ভারতবর্ষে আসা প্রাচীন ইতিহাসের দুই ব্যক্তিত্বের সাথে সঠিক উপমা দেয়া দুঃসাধ্য ব্যাপার। দুইজনই অসম সাহসী যোদ্ধা এবং বিজয়ী বীর। একজন হলেন বলিষ্ঠ চেহারা, সুউচ্চতা ও খাড়া নাকবিশিষ্ট গৌড় গাত্রবর্ণের তরুণ দিগ্বীজয়ী আলেকজান্ডার এবং আরেকজন হলেন মৌর্য সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য, যিনি গৌড় গাত্রবর্ণের না হলেও দেখতে আফ্রিকানদের মতো কালোও ছিলেন না। যখন ভারতবর্ষের ভূমিতে শ্রেষ্ঠতর রাজাদের পায়ের ছাপ খুঁজে বেড়াই, তখন তো ইতিহাসখ্যাত এই দুই বিজয়ী বীরের কথা স্মরণ না করে পারা যায় না।
বলছি ‘দ্য গ্রেট’ খ্যাত আলেকজান্ডারের কথা। খ্রিস্টপূর্ব ৩৫৬ অব্দে মেসিডোনিয়ায় জন্ম নেয়া ছোট্ট এক শিশু রাজপুত্র অসম্ভবকে সম্ভব করে ফেলার মতো একটি অবিস্মরণীয় দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন। প্রায় পুরো পৃথিবীকে হাতের মুঠোয় নিয়ে আসার এক অদম্য স্বপ্ন লালন করেছিলেন তিনি নিজের মনে। ইন্দু নদী থেকে নীলনদ পর্যন্ত প্রতিটি ভূমিই তার আয়ত্তাধীন হয়েছিলো। এরই ধারাবাহিকতায় তার ‘ভারতবর্ষ অভিযান’-টি ইতিহাসের এক বিশাল জায়গা দখলের নজির রেখে যায়, যা একইসাথে ছিলো বিপদসঙ্কুল, কিন্তু রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতায় পরিপূর্ণ।
আলেকজান্ডার ছিলেন বিচক্ষণ বীরযোদ্ধা দ্বিতীয় ফিলিপের সন্তান। ফিলিপের সাতজন স্ত্রীর মাঝে চতুর্থ রাণী অলিম্পিয়ার গর্ভে আলেকজান্ডারের জন্ম। তাই অলিম্পিয়াকেই ফিলিপের প্রধান স্ত্রী হিসেবে সম্মান দেয়া হয়। আলেকজান্ডারের পারস্য জয় আসলে উচ্চাভিলাসী অলিম্পিয়ারই বহু প্রতীক্ষার ফসল।
গ্রিস তখন অনেকগুলো ছোট ছোট নগর রাষ্ট্রে বিভক্ত ছিলো। এদের মধ্যে হরহামেশা ছোটখাটো ব্যাপার নিয়ে বিবাদ লেগেই থাকতো। কিন্তু বিচক্ষণ ফিলিপ স্পার্টা বাদে অন্য সবাইকে এক করতে সমর্থ হন। নিজে সুপ্রিম কমান্ডার হয়ে নগর রাষ্ট্রগুলো নিয়ে তিনি পারস্য জয়ের উদ্দেশ্যে একটি সম্মিলিত জোট গঠন করেন। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে নিজ দেহরক্ষী পসানিয়াসের ছুরিকাঘাতে নিহত হন তিনি। যদিও ঘাতককে তখনই মেরে ফেলা হয়, কিন্তু ফিলিপের পারস্য জয়ের স্বপ্ন অসম্পূর্ণ রয়ে যায়।
মেসিডোনিয়া ছিলো ফিলিপের হাতে গড়ে ওঠা ছোট একটি রাজ্য, যা ছিলো এথেন্স, স্পার্টা, থিবস প্রভৃতি রাজ্যগুলোর আধিপত্যের বাইরে। কিন্তু উচ্চাকাঙ্ক্ষী রাজার স্বপ্ন ছিলো আকাশছোঁয়া। তাই মৃত্যুর আগে ছেলে আলেকজান্ডারকে তিনি বলে গেছেন, “নিজের জন্য আরেকটি রাজ্য খোদাই করো, কারণ আমি তোমার জন্য রেখে যাচ্ছি খুব সামান্য”। খ্রিস্টপূর্ব ৩৩৬ অব্দে দ্বিতীয় ফিলিপের মৃত্যু হলে মাত্র ২০ বছর বয়সে মেসিডোনিয়ার সিংহাসনে বসেন তরুণ আলেকজান্ডার। তবে দুঃখজনক ব্যাপার হলো, সিংহাসনে বসার পর তিনি মাত্র বারো বছর জীবিত ছিলেন। এই অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি পারস্য, মিশর, ব্যবিলন এবং ভারতবর্ষের পাঞ্জাব জয় করেন।
সিংহাসনে বসেই সবার আগে বাবা-মা এর স্বপ্ন পূরণের পদক্ষেপ নেন তিনি। প্রথম প্রথম আলেকজান্ডারকে কেউ মেনে নিতে চায় নি। ফিলিপের মৃত্যুতে গ্রিসের নগর রাষ্ট্রগুলো আবারও দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। কিন্তু অদম্য আলেকজান্ডার শক্ত হাতে তাদের বিদ্রোহ দমন করে সবাইকে আবার একজোট করতে সক্ষম হন এবং পারস্য জয়ের উদ্দেশ্যে প্রথম ধাপ পার করেন।
আলেকজান্ডারের শিক্ষা-দীক্ষায় ফিলিপ কোনো ত্রুটি রাখেন নি। স্বয়ং অ্যারিস্টটলকে তিনি তার শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত করেছিলেন এবং ষোলো বছর বয়সে অ্যারিস্টটলের কাছে তার শিক্ষাগ্রহণ শেষ হয়। এরপর আলেকজান্ডার বাবার সামরিক বাহিনীতে যোগ দেন এবং বীরত্বের সাথে বেশ কয়েকটি যুদ্ধে অংশও নেন তিনি।
বহু আকাঙ্ক্ষিত পারস্য জয় কিন্তু শুধু একটি যুদ্ধে সম্ভব হয় নি, পদে পদে বহু সংগ্রামের পর তা পেয়েছিলেন আলেকজান্ডার। তার ছিলো ৫০,০০০ পদাতিক সৈন্য; ৬,০০০ অশ্বারোহী সৈন্য এবং ৪০,০০০ নাবিক ও মাঝি-মাল্লা বিশিষ্ট ১২০ টি জাহাজ। পারস্যে প্রবেশের পথে তিনি কোনো ঝামেলা তৈরী হতে দিতে চান নি। তাই বিচক্ষণ আলেকজান্ডার প্রথমে বলকান অঞ্চলে অভিযান চালান। এরপর মিশরে প্রবেশের পথে ফিলিস্তিনের গাজায় শক্তিশালী বাধার সম্মুখীন হলেও শেষ পর্যন্ত গাজা জয় করেন তিনি। এরপর অবরোধ করেন টায়ার নগর। কথিত আছে, তিনি গাজা ও টায়ারে নির্বিচারে পুরুষদের হত্যা এবং নারীদের বন্দী করেন। এমন হঠকারিতার জন্য মিশরে পৌঁছানোর পর তাকে ‘মিশরের নতুন ফারাও’ ঘোষণা করা হয়। পারস্যের মূল অভিযান শুরু হয় এর পরপরই। অনেকগুলো যুদ্ধের পর অবশেষে ৩৩১ খ্রিস্টপূর্বাব্দে গগোমেলার যুদ্ধে পারস্যরাজ তৃতীয় দারিয়ুসকে পরাজিত করেন তিনি। পরাজিত দারিয়ুস পালিয়ে যায় এবং পরবর্তীতে নিজ সেনাপতিদের হাতেই নিহত হয়।
এরপর একে একে তিনি পূর্ব প্রদেশগুলোর দিকে অভিযান চালান এবং এরপর আফগানিস্তানও দখল করেন। রাজ্যসীমা বাড়িয়ে আলেকজান্ডার সাহসী ও আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠেন এবং ভারতবর্ষ জয়ের লক্ষ্যে এগিয়ে যান।
আলেকজান্ডারের ভারতবর্ষ অভিযান ছিলো তার জীবনের তথা ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। তার এই অভিযানের মাধ্যমে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের এক গভীর মেলবন্ধন গড়ে উঠেছিলো। এই একটি ঘটনাই ইতিহাসে গ্রীক ও ভারতীয় সভ্যতার যোগাযোগের সাক্ষী। খ্রিস্টপূর্ব ৩২৭ অব্দে ককেশাস ইন্ডিকাস বা হিন্দু কুশ পর্বত পাড়ি দিয়ে ভারতবর্ষের সিন্ধু ভূমিতে পা রেখেছিলেন আলেকজান্ডার। তিনি ভারতবর্ষে ৩২৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত অবস্থান করেছিলেন।
মাত্র ত্রিশ বছর বয়সে অর্ধেক পৃথিবীর অধীশ্বর আলেকজান্ডার গ্রীস থেকে উত্তর-পশ্চিম ভারতের দিকে অভিযান পরিচালনা করেন। উত্তর ভারত তখন গ্রিসের মতোই ষোলোটি মহাজনপদ বা নগর রাজ্যে বিভক্ত ছিলো। শক্তিভেদে ভারতবর্ষের কোনো কোনো রাজ্য তিক্ত লড়াই এর মাধ্যমে এবং কোনো কোনোটি সহজ আত্মসমর্পণের মাধ্যমে অর্জন করেন তিনি। প্রথমে পুষ্কলাবতীর রাজা অষ্টককে এবং এরপর অশ্বক জাতিকে পরাজিত করেন। প্রাচীরের শহর আসকোনই দুর্গও জয় করেন তিনি। এরপর তক্ষশীলার রাজা অম্বি ও ঝিলামের রাজা পুরুর সাথে মুখোমুখি যুদ্ধে অংশ নেন তিনি।
তক্ষশীলার রাজা অম্বি স্বেচ্ছায় বশ্যতা স্বীকার করলে আলেকজান্ডার তাকে তক্ষশীলার গভর্নরের দায়িত্ব দেন। নিজ ভূমিতে দায়িত্ব পালনে খুশি হয়ে অম্বি তাকে ৬৫০ টি হাতি, অনেকগুলো বিশেষ আাকারের ভেড়া এবং মূল্যবান জাতের ৩,০০০ ষাঁড় উপহার দিয়েছিলেন। আলেকজান্ডারও অম্বিকে পার্সিয়ান পোশাক, স্বর্ণ ও রৌপ্যবাহী জাহাজ, ৩০ টি ঘোড়া এবং ১,০০০ টি সোনার পোশাক পাঠিয়েছিলেন।
খ্রিস্টপূর্ব ৩২৬ অব্দে আলেকজান্ডার সিন্ধু পেরিয়ে পাঞ্জাবে যান, যেখানে ছিলো রাজা পুরুর শাসন। রোমান ঐতিহাসিক কুইন্টাস রুফাসের মতে, পুরুর রাজ্য সিন্ধু থেকে কাশ্মীরের ঝিলাম পর্যন্ত বিস্তৃত ছিলো। পুরুর সাথে যুদ্ধ চলাকালীন আবহাওয়া খুব খারাপ ছিলো। যুদ্ধে পরাজিত হয়ে পুরু আলেকজান্ডারের কাছে বন্দী হয়। বন্দী পুরুকে যখন আলেকজান্ডার জিজ্ঞাসা করলেন, “আপনার সাথে কেমন আচরণ করা উচিৎ ?” তখন সাহসী রাজা পুরু দৃঢ়তার সাথে জবাব দিয়েছিলেন, “আমার সাথে একজন রাজার মতো ব্যবহার করুন”। পুরুর এমন দৃঢ় জবাবে আলেকজান্ডার মুগ্ধ হয়ে যান এবং তাকে মুক্ত করে পাঞ্জাবের গভর্নর নিযুক্ত করেন। এই ঘটনার পর পুরুকে তিনি বন্ধুর মতো ভালোবাসতেন।
পাঞ্জাব দখল করে আলেকজান্ডার পূর্বে চেনার নদীর দিকে অগ্রসর হন। এরপর তার উদ্দেশ্য ছিলো ভারতবর্ষের গঙ্গাঋদ্ধি বা গঙ্গারিডাই আক্রমণ, যা পরবর্তীকালের বাংলা। তিনি ভারত মহাসাগর হয়ে ব্যবিলনে ফিরতে চেয়েছিলেন। তখন গঙ্গাঋদ্ধির রাজা ছিলো মহাপদ্ম নন্দের ছোট ছেলে ধননন্দ। নন্দ রাজ্য খুব শক্তিশালী ছিলো। সে সময় মগধে ধননন্দের ২০ হাজার ঘোড়া, ২ লক্ষ সেনা, ২ হাজার ঘোড়ার রথ এবং ৩ হাজার হাতি ছিলো। নন্দরাজের এই বিশাল শক্তির বিষয়ে জানতে পেরে আলেকজান্ডারের ক্লান্ত-পরিশ্রান্ত সৈন্যদল ঘাবড়ে যায় ও নিজেদের পরিবারের কাছে ফিরে যাওয়ার আকুতি প্রকাশ করে। কিন্তু আলেকজান্ডার ভারত বিজয় অসম্পূর্ণ রেখে ফিরে যাওয়ার পক্ষে ছিলেন না। তিনি সৈন্যদের অনেক বোঝালেন এবং অসমর্থ হয়ে জেদপূর্বক তিন দিন পর্যন্ত তাঁবু থেকে বের হলেন না। কিন্তু তবুও তিনি শেষ পর্যন্ত তার সেনাদের রাজি করাতে পারেন নি। বিজয়ী আলেকজান্ডার প্রায় সবকিছুই জয় করতে পেরেছিলেন, কিন্তু এ পর্যায়ে এসে তিনি নিজের সৈন্যদলের অনীহাকে জয় করতে পারেন নি এবং এভাবেই তার ভারতবর্ষ জয়ের স্বপ্ন অসম্পূর্ণ রয়ে যায়।
আলেকজান্ডার ফেরার পথে নিজের শাসন পাকাপোক্ত করার উদ্দেশ্যে প্রত্যেক অঞ্চলে কিছুদিন করে অবস্থান করেন। গ্রীক ঐতিহাসিক আরিয়ানের বই থেকে জানা যায়, তিনি যখন বর্তমান পাকিস্তানের তক্ষশীলা আক্রমণ করেন, তখন একদল সাধু তাকে বলেছিলেন, “হে রাজা, একজন মানুষ শুধুমাত্র সেটুকু ভূমিই দখল করতে পারে যেখানে সে দাঁড়িয়ে থাকে। আর আপনিও একজন সামান্য মানুষমাত্র। আপনি যে নিজ বাসভূমি ছেড়ে দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে এতো রাজ্য দখলের চেষ্টা চালাচ্ছেন, তা অন্যায় এবং এর ভর্তুকীস্বরূপ শীঘ্রই আপনি মারা যাবেন। অবশেষে দাফনের জন্য বরাদ্দ জমিটুকু ছাড়া কিছুই আপনার কপালে জুটবে না”। সবচেয়ে অদ্ভূত বিষয় হলো, এই ভবিষ্যদ্বাণীটি আশ্চর্যজনকভাবে সত্যি হয়েছিলো এবং ফেরার পথে ব্যবিলনের নেবুচাদনেজারের প্রাসাদে অবস্থানকালে ৩২৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দে মাত্র ৩২ বছর বয়সে দ্য গ্রেট আলেকজান্ডারের মৃত্যু ঘটে।
গ্রীকদের কাছে ‘স্যান্ড্রোকোটস’ হিসেবে সুপরিচিত চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের সাথে দিগ্বীজয়ী আলেকজান্ডারের একবার দেখা হয়েছিলো। মেগাস্থিনিস গ্রীক রাষ্ট্রদূত ছিলেন, প্রথম সেলিউকাস নিকাতোর তাকে রাষ্ট্রদূত হিসেবে পাঠিয়েছিলেন, তাই মৌর্য আদালতে তার উপস্থিত থাকতে হয়েছিলো। তিনি ‘ইন্ডিকা’-তে মৌর্য বংশ সম্পর্কে লিখেন। আলেকজান্ডার মারা যাওয়ার পর তার সাতজন সেনাপতি নিজেদের মধ্যে সাম্রাজ্য ভাগ করে নিয়েছিলো এবং ভারতবর্ষ পড়েছিলো সেনাপতি প্রথম সেলিউকাস নিকাতোরের ভাগে। কিন্তু দ্রুতই মৌর্যদের উত্থান ঘটে, আর এরই ধারাবাহিকতায় সেলিউকাসের সাথে চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের বিরোধ শুরু হয়। পরবর্তীতে অবশ্য সেলিউকাস তার মেয়ে হেলেনাকে চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের সাথে বিয়ে দিয়েছিলেন। মৌর্য বংশের উত্থানের কারণে গ্রীক শাসন আর বেশিদিন স্থায়ী হয় নি।
পারস্যে আলেকজান্ডার ‘ইস্কান্দার বাদশাহ’ নামে, আর মুসলিম দেশগুলোতে ‘গ্রেট সিকান্দার’ (ইস্কান্দার এর অপভ্রংশ রূপ) নামে পরিচিত ছিলেন। দিল্লীর সুলতান আলাউদ্দিন খিলজি নিজেকে দ্বিতীয় আলেকজান্ডার বলতেন। তিনি ‘সিকান্দার-আল-সানি’ নামে একটি মুদ্রা জারি করেছিলেন।
বিশ্বখ্যাত দিগ্বীজয়ী বীর মহান আলেকজান্ডারের অকস্মাৎ মৃত্যু যেনো নিমিষেই সব অর্জনকে স্থবির করে দিয়েছিলো। তার মৃত্যুর রহস্য আজও সমাধান হয় নি। অনেকে বলেন তার ম্যালেরিয়া হয়েছিলো, আবার অনেকে বলেন তাকে বিষ প্রয়োগে হত্যা করা হয়েছে। ম্যালেরিয়ার পক্ষেই মতামত বেশি পাওয়া গিয়েছে, কারণ মারা যাওয়ার আগে তিনি বেশ অনেকদিন অসুস্থ ও শয্যাশায়ী ছিলেন। তবুও সঠিক ও গ্রহণযোগ্য সমাধান আজও পাওয়া যায় নি। কে জানে, হয়তো দিগ্বীজয়ী হয়েছিলেন কোনো কঠিন ষড়যন্ত্রের বলি, কিংবা প্রকৃতিই হয়তো তার নিজস্ব নিয়মে গ্রাস করে নিয়েছিলো ন্যায়-অন্যায়ের সমতা রক্ষার্থে।