পুরানো ঢাকার চকবাজার সোয়ারীঘাট এর চম্পাবতী এলাকায় এটির অবস্থান। বড় কাটরার পূর্ব দিকে প্রায় ১৮৩ মিটার পূর্বে, হাকিম হাবিবুর রহমান লেনে বুড়িগঙ্গার তীরে(পুরাতন মোগল ঢাকায় ) চম্পা বিবির মাজার নামেই বেশি পরিচিত। পুরানো ঢাকার চকবাজার থানার  সোয়ারীঘাটের চম্পাতলী এলাকার নামকরণ করা হয় চম্পা বিবির নামানুসারে।

তার পরিচয় সম্বন্ধে সঠিক ইতিহাস পাওয়া যায়নি। তিনি ছিলেন শায়েস্তা খাঁর উপপত্নী বা পালিত কন্যা। ১৬৭১ খ্রিষ্টাব্দে শায়েস্থা খাঁ ছোট-কাটরার ভেতরে চম্পা বিবির সমাধি সৌধ নির্মাণ করেন। ১৭১৬ সালে মোগল রাজধানী পরিবর্তনের পর থেকে ছোট কাটরা মোগল  ঢাকা এর গুরুত্ব হারাতে থাকে। ১৮২২ সালের চার্লস ডয়েস-এর বর্ণনাও কাটরার সৌন্দর্যের  সাক্ষ্য দেয় এবং তখনও এর বাসিন্দারা ছিল দরিদ্র। ১৮১৬ সালে লিওনার্দ ( একজন মিশনারি) একজন পুরুষ ও নারী ছোট কাটরায় ঢাকার প্রথম ইংরেজি স্কুল খুলেছিলেন। ১৮৫৭ সালে এখানে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল ঢাকার প্রথম নর্মাল স্কুল। উনিশ শতকের শেষ দিকে অথবা বিশ শতকের প্রথম দিকে ছোট কাটরা ছিল নবাব পরিবারের দখলে এবং তাতে তখন ‘কয়লা ও চুনার কারখানার’ কাজ চলত।

জল রং এ আঁকা ছোট কাটরা

বর্তমানে ছোট কাটরা বা চম্পা বিবির সমাধিসৌধ বলতে এখন কিছুই বাকি নেই, শুধু একটি ভাঙ্গা ইমারত ছাড়া। যা শুধু বিশাল তোরণের মতো সরু গলির উপর দাঁড়িয়ে আছে। চারদিকে অসংখ্য দোকান এমনভাবে ঘিরে ধরেছে যে দেখে বোঝার উপায় নেই যে এখানে মোঘল আমলের এমন একটি স্থাপত্য ছিল। এখানে পর্যটকরা তেমন একটা আসেনা; কারন সমাধিসৌধটি এখন নেই এবং মাজার চত্বরটি দখল হয়ে গেছে। পরবর্তীকালে প্রত্নতত্ত্ববিদগণের পুনঃ নির্মাণ করেন।

মুনশী রহমান আলী তায়েশ (গবেষক) তার উর্দু ভাষায় রচিত ‘তাওয়ারিখে ঢাকা’, ডক্টর আ ম ম  শরফুদ্দীন কর্তৃক অনুদানকৃত বইয়ে সমাধিসৌধটির ধ্বংস সম্বন্ধে লিখেছেন,  ’’ পাদ্রী শেফার্ড ওটা ধ্বংস করে দিয়েছেন। শেফার্ড বোধহয় কবরটি মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছে।‘’ এটি ঘটেছিলো ১৮১৬ সালে মিশনারি লেওনার্দ কতৃক ছোট কাটরায় ইংরেজি স্কুল খোলার পর।

ছোট কাটারার প্রবেশদ্বার