এই ফুলটির জন্মের ইতিহাসটা বেশ নাড়া দেয়ার মত প্রাচীন গ্রীস: আয়নার তখনও আবিস্কার হয়নি, সবাই, সবাইকে তার নিজের রুচীতেই সাজিয়ে দিতো। দিনকাল বেশ চলছিল। ১৭ বছরের একটি যুবক, ভীষণ সুন্দর দেখতে। বেশ চন্চল আর ডানপিটেও বটে। সবাই সৌন্দর্য্যের জন্য ওকে আদর করতো। কিন্তু তা বুঝতো না, কেন না তো নিজেকে কখনো দেখেনি। একদিন এক পুকুরের পাড় দিয়ে যাওয়ার সময়, হঠাৎ করেই তার নিজের চেহারা আবিস্কার করে। তাৎক্ষণিক, নিজের প্রেমে পড়ে যায়।

                        কারাভাজ্জিওর আঁকানার্সিসাস নিজের প্রতিচ্ছবির পানে তাকিয়ে আছে Image source: Wikipedia

আর তো ছেলেকে ধরে রাখা যায় না, প্রায়ই সে সেই পুকুর পাড়ে গিয়ে নিজের রুপে মস্গুল হয়ে থাকে। নানান ভাবে নিজেকে দেখতে শুরু করে। একদিন আচমকা, নিজের ভাড় রাখতে পারেনি। পড়ে যায় সে পুকুরে। সাতার সে জানতো না, ডুবে মারা গেল।

                                                               Liriope Bringing Narcissus before Tiresias, গুইলো কার্পিয়োনি Image source: Wikipedia

এমন মৃত্যুটি কেউই মানতে পারেনি। এমন নিষ্পাপ একটি ছেলের এমন পরিণতি। এই ঘটনা ভগবানদেরকেও বিচলিত করে ফেলে। আমরা জানি যে, ভারতীয়দের মত গ্রীসেও কিন্তু ভগবানের ছড়াছড়ি। এই মৃত্যুটিকে তারাও মানতে পারছিলেন না। কি করা যায়! বিচলিত সব ভগবানই। হঠাৎ করেই ফুলের দায়ীত্বে থাকা ভগবান বলে উঠলেন, “আপনারা সবাই বিশ্রামে যান, দায়ীত্ব আমি নিলাম

কিছু দিন পরে দেখা গেল সেখানে একটি ফুল ফুটে উঠেছে। এমন ফুল কেউ কখনোই দেখেনি আগে, নাম দেয়া হল তারনার্সিসাস ছেলেটি সেই থেকে ফুলের মাঝেই নূতন জীবন ফিরে পেল। জলাশয়েই এই ফুলটি ফোটে, আপন গতিতে মাঝেমাঝেই ফোটে।

Contributed By Khasru Wahid