ক্যালেন্ডারের ইতিহাস

প্রত্যেক বছর পয়লা বৈশাখ এলেই শুরু হয়ে যায় চুলচেরা বিতর্ক! আমাদের ক্যালেন্ডার রচনায় কার অবদান? শশাঙ্ক? না আকবর? পারস্যের নওরোজ না আকবরের ইলাহি থেকে এর শুরু? এই কূট তর্কের মীমাংসার আগে দেখা যাক, কোন প্রয়োজনে মানুষ ক্যালেন্ডার আবিষ্কার করেছিলেন।

মানুষ যখন শিকারি জীবন যাপন করত তখন বছরের হিসাব রাখার কোনো প্রয়োজনই হতো না। তাদের বেঁচে থাকার জন্য খাদ্যের সংস্থান যেখানে থাকত সেখানেই তারা বাসা বাঁধতেন। খাদ্যের যোগান কমে এলেই অন্য অঞ্চলে চলে যেত। এভাবে ঘুরতে ঘুরতে তারা কোন নদীর কিনারে আবিষ্কার করলেন যে নদীতে যে মাছ পাওয়া যায় তার থেকেই তাদের খাদ্য সংস্থান হয়ে যায়। এর সঙ্গে স্থলভাগের বিভিন্ন শস্য এবং ফল-ফলাদিতো ছিলই। এভাবেই বাংলাদেশের মেঘনা নদীর তীরে একদল মানুষ তাদের বসতি স্থাপন করলেন। এবং যেহেতু সেখানে খাদ্যের অফুরান জোগান ছিল সেখানেই তারা স্থায়ীভাবে বাসা বাধলেন। তখন তারা মাথা গোঁজার জন্য ঘর বাড়ি তৈরি করতে পারতেন না। স্বাভাবিকভাবেই আন্দাজ করা যায় যে ক্রান্তীয় অঞ্চলের প্রচন্ড তাপ থেকে বাঁচার জন্য মাটিতে গর্ত খুঁড়ে সেখানে থাকতেন। কিন্তু মেঘনা নদীতে প্রত্যেক বছরই বন্যা হত। সেই কারণে বন্যার সময় সেখানে থাকা সম্ভব ছিল না। কিন্তু ঐ অঞ্চলের খাদ্যের অফুরন্ত যোগান এর জন্য সেই স্থান তারা স্থায়ীভাবে ত্যাগ করতে চাননি। যেমন পরিযায়ী পাখিরা প্রত্যেক বছরই একটা নির্দিষ্ট অঞ্চলে চলে আসে আবার ফেরত চলে যায়।

কিন্তু একই অঞ্চলে ফিরে আসার জন্য বন্যা আসার আগে থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া দরকার, তা নাহোলে বন্যায় বিধ্বস্ত হতে হবে। অতএব বন্যা আসার সময় জানা দরকার,যাতে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেয়া যায়। গরুর বাচ্চা জন্মানোর সময় থেকে বছরের হিসাব রাখার চেষ্টা হয়েছিল, কিন্তু গরুর বাচ্চা গর্ভাধান থেকে ২৮০+/-১০ দিন পরে জন্মায়, কিন্তু এটা বছরের মান থেকে অনেক কম হওয়ায় ফলপ্রসূ হয়নি। ক্যালেন্ডার অবশ্যই তখন আবিষ্কার হয়নি। তারা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছিলেন আকাশের কোন তারা একটা নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে ফের দ্যাখা যায় বা গাছের ছায়া দেখে আন্দাজ করা যেতে পারে, কিন্তু বর্ষার আগে সাধারণভাবে আকাশ মেঘলা থাকে, তাই নিশ্চিত এবং নির্ভুল হিসাব চাই। সেটা কি কোরে সম্ভব? তারা এ সমস্যারও সমাধান বার করলেন।

তাসের প্যাকেটে লাল,কালো- দু রকম রঙের চার রকম তাস থাকে। পানের ছবি দেয়া টেক্কা বা A কে ১, গোলাম বা J কে ১১, বিবি বা Q কে ১২, রাজা বা K কে ১৩ ধরে সমস্ত তাসের সংখ্যা যোগ করলে ৯১ হবে এবং চার রকম তাসের মোট যোগফল হবে ৩৬৪। বছরের দিন সংখ্যা ৩৬৫, লিপ ইয়ারে ৩৬৬। প্রত্যেক তাসের প্যাকেটে কয়েকটি জোকার থাকে, সেখান থেকে যোগ করলেই পুরো বছরের হিসাব পাওয়া যাবে। তখনো কাগজ আবিষ্কার হয়নি, তাহোলে? কি চমকপ্রদভাবে এর সমাধান করলেন!

মাটির ফলকের ওপর তাসের চিহ্ন এঁকে পুড়িয়ে নেয়া হোল এবং খুব সহজেই বছরের হিসাব রাখা সম্ভব হোল। এখনো ঐতিহ্যানুসারে সত্তর আশি বছর আগেও টালির ওপর তাসের চারটে চিহ্ন আঁকা থাকত। এই চিহ্ন আঁকার কারণ ভুলে গিয়ে এখন আর কোন তাসের চিহ্ন দেখা যায় না। সঙ্গের ছবিতে (SS 80) ইস্কাবনের দুটো চিহ্ন আছে। টালি নামকরণ পরে হয়েছে।

মাটির ফলকের ওপর তাসের চিহ্ন

মাটির ফলকের ওপর তাসের চিহ্ন

এখন টালি দিয়ে ঘরের চাল ছাওয়া হয়। যেন চালটা তালি বা তাপ্পি মেরে তৈরি করা হোয়েছে। সাঁওতালি ভাষায় তালি বা তাপ্পি > সতা; সতা> তাস। এবং সাতে> ঘরের চালার শেষ অংশ [১]।

বছরের নাম বছর রাখা হোল:

গরুর বাচ্চাকে বাছুর বলা হয়। আবার গরুর গর্ভপাত— গরুতে বছ ফেলিল। বছ শব্দে গরুর বাছুর বোঝান হয়েছে। এর থেকেই বছর শব্দের উৎপত্তি । আবার সংস্কৃতে বৃষ > ব + অর + ষ > বর্ষ > বছর। তাসের ইংরাজি প্রতিশব্দ কার্ড> কার দ> কাল দ, যার থেকে কালের অর্থাৎ বছরের হিসাব রাখা যায়। পোড়ামাটির টালির আয়ু বড় জোর চার/পাঁচশো বছর এবং খুব সহজেই ভেঙে যায়। অনেকটা জায়গাও লাগে। এই অসুবিধা দূর করলেন আরও একটা উন্নত পদ্ধতি আবিষ্কার করে।

প্রতিমার পেছনের চালচিত্রই ক্যালেন্ডার:

এখন প্রতিমার পেছনে চালচিত্রে মাটি বা শোলার তৈরি বিভিন্ন কারুকাজ করা এবং বিভিন্ন আকারের কলকা দেখা যায়।

দূর্গা প্রতিমার

প্রতিমার

যদি প্রথম সারিতে ৩৬৫ টা কলকা থাকে এবং রোজ একটা করে কলকা ভাঙা হয়, এর থেকে খুব সহজেই দিনের হিসাব রাখা যাবে। দ্বিতীয় সারিতে যদি বারোটা কলকা থাকে, ৩০ দিন অন্তর একটা কলকা ভাঙলেই মাসের হিসেব পাওয়া যাবে অর্থাৎ বর্তমানে কোন ঋতু সেটা জানা যাবে। সঠিক হিসাব রাখার জন্য নিশ্চয়ই কোন একজন নির্দিষ্ট মানুষ থাকতেন, তার দায়িত্বেই থাকত কলকা ভাঙার কাজ।

চালচিত্র নামকরণ:

চাল > চ+আল অর্থাৎ “চ” এল বা পাওয়া গেল!!

চাকা > চ + আঁকা।

চক্র > চ + কর অর্থাৎ করে।

এর থেকে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে চ অর্থ একটা বৃত্ত এবং বছরও একটা বৃত্ত। চিত্র অর্থ ছবি। চালচিত্র নামকরণের পেছনে কারণ এটাই যে এখানে বছরের হিসেব পাওয়া যাবে।

সংস্কৃতে চ অর্থ এবং/ও। রোমান হরফে “০” বৃত্তাকার। (স্বল্প পরিসরে এই আলোচনা সম্ভব নয়)।

আমরা বর্তমানে যে চাল খাই তা কিন্তু লম্বাটে!তাহলে চাল অর্থে গোলাকার কেন বোঝাবে?

শ্যামা এবং ভুরোর চাল কিন্তু গোলাকার। প্রথমে নিশ্চয়ই এই চালই মানুষ আবিষ্কার করেছিল।পরে লম্বাটে চাল আবিষ্কার হয়েছে এবং সেটাই এখন আমাদের প্রধান খাদ্য।

পরবর্তীকালে এই চালচিত্রের সামনে বিভিন্ন প্রতিমা তৈরি করে পুজো শুরু হয়। এবং যেহেতু বছরের হিসাব রাখার আরো অন্য পদ্ধতি আবিষ্কার হয়ে গিয়েছিল। সেই জন্য এই চালচিত্রের ব্যাখ্যা মানুষ ভুলে গেছে।

ক্যালেন্ডার তৈরীর কাল:

মানুষ কবে এই ক্যালেন্ডার তৈরি করেছিল তা কোথাও লেখা নেই। সেই জন্য আজকে আমরা অন্যান্য সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে এই সময় নির্ণয় করতে পারি। মেঘনা নদীর তীরের মানুষেরাই প্রথম উপলব্ধি করেছিলেন যে আমাদের পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘুরছে, সূর্য পৃথিবীর চারদিকে ঘুরছে না এবং পৃথিবী গোলাকার। তারা পৃথিবীটা কত বড় বোঝার চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু চারদিকে ঘন জঙ্গল এবং জঙ্গলে হিংস্র পশু এবং বিষধর সাপের জন্য সেই ইচ্ছে পরিত্যাগ করতে হয়েছিল।

তারা লক্ষ্য করেছিলেন ইঁদুর মাটি খুঁড়ে পৃথিবীর ভেতরে ঢুকে পরে। তারাও ঠিক করলেন ইঁদুরের মতোই গর্ত খুঁড়ে পৃথিবীর উল্টো দিকে গিয়ে দেখবেন সেদিকটা কেমন। কিন্তু দুর্ভাগ্যের না সৌভাগ্যের বিষয় খানিকটা খোঁড়ার পরেই জল উঠে গেল। উল্টোদিকে আর যাওয়া গেল না কিন্তু পাওয়া গেল পরিষ্কার পানীয় জল এবং মাটির তলায় যে তামা লোহা ইত্যাদি ধাতু এবং হিরা চুনি পান্না আছে সেগুলোর সন্ধান। তখন তারা পৃথিবীটা কত বড় তা মেপে দেখেছিলেন। ঋকবেদে [২] এই মাপ পাওয়া যাচ্ছে। তারা অনেকবারই মাপার চেষ্টা করেছিলেন। তার ফলাফল বিভিন্ন মাপ উল্লেখ আছে। সবচাইতে আধুনিক মাপ এর কাছাকাছি সেটা ৩৯৭৮০ কিলোমিটার। যা আধুনিক মাপ থেকে মাত্র ০.৬০৯৩৬২% কম।

মেঘনা নদীর তীরে যে অঞ্চলে কুয়া কেটে পৃথিবীর অপর প্রান্তে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন সেই অঞ্চলের নামকরণ করেছিলেন কুয়াকাটা। এখান থেকেই পৃথিবী মাপা শুরু হয়েছিল এবং পৃথিবী তারা মেপে ছিলেন কর্কটক্রান্তি রেখা বরাবর এবং নিরক্ষবৃত্তের মাপ বার করেছিলেন গোলীয় ত্রিকোণমিতির (Spherical Trigonometry) সাহায্যে। যারা Spherical Trigonometry আবিষ্কার করেছিলেন তাদের বুদ্ধিবৃত্তি কত উঁচু স্তরের ছিল, সহজেই অনুমেয়।

কুয়াকাটা অঞ্চলে কর্কটক্রান্তি রেখা ছিল ২৯৬০১.৬২১৯ বছর আগে। অর্থাৎ এই ক্যালেন্ডার ইত্যাদি আবিষ্কার হয়েছিল এরও অনেক আগে। সেই সময় আজকে আর নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়। কিন্তু অনুমান করা যেতে পারে সেই সুদূর অতীতে মুষ্টিমেয় লোকবল নিয়ে এই কর্মকাণ্ড সমাধা করতে কয়েক হাজার বছর নিশ্চয়ই লেগেছিল। সেই সুদূর অতীতে প্রাগৈতিহাসিক কালে যারা এই কর্মকাণ্ড সমাধা করেছিলেন তারা একটা ক্যালেন্ডার কেন অন্যের কাছে ধার করতে যাবেন? এটা কি বিশ্বাসযোগ্য?

তারা লক্ষ্য করেছিলেন যে বছরের দুটো দিন — একটা বসন্তকালে এবং আরেকটা শরৎকালে সমান হয়। এদের নামকরণ করা হয়েছিল বাসন্তী এবং শারদীয়া বিষুব বিন্দু। এর যেকোনো একটা দিন থাকে বছর শুরু করলে হিসেব রাখা খুবই সহজ হবে। বর্তমানে  বাসন্তী বিষুব বিন্দুর দিন থেকে বছর শুরু করা হয় অর্থাৎ বসন্ত কালে যেদিন দিন রাত সমান হয়। এই দিনটা স্থির নয়। অয়ন চলনের জন্য প্রতিবছর ৫০.২৩” করে ছোট হয়ে যায়। বাংলা বছর চৌদ্দশ ঊনত্রিশ বছর আগে যখন শুরু হয়েছিল তখন ওই দিনেই বাসন্তি বিষুব  দিন সংঘটিত হতো। কিন্তু আজকে আর হচ্ছে না সেটা ২১শে মার্চ হচ্ছে।

তাই ২১শে মার্চ থেকেই বাংলা বছর শুরু হওয়া উচিত। ঋকবেদ এবং সূর্যসিদ্ধান্তে এই অয়ন চলনের উল্লেখ আছে। সূর্যসিদ্ধান্তে উল্লেখ আছে:- ত্রিংশতকৃত্যো যুগে ভানাং চক্রং প্রাকপরিলম্বতে। (SS 82) ত্রিংশত> ৩০, কৃতি> ২০, যুগে> মহাযুগে> ৪৩২০০০০ বছর, ভানাং চক্রং> রাশি চক্র, প্রাক> পূর্বে/আগে, পরিলম্বতে> লম্বমান অর্থাৎ ৯০° অংশ সরে যায়। সরলার্থ:- ৪৩২০০০০ বছরে রাশিচক্র ৩০×২০×৯০×৬০×৬০” আগে সংঘটিত হয়। অর্থাৎ বছরে ৪৫” কমে যায়। অর্থাৎ অয়নাংশ ছিল ৪৫”।

সূর্যসিদ্ধান্তেই উল্লেখ আছে এই অয়নাংশ সংশোধন করেই বছরের হিসাব রাখতে হবে। (SS 83) এবং দুটো বিষুব দিনে ছায়া মেপে নিশ্চিত হোতে হবে। (SS 84) বর্তমানে অয়নাংশ ৫০.২৩”। এবং প্রত্যেক বছর ০.০০০২২২” বেড়ে যায়। অর্থাৎ পেছন দিকে হিসেবে করলে এই পরিমাণ কমে যাবে। এই হিসেবে ২৩৫৫৮.৫৫৮৬ বছর আগে অয়নাংশ ছিল ৪৫”। অতএব এটা নিশ্চিতভাবে বলা যায়, ওই সময়ের অনেক আগে থেকেই তখনকার মানুষের অয়নাংশের ধারণা ছিল। সূর্যসিদ্ধান্ত কোন সময়ে রচিত হয়েছিল?

অনেকেই উল্লেখ করেন, বরাহমিহিরের সূর্যসিদ্ধান্ত! কিন্তু সূর্যসিদ্ধান্তে প্রথমেই উল্লেখ আছে রচয়িতা নিজেকে ময়াসুর নামে ঘোষণা করছেন। অর্থাৎ যখন অসুর নিন্দা বাচক হয়নি এবং সেটা অবশ্যই আধুনিককালে নয়। (SS 85) অর্থাৎ মাঝেমাঝেই আকাশ পর্যবেক্ষণ করে সংশোধন করা হতো। এই সংশোধন যারা করেছেন তাদের নাম সূর্যসিদ্ধান্তে উল্লেখ আছে তাই আমরা এই ভুলের শিকার। যেমন বর্তমানে যে সূর্য সিদ্ধান্ত পাওয়া যাচ্ছে তার ভাষ্যকারের নাম রঙ্গনাথ, তার সময়কাল জাহাঙ্গীরের রাজত্বকাল। (SS 86)

ঋকবেদ

ঋকবেদ এবং সূর্যসিদ্ধান্তে অয়ন

বছরের হিসাব রাখার জন্য ক্যালেন্ডার তৈরি হয়েছিল এই বাংলাতেই মেঘনা নদীর তীরে। সভ্যতার শুরু থেকেই আমাদের এই অঞ্চলের মানুষ এই হিসেবগুলো জানতেন। অতএব ধরে নেয়া যায় তারা যখন বছরের হিসেব রাখতেন তখন এই অয়ন চলন ভুলে গিয়েছিলেন এটা হতে পারে না। অতএব এটা নিরর্থক, বাংলা বছরের শুরু শশাঙ্ক না আকবর করেছিলেন -এই আলোচনা। বেদাঙ্গ জ্যোতিষ গ্রন্থ যখন লিখিত হয়েছিল তখন বছর শুরু হতো চৈত্র মাস থেকে। কিন্তু বর্তমানে প্রচলিত বাংলা সন বৈশাখ মাস থেকে শুরু হয়। অয়ন চলনের জন্যই চৈত্র থেকে বৈশাখে বছর শুরু করা হোয়েছিল।

এর থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় যে চৌদ্দশ ঊনত্রিশ বছর আগে আমাদের পূর্বপুরুষরা তখনো অয়ন চলনের হিসেব জানতেন। বর্তমানে বিবাহ অন্নপ্রাশন গর্ভাধান সাধভক্ষণ এবং বিভিন্ন পূজা ছাড়া বাংলা বছরের হিসেবের কোন প্রয়োজন হয় না। অন্যান্য কাজে আমরা ইংরেজি গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার ব্যবহার করি। প্রসঙ্গত ইংরেজি ক্যালেন্ডারও সংশোধন করা দরকার কারণ ২৫শে ডিসেম্বর বড়দিন শুরু হওয়া ধরা হয় কিন্তু বাস্তবে হয় ২১শে ডিসেম্বর। এই সভ্যতা যখন মেঘনা নদীর তীরে কুয়াকাটা অঞ্চলে রচিত হয়েছিল এবং সেই অঞ্চল বাংলাদেশের অন্তর্গত। এটা নিশ্চিত যে আধুনিক সভ্যতা বাঙালিরই দান। অর্থাৎ সভ্যতা পূর্ব থেকে পশ্চিমে গিয়েছিল; পশ্চিম থেকে পূর্বে আসেনি।

সুত্র:- (১) সাঁওতালি শব্দাবলী ও ভাষা শিক্ষা

বিশ্বনাথ মুর্ম্মূ

প্রকাশক ফার্মা কেএলএম প্রাইভেট লিমিটেড

কোলকাতা  ২০০৩ খ্রীষ্টাব্দ

(২)  ঋকবেদ সংহিতা

প্রকাশক হরফ প্রকাশনী, কোলকাতা, ১৯৭৫