প্রায় ১০০০ বছর আগে ‘কীয়েইচি’ নামের একজন হাস্যোজ্জ্বল বৌদ্ধ ভিক্ষু চীনে বাস করতেন। তার আসল নাম ছিলো ‘বুদাই’ বা ‘হোতেই’ বা ‘পুতেই’। তিনিই ‘লাফিং বুদ্ধ’ নামে পরিচিত। তার মূর্তিগুলোতে দেখা যায়, অনেক বড় মেদওয়ালা পেট, টাক মাথা, প্রার্থনার ঢিলেঢালা পোশাকে কাঁধে একটি পুঁটলি সমেত হাসিমাখা চেহারার একজন ব্যক্তি ছিলেন তিনি। তাকে সবচেয়ে বেশি পছন্দ করতো শিশুরা। শিশুরা এলেই কাঁধের পুঁটলি থেকে চকলেট বের করে তাদের দিতেন তিনি এবং এরপর আকাশের দিকে তাকিয়ে সজোরে হেসে উঠতেন। তার দেখাদেখি শিশুরাও হেসে উঠতো। তিনি দরিদ্র ছিলেন, কিন্তু অন্যকে আনন্দ দিয়ে নিজেও আনন্দিত হতেন। গৌতম বুদ্ধের মতো তাকেও ‘অবতার’ বলেই মানেন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা। চীন ও জাপানে লাফিং বুদ্ধের মূর্তিকে সৌভাগ্যদায়ী বলে বিশ্বাস করা হয়। আর লোকবিশ্বাস অনুযায়ী, তার ভাস্কর্যের পেটে হাত বুলালে সৌভাগ্য, সমৃদ্ধি, প্রাচুর্য ও উন্নতি সাধন হয়। তাই এই মূর্তি বাড়িতে থাকলে চারপাশে পজিটিভ এনার্জি বজায় থাকে বলে বিশ্বাস করা হয়।