ব্যাক্ট্রিয়া, সেলিউসিড, ডিওডোটিড, ইন্দো-গ্রীক –এ সমস্ত শব্দের ভিড়ে ইতিহাস থেকে একটি অংশ যেনো হারাতে বসেছে। সেই হারিয়ে যাওয়া নামটি হলো ইউথিডেমিড সাম্রাজ্য। গ্রীক কিংবা ইন্দো-গ্রীক ইতিহাসে এই নামটি খুব বেশি আলোচিত হয় নি।
ইউথিডেমিড সাম্রাজ্যটি খ্রিস্টপূর্ব ২২৫ সালে প্রথম ইউথিডেমাস প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ইউথিডেমিডই ছিলো ইন্দো-গ্রীক সাম্রাজ্যের প্রারম্ভিক ধাপ।
আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট এর মৃত্যুর পর ভারতবর্ষের কাছাকাছি অঞ্চলগুলোর দায়িত্ব পেয়েছিলেন তার সেনাপতি সেলিউকাস নিকাতোর, যার মাধ্যমে ব্যাক্ট্রিয়া অঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত হয় সেলিউসিড সাম্রাজ্য। আর এই সেলিউসিড সাম্রাজ্যের ষষ্ঠ রাজা ছিলেন তৃতীয় অ্যান্টিওকাস নিকাতোর।
ব্যাক্ট্রিয় গ্রীকরা যখন স্বাধীনতার দাবিতে বিদ্রোহ শুরু করলেন, তখন তা দমনের জন্য উঠে পড়ে লাগলেন সেলিউসিডরা। এই বিদ্রোহীদের মধ্যে সর্বপ্রথম ছিলেন প্রথম ডিওডোটাস, যার মাধ্যমে ডিওডোটিড সাম্রাজ্যের উৎপত্তি হয়েছিলো। প্রথম ডিওডোটাসের ছেলে দ্বিতীয় ডিওডোটাসকে হত্যা করে শাসনভার নিজের নিয়ন্ত্রণে নেন সত্রপ অ্যাপোলোডোটাসের ছেলে প্রথম ইয়ুথিডেমাস। এই প্রথম ইউথিডেমাসই প্রাথমিক ইন্দো-গ্রীক গোষ্ঠীর সূচনা করেছিলেন ইয়ুথিডেমিড সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে।
খ্রিস্টপূর্ব ২০৮ সালে অ্যারিয়াস বা বর্তমান হেরাত নদীর তীরে তৃতীয় অ্যান্টিওকাস ইউথিডেমাসকে পরাজিত করলেও পরবর্তীতে খ্রিস্টপূর্ব ২০৮ সাল থেকে ২০৬ সাল পর্যন্ত তিন বছর মেয়াদী ব্যাক্ট্রিয় অবরোধ প্রতিহত করতে সমর্থ হয়েছিলেন ইউথিডেমাস। অ্যান্টিওকাস নিজ থেকেই ইউথিডেমাসের সাথে সন্ধিতে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। তিনি নিজের মেয়েকে ইউথিডেমাসের ছেলে ডিমেট্রিয়াসের সাথে বিয়ে দিয়ে এই শান্তিচুক্তিকে স্থায়ী করেছিলেন। পরবর্তীতে ডিমেট্রিয়াসের প্রচেষ্টায় ইন্দো-গ্রীক সাম্রাজ্যের ভিত তৈরী হলেও তাকে সম্পূর্ণ রূপ দিয়েছিলেন রাজা মেনিন্দার।