শৈশব থেকে আমার ইচ্ছে ছিল মিলিটারী কলেজে পড়াশুনা করা। ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছিলাম তিন বার। প্রথম দু’বার অকৃতকার্য হবার পর একজন সামরিক বাহিনীর টিউটরের সহায়তায় তৃতীয় বারে পাশ করেছিলাম। ১৮৯৩ সালে, আঠারো বছর বয়সে আমি স্যান্ডহার্স্টের (Sandhurst) রয়েল মিলিটারী কলেজে ভর্তি হই। শিক্ষা জীবনে শুধুমাত্র ইতিহাস এবং ইংরেজী বিষয় ছাড়া আর সব বিষয়ে আমি ছিলাম খুবই কাঁচা। টেনে টুনে পাশ করে পার করেছিলাম মিলিটারী কলেজের শিক্ষা জীবন। সামরিক বাহিনী থেকে সাময়িক ছুটি নিয়ে লন্ডনের একটি পত্রিকায় সংবাদদাতার চাকুরী নিয়ে চলে যাই কিউবা। পরবর্তীতে সেনাবাহিনীর একজন অফিসার এবং যুদ্ধের সংবাদদাতা হিসাবে কাজ করি ভারতবর্ষ এবং সুদানে।

শিশু চার্চিল; Source: pinterest

আগেই বলে নেই, যৌবন কাল থেকে আমার বিশ্বাস জন্মাতে থাকে যে, প্রজ্ঞার দিক থেকে মানব জাতি বিভিন্ন শ্রেণী বিন্যাসে বিভক্ত। আমি ডারউইনীয় (Darwinian) জাতিগত শ্রেনী বিন্যাসে বিশ্বাসী। আমার দৃষ্টিতে শেতাঙ্গ-খ্রীষ্টান প্রটেস্ট্যান্ট (Protestant) সব জাতির শীর্ষে, তারপরের নীচু স্তরে আছে শেতাঙ্গ-খ্রীষ্টান ক্যাথলিক, তারপরের স্তরে ভারতবর্ষের জাতিগোষ্ঠী, এবং সর্ব নিম্নে আফ্রিকানরা। আমি নিজেকে ডারউইনীয় সামাজিক শ্রেণী বিন্যাসের সবচেয়ে উচ্চ পর্যায়ে মনে করি। আমার রাজনৈতিক মতাদর্শের ভিত্তি হলো, ব্রিটেনের স্বার্থ আমার কাছে প্রথম এবং সবচেয়ে অগ্রাধিকারপূর্ণ। আমার এই মতাদর্শকে অনেকে বর্ণবাদী মনে করতে পারে। এতে অবশ্য আমার কিছু যায় আসে না।

১৮৯৯ সাল। সুদান এবং ভারতবর্ষের পরে আমার পরবর্তী কর্মস্থল ছিল দক্ষিণ আফ্রিকায়। দক্ষিণ আফ্রিকাতে একদিন আমি এক সামরিক বাহিনীর ট্রেনে করে যাচ্ছিলাম অন্য এক শহরে। যাত্রার মাঝ পথে বয়ের্স (Boers) নামের একদল ডাচ (Dutch) জনগোষ্ঠী গুপ্ত হামলা করে ট্রেনটিতে। স্বভাবতই ভয় পেয়ে যাই। আমাকে করা হয় বন্দী। দ্রুতই সাহস সঞ্চার করে পরিকল্পনা করতে লাগলাম কি করে পালানো যায়। আরো দুই বন্দী সহকর্মীর সাথে একদিন কারাগারের প্রাচীর টপকিয়ে পালালাম তিনজনে। কোনো সঠিক পরিকল্পনা ছাড়াই যে যেদিকে পারলাম ছুটে চললাম। আমি রাতের অন্ধকারে আশ্রয় নিলাম নিকটস্থ কয়লাখনির এক ইংরেজ ম্যানেজারের বাড়ীতে। ভদ্রলোক আমাকে তিনদিন লুকিয়ে রাখেন কয়লাখনির এক সুড়ঙ্গে। সুড়ঙ্গের অন্ধকারে সেই তিনদিন অতিবাহিত করা আমার জন্য ছিল ভয়ঙ্কর এক অভিজ্ঞতা। তিনদিন পর, খনির ম্যানেজার গোপনে একটি উলের (Wool-filled) রেলগাড়ীতে আমাকে তুলে দিলেন মোজাম্বিকের পথে। মোজাম্বিকে কিছুদিন থাকার পর সুযোগ মতো একটি জাহাজে করে চলে যাই দক্ষিণ আফ্রিকায়। সেখান থেকে ফিরে গেলাম ব্রিটেনে। ব্রিটিশ সরকার আমাকে স্বীকৃতি দিলো একজন নব্য হিরো হিসেবে। শুরু হলো আমার জীবনের অন্য অধ্যায়।

সেনাবাহিনীর পোশাকে চার্চিল; Source: pinterest

১৯০০ সাল। সূত্রপাত হলো আমার রাজনৈতিক জীবনের। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্য নির্বাচিত হয়ে গেলাম ঐ বছরই। একটানা পরবর্তী ৬০ বছর ছিলাম এই পার্লামেন্টের সদস্য। ১৯১১ সালে আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হলো ব্রিটিশ নৌবাহিনীর। এরই মধ্যে ১৯১৪ সালে আরম্ভ হয়ে গেল প্রথম বিশ্বযুদ্ধ। তুরস্কের অটোমান (Ottoman) সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে গোপন পরিকল্পনা করলাম এক নৌ হামলার। আমার দৃঢ় বিশ্বাস ছিল যে, এই হামলা আমাকে এনে দিবে প্রত্যাশিত বিজয়, এবং সাথে সাথে রাশিয়ার সঙ্গে ব্রিটেনের সম্পর্কও জোরদার হবে। কিন্তু বাঁধ সাধলো আমার দুর্ভাগ্য। ১৯১৫ সালের মার্চ মাসে আমাদের যুদ্ধ জাহাজগুলো তুরস্কের দার্দানেলেস প্রণালীতে (Dardanelles strait) ঢোকার পর অটোমানদের গোলার হামলায় ডুবে যায় আমাদের তিনটি যুদ্ধ জাহাজ, মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয় আরো তিনটি। তুরস্কের গ্যালিপোলিতে (Gallipoli) দীর্ঘ যুদ্ধে ব্রিটিশ জোটের হতাহতের সংখ্যা দাঁড়ায় ২৫০,০০০ তে। অটোমানদের যুদ্ধ কৌশল এবং রন শক্তি সম্বন্ধে আমার ধারণা ছিল ভুল। এই পরাজয়ে আমাকে সরে যেতে হয় নৌ বাহিনীর প্রধান পদ থেকে। পরাজয়টি ছিল আমার জন্য অনেক অপমানকর এবং লজ্জাজনক। মানসিকভাবে ছিলাম খুবই বিপর্যস্ত। রাজনীতি থেকে সাময়িকভাবে স্বেছায় নির্বাসনে থাকি কয়েক বছর।

সংসদ সদস্য হিসেবে নিযুক্ত চার্চিল;

১৯১৬ সাল। আমি পার্লামেন্টে ফিরে আসি আবার। প্রথম বিশ্ব যুদ্ধ তখন চলছে পুরোদমে। আমি পার্লামেন্টে বারবার যুক্তি দেখাই যে, অটোমানদের ঠেকাতে হলে আমাদের অবশ্যই মাস্টার্ড (Mustard) গ্যাস ব্যবহার করতে হবে। আমার কাছে কখনোই মনে হয় নি, যুদ্ধে বিষাক্ত গ্যাস ব্যবহার করা অন্যায় কিছু। আমার বোধগম্য হতো না কিছুতেই, যেখানে আমাদের সৈন্যরা যুদ্ধক্ষেত্রে নিহত হচ্ছে অকাতরে, সেখানে বিষাক্ত গ্যাস ব্যবহার করা কেন উচিত হবে না। পার্লামেন্টে আমার সহকর্মীরা যুদ্ধক্ষেত্রে গ্যাস ব্যবহার কখনোই সমর্থন করে নি। ব্রিটেনের শত্রুকে পরাজয় করতে আমি সবসময় প্রাণঘাতী নয় এমন গ্যাস ব্যবহারের পক্ষে ছিলাম। এর প্রধান কারণ হলো, আমার কাছে ব্রিটেনের স্বার্থই সব সময় বড়, অন্য সব কিছু ছিল তুচ্ছ।

১৯১৯ সাল। আমাকে দায়িত্ব দেয়া হলো যুদ্ধ এবং বিমান বিষয়ক মন্ত্রীর। ১৯২০ সালের জুলাই মাসে দেখা দিল ব্রিটিশ শাসিত মেসোপটেমীয়ায় (বর্তমানের ইরাক) আরব এবং কুর্দীদের এক সংগঠিত বিদ্রোহ। আমি তখন সেখানে ব্রিটিশ কমান্ডারদের আদেশ দিয়ে রাখলাম, প্রয়োজনে বিমান থেকে টিয়ার গ্যাসের বোমা নিক্ষেপ করতে। কিন্তু ঐ সময় আমাদের কমান্ডারদের কাছে গ্যাস-বোমার কোন মজুত ছিল না। মিশর থেকে গ্যাস-বোমা আনতে আনতে বিদ্রোহের তীব্রতাও কমে যায়। তখন গ্যাস-বোমা ব্যবহার করার আর কোনো প্রয়োজন ছিল না। ১৯২১ সাল। আমাকে করা হয় উপনিবেশ (Colony) বিষয়ক মন্ত্রী। আবারো বিদ্রোহের সম্ভবনা দেখা দিলে, রয়েল এয়ার ফোর্সের কমান্ডার গ্যাস-বোমা ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে পত্র পাঠায় আমাকে। আমি নির্দ্বিধায় তা অনুমোদন করি। আমার বরাবরই যুক্তি ছিল যে, অল্প খরচে এবং কম শক্তি প্রয়োগ করে যে কোন যুদ্ধ বা বিদ্রোহ দমন করা যেতে পারে গ্যাস-বোমা ব্যবহার করে। এবারও গ্যাস-বোমার ব্যবহার হয় নি। কারণ, অল্প কিছুদিন পরই ওয়াশিংটন অস্ত্র নিরস্ত্রীকরণ সম্মেলনে (Washington Disarmament) টিয়ার গ্যাস ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়।

সহধর্মিণীর সাথে স্যার উইনস্টন চার্চিল; Source: pinterest

১৯৩১ সাল। গান্ধীকে যখন ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের জন্য গ্রেফতার করা হলো, আমি তখন ক্যাবিনেটে বলেছিলাম যে, গান্ধীকে যেনো কোনভাবেই জেল থেকে ছাড়া না হয়। গান্ধী যখন জেলে অনশন ধর্মঘট করছিল, আমি তখন মনে প্রাণে চাচ্ছিলাম গান্ধী যেন অনশনেই মারা যায়। আমি তখন বলেছিলাম যে, গান্ধী যদি স্বেচ্ছায় অনশন করে তার মৃত্যু চায়, তাহলে সেটাই হোক। গান্ধীর জন্য আমার কখনও বিন্দুমাত্র সহানুভূতি ছিল না। ভারতবর্ষে মহাত্মা গান্ধী ছিল আমার সবচেয়ে অপ্রিয় একজন ব্যক্তিত্ব, কারণ গান্ধী ছিল আমাদের ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের প্রতি এক হুমকি। আমি আগেই বলেছি যে, ভারত বর্ষ এবং আফ্রিকার জনগোষ্ঠী আমাদের ব্রিটিশদের থেকে অনেক নিম্ন স্তরের। আমার মতে, আফ্রিকার এবং ভারতবর্ষের লোকেরা খুবই অসভ্য এবং বর্বর। তাই বলে আমি বর্ণবাদী নই। যা সত্য বলে আমি মনে করি, তাই বললাম, এবং তা’তেই আমি বিশ্বাসী। আমি সাথে সাথে এটাও বিশ্বাস করি যে, নিম্ন স্তরের জনগোষ্ঠীর প্রতি অমানবিক আচরণ করাও উচিত নয়।

তারপর অনেক সময় পেরিয়ে গেছে। হিটলারের উত্থান হলো। ইউরোপে হলো রাজনৈতিক আবর্তন এবং বিবর্তন। বিশ্বজুড়ে আমাদের সমালোচনা চললো এই বলে যে, আমরা অস্ট্রেলিয়া এবং আমেরিকা দখল করে অন্যায় করেছি। ১৯৩৭ সালে আমি পার্লামেন্টে বলেছিলেন যে, আমি স্বীকার করি না যে আমেরিকার রেড ইন্ডিয়ান বা অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসীদের প্রতি কোন বড় রকমের অন্যায় করা হয়েছে। আমরা এক শক্তিশালী এবং জ্ঞানসম্পন্ন জাতি। ঐ সব আদিবাসীরা জানতো না কি করে সমাজকে উন্নত করা যায়। ঐ দেশগুলো দখল করে ব্রিটেন কোনো অন্যায় করে নি। ১৯৩৯ আরম্ভ হলো দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধ। ১৯৪০ সালে আমি প্রধান মন্ত্রী নির্বাচিত হলাম। আমার অগ্রাধিকার হয়ে পড়লো যুদ্ধ এবং ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা। আমি সজ্ঞানে অগ্রাহ্য করতে থাকলাম অন্য সব বিষয়। আমার একটাই লক্ষ্য ছিল, কিভাবে ব্রিটেনকে তথা ইউরোপকে হিটলারের হাত থেকে রক্ষা করবো। এই লক্ষ্যেই সংগ্রহ করতে লাগলাম পর্যাপ্ত সম্পদ এবং খাদ্য সামগ্রী। হয়ে পড়লাম প্রচন্ডভাবে স্বার্থন্বেষী। আমার চিন্তা-ভাবনায় তখন ছিল শুধু ব্রিটেনের স্বার্থ।

উইনস্টন চার্চিল ও জোসেফ স্ট্যালিন; Source: gettyimages

১৯৪১ সাল। ভারতবর্ষে দেখা দিয়েছে দূর্ভিক্ষ। আমার বিশ্বাস, এই দূর্ভিক্ষের জন্য অধিকাংশে দায়ী ছিল বাংলার জনগোষ্ঠীই। ঐ দূর্ভিক্ষটি আমার কাছে তখন একেবারেই গুরুত্বপূর্ণ ছিল না। আমার প্রথম এবং একমাত্র অগ্রাধিকার ছিল ব্রিটেনকে তথা ইউরোপকে রক্ষা করা। বাংলার দূর্ভিক্ষের জন্য আনীত অস্ট্রেলিয়ার খাদ্যবাহী জাহাজ ইউরোপ যাবার আদেশ আমিই দিয়েছিলাম সজ্ঞানে। কারণ, আমার মনে হচ্ছিলো, ইউরোপে তখন খাদ্যের প্রয়োজন হতে পারে। আমার ঐ সিদ্ধান্তের আরেকটি কারণ ছিল। আমার আশংকা ছিল, বার্মায় অবস্থানরত জাপানীরা সহসাই পূর্ব বাংলা দখল করে নিবে। যদি তাই করে, তাহলে এই প্রচুর খাদ্য সামগ্রী চলে যাবে জাপানীদের হাতে। এই সিদ্ধান্তের জন্য আমার অনেক কঠিন সমালোচনা হয়েছে, এখনো হচ্ছে। কিন্তু, আমি আমার ঐ কঠোর সিদ্ধান্তের জন্য একেবারেই দুঃখিত নই।

১৯৪৫ সাল। বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তি হয়েছে। দৃঢ়ভাবে ব্রিটেনকে নেতৃত্ব দিয়ে হারিয়েছি জার্মানদের। ব্রটেনে হলো সাধারণ নির্বাচন। হারালাম আমার প্রধানমন্ত্রীত্ব। ভাবতেই অবাক লাগে, যে জনগণকে সাহসের সাথে একত্রিত রেখেছিলাম, নেতৃত্ব দিয়েছিলাম যুদ্ধের সময়, সে জনগণ ভোট দিয়ে আমাকে ক্ষমতা থেকে করলো বিদায়। রাজনীতির গণিত বোঝা কঠিন। অবশ্য আমি আমার প্রধানমন্ত্রীত্ত ফিরে পেয়েছিলাম ১৯৫১ সালে। ১৯৫৩ সালে আমাকে সাহিত্যে নোবেল পুরষ্কার দেয়া হয়। আমার সাহিত্য কর্মে এবং বক্তৃতায় উচ্চ মানবিক মূল্যবোধ তুলে ধরায় এবং রক্ষায় এই সম্মাননা। ১৯৫৫ সালে শারীরিক এনং মানসিক কারণে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তেফা দেই। জীবনের শেষ দিকে সব ধর্মের প্রতি আমার আগ্রহ বেড়ে যায়। বিশেষ করে ইসলাম ধর্মের প্রতি হয়ে পড়ি অনুরক্ত। আমার পরিবারের অনেকেই আশংকায় ছিল, আমি হয়তো শেষ-মেষ ইসলাম ধর্ম অবলম্বন করবো। কিন্তু সেটা আর হয়ে উঠে নি।

আমাকে প্রায়ই প্রশ্ন করা হয়, হিটলারকে আমি কেমনভাবে দেখি। আমি সব সময় বলে এসেছি যে, ব্রিটেন যদি দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধে পরাজিত হয়, হারানো সম্মান ফিরে পেতে ব্রিটেনের প্রয়োজন হবে আরেকটি হিটলারের। আমি কখনো হিটলারের সামরিক আগ্রাসনকে সমর্থন করি না, কিন্তু জার্মান জনগণের জন্য তার সামাজিক চিন্তা-ভাবনা, নীতি খুবই প্রশংসনীয়। এ দিক থেকে আমি হিটলারকে পছন্দ করি। আমার অনেক রাজনৈতিক এবং রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত ছিল কঠোর। আমার অনেক বক্তব্যও ছিল অপ্রিয়। অনেকেই এতে ব্যথিত হয়েছে। আমি আমার কোনো সিদ্ধান্তের জন্য কখনও অনুতপ্ত নই, দুঃখিত তো নই-ই। আমি সব কিছুই করেছি আমার নিজস্ব বিশ্বাস থেকে। আমি ভালো করে জানি যে, ইতিহাসে আমার মূল্যায়ন করা হবে দু’টো ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গী থেকে। একদল আমাকে দেখবে হিরো এবং মুক্তির প্রতীক হিসেবে। আরেকদল দেখবে আমাকে একজন বিশ্ব-খলনায়ক এবং বর্ণবাদী হিসেবে। যে ভাবেই আমাকে দেখা হোক না কেন, আমি তাতে খুব একটা আগ্রহী নই। ইতিহাস আমাকে কেমন ভাবে বিচার করবে, তা’ ইতিহাসের সমস্যা, আমার মাথা ব্যথা নয়।

তথ্যসূত্র:
* A. Taylor, R. James, et. al: “Churchill: Four Faces and the Man.” Penguin Books, (1973)