ জানুয়ারি গুরুতর স্ট্রোক করেন চার্চিল, এর ঠিক ন’দিন পর ১৯৬৫ সালের ২৪ জানুয়ারি ব্রিটেনের এই মহান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব তার লন্ডনের বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাকে সেন্ট মার্টিন চার্চের পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হয়। তার ওপর লেখা হয়েছে বেশ কিছু বই। সম্প্রতি তার জীবনী নিয়ে বানানো ‘ডার্কেস্ট আওয়ার’ নামে একটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন গ্যারি ওল্ডম্যান এবং এতে এই অভিনেতা অস্কার লাভ করেন।


 ব্যর্থতার গল্প:
ব্যর্থতা নিয়ে তাঁর বিখ্যাত উক্তি, “ব্যর্থতা মানেই সব শেষ নয়; ব্যর্থতার পরও এগিয়ে যাওয়ার সাহস রাখতে হবে” বা “সাফল্য মানে উ‌ৎসাহ না হারিয়ে এক ব্যর্থতা থেকে আরেক ব্যর্থতায় যাওয়ার যাত্রা” – ব্যর্থতা নিয়ে করা সেরা উক্তিগুলোর বেশ কয়েকটি তাঁর কাছথেকে আসার কারণ, তিনি ব্যর্থতাকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন। এই সফল মানুষটির জীবনের অনেকটা জুড়েই আছে ব্যর্থতার গল্প।

রয়্যাল মিলিটারি কলেজে দুইবার ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে তিনি ফেল করেন। ৩য় বার যখন সুযোগ পান, তখন তাঁকে অনেক নিচের একটি ডিভিশন বেছে নিতে হয়েছিল। যদিও তারপর তিনি নিজের চেষ্টা দিয়ে অনেক ওপরে ওঠেন। রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে ৫টি নির্বাচনে হারেন বৃটেনের ইতিহাসের অন্যতম এই রাজনীতিবিদ।

সেনাবাহিনীর পোশাকে চার্চিল

জানলে অবাক হবেন, ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই বক্তার কথা বলতেই সমস্যা হত। বহুদিন তিনি ডিপ্রেশনে ভুগেছেন। ভাষণ দেয়ার পর সমস্যা হওয়ার কারণে, তাঁর জন্য বিশেষ ওষুধও বানাতে হয়েছিল। কিন্তু এর কিছুই তাঁর চেষ্টা করা থামাতে পারেনি। ইতিহাসের সফলতম এই রাষ্ট্রনায়ক ছাত্র হিসেবে সাফল্য লাভ করেননি। স্কুলের গন্ডি পেরুতে তাকে ৩টি স্কুল বদলাতে হয়। ছোটবেলা থেকেই তিনি স্বাধীনচেতা ও বিদ্রোহী স্বভাবের ছিলেন। অথচ তিনিই একসময় ওয়াশিংটন পোষ্টের মত পত্রিকার রিপোর্টার হয়েছিলেন। সফল রাজনীতিবিদ ও ইতিহাসবিদ চার্চিল চল্লিশটির বেশি বই রচনা করেছেন। ১৯৪০-১৯৪৫ ও ১৯৫১-১৯৫৫ এই দুই মেয়াদে ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ১৯০৮ সালের ১২ই সেপ্টেম্বর ক্লেমেন্টাইন হোজিয়ের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন উইনস্টন চার্চিল। দাম্পত্য জীবনে তারা পাঁচ সন্তানের জনক জননী। নানা বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য পরিচিত ছিলেন তিনি।

 মজার ঘটনাঃ
১। ইন্ডিয়া ভ্রমণের পর থেকে তিনি হুইস্কি খাওয়ার প্রতি আসক্ত হন।
উইনস্টন চার্চিল এর বিখ্যাত উক্তি ছিল, “খাওয়ার মাঝখানে মদ্যপ পানীয় পান করবো না এটাই আমার জীবনের নিয়ম করে নিয়েছিলাম”। তিনি ভারত ভ্রমণের আগ পর্যন্ত হুইস্কি অপছন্দ করতেন। তিনি ভারত ভ্রমণে এসে শিখেছিলেন কিভাবে সঠিক ভাবে হুইস্কি পান করতে হয়। এখানে তিনি জনি ওয়াকার হুইস্কি সোডার সাথে পান করতেন।
২। তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট রুজভেল্টকে চমকে দিয়েছিলেন—
অন্যরা কি ভাবছে তা তিনি মোটেই গ্রাহ্য করতেননা, এমনকি প্রেসিডেন্ট রুজভেল্টকেও না। তিনি প্রেসিডেন্ট রুজভেল্টের সামনেই হঠাৎ করে স্নানের তোয়ালে খুলে ফেলে বলেছিলেন, “লুকানোর কিছু নেই”।

৩। তিনি পশুদের পছন্দ করতেন-

অনেকেই ব্রিটিশ বুলডগকে চার্চিলের পছন্দের মনে করতেন। কিন্তু এই রাজনীতিবিদের পছন্দের ছিলো বিড়াল, বিশেষ করে জক নামের বিড়াল যার কমলা রঙের দেহে সাদা দাগ ছিলো। যার নামকরণ করা হয়েছিলো চার্চিলের ব্যক্তিগত সচিব স্যার জন জক কলভিল এর নামে।

৪। তিনি সিনেমা দেখতে পছন্দ করতেন-

তিনি পরিবারের সদস্য, মেহমান ও কর্মচারীদের নিয়ে নিয়মিত সিনেমা দেখতেন। তার পছন্দের চলচ্চিত্র ছিলো “দ্যাট হেমিল্টন ওমেন”। তিনি সঙ্গীত পছন্দ করতেন।

৫। তাঁর মা তাকে ধূমপান পরিহারের জন্য প্রলুব্ধ করতে ঘুষ দিয়েছিলেন-
চার্চিলের বয়স যখন ১৫ বছর তখন তাঁর মা ছেলেকে শর্ত দিয়েছিলেন, যদি চার্চিল আগামী ছয় মাস ধূমপান না করে থাকতে পারে তাহলে তাকে একটি বন্দুক ও একটি টাট্টু ঘোড়া উপহার দিবেন। তিনি এতে সফল হয়েছিলেন তবে সেটা সব সময়ের জন্য নয়।
৬। তিনি তাঁর মেয়ের জামাইকে পছন্দ করতেন না-

চার্চিলের মেয়ে সারা যে ছেলেকে বিয়ে করেছিলেন তাকে তিনি দুচোখে দেখতে পারতেন না। একদিন দুজনে হাঁটতে বেরিয়েছেন। এ সময় মেয়ে জামাই প্রশ্ন করল, যুদ্ধে অংশ নিয়ে প্রশংসাযোগ্য কাজ করেছেন এমন কেউ আছেন কি? চার্চিল প্রায় গর্জন করে উত্তর দিলেন, “হ্যাঁ, একজন আছেন, মুসোলিনি। তিনিই একমাত্র লোক যে কিনা নিজের মেয়ে-জামাইকে গুলি করে মারার সাহস দেখিয়েছিলেন”।

★১৯৩১ সালে নিউইয়র্ক সিটিতে থাকাকালীন ট্যাক্সি ছেড়ে যাওয়ার সময় উইনস্টন চার্চিল একটি গাড়িতে ধাক্কা খেয়েছিলেন। তিনি গাড়ি রাস্তাগুলির পরিবর্তে ডান দিকে তাকিয়ে ছিলেন, কারণ তিনি ইংরেজি রাস্তাগুলির সাথে পরিচিত ছিলেন।
★উইনস্টন চার্চিল তাঁর কুড়ি বছরে থাকাকালীন তিনজন মহিলার কাছে প্রস্তাব করেছিলেন। তিনটি মহিলাই তার অনুরোধ অস্বীকার করেছিলেন, তবে তিনি তাদের সাথে বন্ধুত্বই বজায় রেখেছিলেন।

★”ওএমজি” শব্দের প্রথম জানা ব্যবহারটি 100 বছর আগে চার্চিলকে একটি চিঠিতে ছিল।
★চার্চিল তার ধূমপানের জন্য খুব সুপরিচিত, তাঁর নামে একটি কিউবান সিগারেট রয়েছে।
★চার্চিল May 65 বছর বয়সে ১৯৪০ সালের ১০ মে জাতীয় সরকারের প্রধানমন্ত্রী হন। হিটলার ফ্রান্স এবং নিম্ন দেশগুলিতে আক্রমণ করেছিলেন একই দিন।
★খুব ছোট বয়সেও চার্চিল অত্যন্ত স্বাধীন এবং বিদ্রোহী ছিলেন। এই গুণাবলীর ফলে স্কুলে একটি দুর্বল একাডেমিক রেকর্ড তৈরি হয়েছিল।

★দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় উইনস্টন চার্চিল যখন একটি জাহাজে ভ্রমণ করেছিলেন, তখন তার কাছে একটি লাইফবোট ছিল একটি মেশিনগান লাগানো, যাতে তিনি “যে কোনও মূল্যে ক্যাপচারকে প্রতিরোধ করতে পারেন।”

★চার্চিল সাহিত্যে তাঁর জীবদ্দশায় তিনি চার্লস ডিকেন্স এবং উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের চেয়েও বেশি কিছু লিখেছেন… সম্মিলিত!

★চার্চিল ব্যক্তিগতভাবে ট্যাঙ্কের উন্নয়নে জড়িত ছিলেন। এটি সর্বপ্রথম 1916 সালের সেপ্টেম্বরে ব্রিটিশ সেনাবাহিনী যুদ্ধে ব্যবহার করেছিল।

 আরো কিছু তথ্য : তিনি ছিলেন একজন ফ্যাশন সচেতন মানুষ, তিনি সময় নষ্ট করতেন না, তিনি ক্রিম স্যুপের পরিবর্তে স্বচ্ছ স্যুপ পছন্দ করতেন, তিনি একমাত্র ব্রিটিশ যাকে প্রথম সম্মানসূচক আমেরিকার নাগরিকত্ব দেয়া হয়, ১৯৪৩ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতে দুর্ভিক্ষের জন্য তার নীতিমালা দায়ী ছিলো বলে মনে করা হয়, দুই আঙ্গুলে ভি চিহ্ন দেখিয়ে বিশ্বে সাড়া ফেলেছিলেন তিনি।

 জানেন কী?
এই গান্ধীকে যিনি ‘হাফ নেকেড ফকির’ বলেছিলেন। এই চার্চিল সব সময়ই ছিলেন একজন বিতর্কিত লোক। তিনি তাঁর বর্ণবাদী দৃষ্টিভঙ্গি কখনো গোপন করেননি। তাঁর একজন জীবনীকারের বক্তব্য অনুযায়ী, তিনি একধরনের ‘বর্ণবাদী শ্রেণি বিভাগে বিশ্বাস করতেন। এই শ্রেণি বিভাগে শ্বেতাঙ্গ প্রোটেস্টান্ট খ্রিষ্টান সবার ওপরে, তার নিচে শ্বেতাঙ্গ ক্যাথলিক খ্রিষ্টান। তাদের নিচে ভারতীয়রা এবং তারও নিচে আফ্রিকানরা। রেড ইন্ডিয়ান বা অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসীদের প্রতি শ্বেতাঙ্গ ইউরোপীয়দের নির্মম আচরণের একজন পাঁড় সমর্থক ছিলেন চার্চিল।

মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে ১৯৪৩ সালে বাংলায় দুর্ভিক্ষে (পঞ্চাশের মন্বন্তর) এবং দুর্ভিক্ষ–পরবর্তী মহামারিতে ৩৫ থেকে ৩৮ লাখ মানুষ মারা যায়। এই দুর্ভিক্ষের সময় চার্চিল দুর্ভিক্ষপীড়িত বাংলায় খাদ্য সরবরাহের পরিবর্তে ভারতের চাল ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর জন্য পাঠান এবং গ্রিস এবং অন্যান্য জায়গায় ইউরোপিয়ানদের জন্য বিপুল মজুত গড়ে তোলেন। তিনি বলতেন যে আধপেটা বাঙালির জন্য দুর্ভিক্ষ তেমন কিছু নয়। তিনি দুর্ভিক্ষের জন্য বাঙালিদেরই দায়ী করে বলেন যে তারা ‘খরগোশের মতো গাদা গাদা বাচ্চা পয়দা করে’ বলেই দুর্ভিক্ষ হয়েছে।
‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ’ এই ব্রিটনের মূর্তি এখন পুলিশ পাহারায় রাখতে হচ্ছে। তাঁর নাতনি প্রস্তাব দিয়েছেন মূর্তিটিকে জাদুঘরে তুলে রাখার।

 চার্চিলের উক্তিঃ

★”ইতিহাস আমার প্রতি সদয় হবে কারণ এটি লেখার আমি ইচ্ছা করি।”

★”হতাশাবাদী প্রতিটি সুযোগে অসুবিধা দেখেন, আশাবাদী প্রতিটি অসুবিধায় সুযোগটি দেখেন।”

★”ব্যক্তিগতভাবে আমি শেখার জন্য সর্বদা প্রস্তুত, যদিও আমি সবসময় শেখানো পছন্দ করি না।”

★”আপনার শত্রু আছে? ভাল। এর অর্থ আপনি আপনার জীবনের কোনও কিছুর জন্য দাঁড়িয়েছিলেন।”

★”আপনার শত্রু আছে? ভাল। এর অর্থ আপনি আপনার জীবনের কোনও কিছুর জন্য দাঁড়িয়েছিলেন।”

★”একটি যুদ্ধে আপনাকে কেবল একবার হত্যা করা যেতে পারে, তবে রাজনীতিতে, বহুবার।”

★”বিশ্ব সম্পর্কে অনেক ভয়াবহ মিথ্যা কথা রয়েছে, এবং এর মধ্যে সবচেয়ে খারাপটি হল যে তাদের অর্ধেকই সত্য।

★”যদি তুমি খারাপ পথে যাও তো যেতে থাকো.”

★”কৌশল হ’ল কাউকে এমনভাবে জাহান্নামে যেতে বলার ক্ষমতা যাতে তারা ভ্রমণের অপেক্ষায় থাকে।”

★ বিশ্বের সমগ্র ইতিহাসের সংক্ষিপ্তসার এই যে, যখন জাতিগুলি শক্তিশালী হয়, তারা সবসময় ন্যায়বিচারী হয় না এবং যখন তারা ন্যায়বিচার করতে চায়, তারা আর শক্তিশালী হয় না।”
★ আমরা আমাদের আবাসগুলিকে আকার দিই এবং তারপরে আমাদের আবাসগুলি আমাদের রূপ দেয়”।
★ বলা হয়ে থাকে যে সময়ে সময়ে চেষ্টা করা, অন্য সমস্ত রূপ বাদে গণতন্ত্রই সরকারের সবচেয়ে খারাপ রূপ।”
★ “রক্ত, পরিশ্রম, অশ্রু এবং ঘাম ছাড়া আমার আর কিছু দেওয়ার নেই”।
★”রক্ত, পরিশ্রম, অশ্রু এবং ঘাম ছাড়া আমার আর কিছু দেওয়ার নেই”।
★ নির্জন গাছগুলি যদি একেবারে বৃদ্ধি পায় তবে শক্তিশালী হয়।”
★ একজন ধর্মান্ধ ব্যক্তি হ’ল যে তার মন পরিবর্তন করতে পারে না এবং বিষয় পরিবর্তন করতে পারে না।”
★”আমি খুব খুব সহজেই সন্তুষ্ট।”
★অবিচ্ছিন্ন প্রচেষ্টা – শক্তি বা বুদ্ধি নয় – আমাদের সম্ভাব্যতা আনলক করার মূল চাবিকাঠি।”
★ যুদ্ধ মূলত ভুলের ক্যাটালগ।
★ কেউ যুদ্ধে সাফল্যের গ্যারান্টি দিতে পারে না, তবে কেবল তার প্রাপ্য।”
★”যদি কাউকে জমা দিতে হয় তবে সর্বোত্তম কৃপায় এটি করা ব্যর্থ।”
★“সমস্ত দুর্দান্ত জিনিস সহজ, এবং অনেকগুলি এক কথায় প্রকাশ করা যেতে পারে: স্বাধীনতা; বিচার; সম্মান; দায়িত্ব; করুণা; আশা করি। “
★ সাহস ছাড়াই, অন্যান্য সমস্ত গুণের অর্থ হারাবে।”
★”আমাদের অযৌক্তিক উদ্ভাবনের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে, বিশেষত যখন যুক্তি দ্বারা পরিচালিত হয়।”
★”ইতিহাস বিজয়ী দ্বারা লিখিত হয়.”।
★ “অশিক্ষিত লোকের পক্ষে উদ্ধৃতি বই পড়া ভাল বিষয়।”
★ “সত্যি কথা বলতে খুব ভাল জিনিস, তবে এটি সঠিক হওয়াও খুব জরুরি।”
★ দুর্দান্ত এবং ভাল একই ব্যক্তি খুব কমই হয়।”
★”যখন ঈগল নীরব থাকে, তখন তোতা কাঁপতে শুরু করে।”
★তীব্র জটিলতার মধ্যে থেকে তীব্র সরলতার উদ্ভব হয়।”
★”জীবনের সবচেয়ে বড় শিক্ষাটি হল জেনে রাখা যে এমনকি বোকারাও মাঝে মাঝে ঠিক থাকে” ।
★আমার কথা খেয়ে আমি কখনও বদহজম বোধ করতে পারি নি।”
★ একজন হতাশাবাদী প্রতিটি সুযোগে অসুবিধা দেখেন; একজন আশাবাদী প্রতিটি সমস্যায় সুযোগটি দেখেন।
★ “যা চিন্তা করা ছাড়া তোমার একটি দিনও কাটে না, সেই জিনিসের ব্যাপারে কখনও হাল ছেড়ো না।”
★সাফল্য স্থায়ী নয়, ব্যর্থতা মানেই মৃত্যু নয়। আসল ব্যাপার হচ্ছে সাহস ধরে রাখা।
★ ইতিহাস থেকে যারা শিক্ষা নেয় না, নিজেদের ধ্বংস ডেকে আনার মাধ্যমে তারা ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটায়।

লেখকঃ লিংকন বড়ুয়া
তথ্যসূত্রঃ বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে অনুবাদকরণের মাধ্যমে সংযোজন বিয়োজন করে অজানাকে জানাতেই এই প্রচেষ্টা।