সম্রাট আকবর বা সম্রাট হুমায়ূন কারো পক্ষেই সমগ্র বাংলাকে মুঘল সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব হয়ে ওঠে নি। বিশেষ করে পূর্ব বাংলা বহু দিন যাবৎ মুঘলদের অধীনে ছিলো না। অবশেষে জাহাঙ্গীর সম্রাট হবার পর এই বিষয়টি বিশ্লেষণে মনোযোগফ দিলেন। গভীরভাবে চিন্তা-ভাবনা করে এবং আগের সব যুদ্ধ পরিস্থিতি যাচাই করে তিনি বুঝতে পারলেন যে, বাংলার ভৌগোলিক অবস্থা ঠিকভাবে না বুঝে যুদ্ধে যাবার ফলে বার বার পরাজিত হয়ে আসছে মুঘলরা। বাংলা থেকে বিশাল দূরত্বে অবস্থিত উত্তর ভারতের শুষ্ক এলাকা আগ্রা বা দিল্লী থেকে এসে বাংলার খাল-বিল, নদ-নদীর রাজ্য জয় করতে মুঘলরা হিমশিম খাচ্ছিলো। বাংলাদেশের পরিবেশ, নিরন্তর জোয়ার-ভাটা, অজস্র নদ-নদী, বন্যা মুঘলদের কাছে ছিলো বিরাট প্রতিবন্ধকতা, সৈন্যদের জন্য ছিলো একেবারেই নতুন পরিবেশ।

বাংলার বারো ভূঁইয়াদের সাথে যুদ্ধ করতে এই দেশে নৌকা ছাড়া কোনো বিকল্প ছিলো না। বিশেষ করে বর্ষাকালে প্রচুর বৃষ্টি ও বন্যায় চারদিক পানিতে থৈ থৈ করে। খাল-বিলগুলো জোয়ারের পানিতে ভরে থাকে। কিন্তু নদী ও বন্যাকে মোকাবেলার জন্য মুঘলদের সেই সময় কোনো প্রস্তুতি ছিলো না। ঘোড়ায় চড়ে যুদ্ধ করতে অভ্যস্ত ছিলো তারা। নৌকাতে চড়ে যুদ্ধ করবার কৌশলও ছিলো তাদের অজানা। তাই পরিবর্তন করতে হলো তাদের যুদ্ধের কৌশল।

 

বাংলাকে জয় করবার জন্য সম্রাট জাহাঙ্গীর ছিলেন দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। সব দিক বিবেচনা করেই তিনি তার ছোটবেলার বন্ধু ও দুধভাই

ধ্বংসাবশেষে পরিণত হওয়া রত্ননগরী কাত্রাবোর ইসলাম খান

ইসলাম খান

কে বাংলার সুবাদার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন। ইসলাম খানও গ্রহণ করলেন চ্যালেঞ্জটি। প্রচন্ড প্রতাপের মানুষ এই ইসলাম খান। মুঘল দরবারে তার খুব নামডাক। বাংলায় মুঘল আধিপত্য প্রতিষ্ঠার প্রধান নায়ক তো তিনিই। ঢাকাকে রাজধানী বানিয়ে সুবা পরিচালনার ক্ষেত্রে জাদুকরী ভূমিকা রেখেছেন ইসলাম খান চিশতী (১৬১০-১৬১৩ সাল)। দায়িত্ব প্রশস্ত হবার পর তিনি প্রথম বছর ভারতের তান্ডায় ঘাঁটি গেড়ে সেখান থেকেই তার নৌবাহিনীকে শক্তিশালী করে তোলেন। এক বছর পর ঢাকায় এসে ঢাকাকে রাজধানী বানান ইসলাম খান। এরই মাঝে একটু একটূ করে কোণঠাসা করে ফেলেন অন্যান্য বারো ভূঁইয়াদের। বারো ভূঁইয়াদের প্রধান ঈশা খানের মৃত্যুর পর শক্তিশালী প্রতিরোধ আসে তার ছেলেদের কাছ থেকে। ইসলাম খানের ঢাকাকে রাজধানী করবার উদ্দেশ্যই ছিলো, শীতলক্ষ্যার তীরে অবস্থিত ঈশা খানের ছেলে ও মুঘল বিরোধী অভিযানের অন্যতম প্রধান নেতা মুসা খানের রাজধানী কাত্রাবো দখল করে দ্রুত বাংলা থেকে বারো ভূঁইয়াদের সরিয়ে দেয়া।

ধ্বংসাবশেষে পরিণত হওয়া রত্ননগরী কাত্রাবো ম্যাপ

কাত্রাবো নগরীর পরিকল্পনা ম্যাপ

ঈশা খানের আরেক ছেলে দাউদ খানকে পরাজিত করবার জন্য মুঘল সেনাপতি মির্জা নাথান কাত্রাবোর বিপরীত দিকে, অর্থাৎ শীতলক্ষ্যা নদীর পশ্চিম তীরে ঘাঁটি গাড়লেন। খুবই অল্প সময়ের মধ্যে তিনি সেখানে একটি দুর্গ গড়ে তুললেন। দুর্গের ভেতরে স্থাপন করলেন কামানও। আর দুর্গের চারদিকে খনন করলেন গভীর পরিখা। নিমিষেই শক্তিশালী করে তুললেন শীতলক্ষ্যার পশ্চিম তীরের ঘাঁটিকে।

এবার একটু ফ্ল্যাশব্যাকে যাওয়া যাক। ঠিক কি ঘটেছিলো সে সময় কাত্রাবোতে? ১৬১১ সাল। নববর্ষের উৎসবমুখরিত সকাল। মুঘল ক্যাম্পের এক জরুরি সভায় মির্জা নাথান, ইসলাম খান চিশতী এবং মুঘল সেনাবাহিনীর প্রধান কয়েকজন উপস্থিত হয়েছেন। সমগ্র বাংলাকে মুঘল সাম্রাজ্যের অংশ হিসেবে যুক্ত করার ক্ষেত্রে শীতলক্ষ্যার তীরের কাত্রাবোর এই যুদ্ধ ছিলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

সুবাদার ইসলাম খান চিশতী এসেছেন ঢাকা থেকে। খিজিরপুর দুর্গ থেকে ইতিমাম খানও চলে এসেছেন ক্যাম্পে। ইতিমাম খানের পূর্বপুরুষ ইরানের বাসিন্দা। এক সময় আগ্রার কোতোয়ালের দায়িত্বে নিযুক্ত ছিলেন তিনি। বাংলা বিজয়ের গুরুত্ব উপলব্ধি করে মুঘল নৌবাহিনীর সমরনায়ক হিসেবে নিয়ে আসা হয় তাকে। তারই ছেলে মির্জা নাথান। তার বিখ্যাত বই ‘বাহারিস্তান-ই-গায়েবী’ বাংলা ও ভারতের ইতিহাসের জন্য এক আকরগ্রন্থ।

নববর্ষের সেই ক্যাম্পে তৈরী হয়েছে এক গুরুগম্ভীর পরিবেশ। পিনপতন নীরবতা চারদিকে। মনে মনে প্রত্যেকেই ভাবছেন যুদ্ধের কৌশল নিয়ে। অধীর আগ্রহে ইসলাম খানের দিকে তাকিয়ে আছেন সবাই। তবে নীরবতা ভাঙলেন মির্জা নাথান। নিজের পরিকল্পনা তুলে ধরলেন তিনি সবার সামনে। এক মাসের মধ্যেই যুদ্ধ শেষ করতে চান বলে জানালেন তিনি।

মুঘল ক্যাম্পের এই গুরুত্বপূর্ণ মিটিং এর মূল লক্ষ্য ‘কাত্রাবো’ নগরীকে নিজেদের আয়ত্তে আনা। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই কাত্রাবো নগরী দখল করতে পারলেই বাংলায় মুঘল আধিপত্যের সম্ভাবনা বহুগুণ বেড়ে যাবে। মির্জা নাথানের ‘বাহারিস্তান-ই-গায়েবী’ থেকে জানা যায় যে, বাংলায় মুঘল আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হবার আগ পর্যন্ত এই কাত্রাবোই ছিলো বাংলায় ঈশা খানের রাজধানী। শীতলক্ষ্যা নদীর পূর্ব দিকে ছিলো এর অবস্থান। এখান থেকেই শাসনকাজ চালাতো বারো ভূঁইয়ারা। অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় ইংরেজ বণিক র‍্যালফ ফিচের বর্ণনায় এবং ১৬৬০ সালে ভ্যান ডি ব্রুকের মানচিত্রে এই অঞ্চলকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ শহর হিসেবে দেখা যায়।

নববর্ষের দিন মুঘল ক্যাম্পের সেই গুরুত্বপূর্ণ সভার পর দুপুরের খাবার শেষে নৌবাহিনীর পরিখা খনন ও সবরকম প্রস্তুতি নিজ চোখে দেখতে গেলেন খুঁতখুঁতে স্বভাবের ইসলাম খান। ঢাকা থেকে এ জন্যই তো তিনি এসেছেন। তাঁবুতে বসে ম্যাপ ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে আরো কিছু নির্দেশনা দিলেন তিনি। এমন গুরুত্বপূর্ণ সম্মুখযুদ্ধে কোনোরকম ভুল করা যাবে না। ইতিমাম খানও বেশ চিন্তিত ছিলেন। দুর্গের চারদিক ঘুরে দেখলেন তারা, মোটামুটি সবই প্রস্তুত। কাজের অগ্রগতিও ভালোই হচ্ছে। একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ছাড়লেন ইসলাম খান। তারপরেও মির্জা নাথানকে খুব সাবধানে প্রতিটি পদক্ষেপ নেবার জন্য সতর্ক করে দিলেন। সবাইকে উৎসাহ দেবার জন্য ঢাকা থেকে সাথে করে নিয়ে আসা গোলাপের আতর উপহার দিলেন তিনি।

শত্রুপক্ষের ব্যাপারে ইসলাম খান খুবই সতর্ক। মির্জা নাথানকে আবারো বললেন গোয়েন্দাদের মাধ্যমে শত্রুপক্ষের পরিকল্পনা সম্পর্কে জেনে নিতে। সে সময় নারায়ণগঞ্জের কিছু ব্যবসায়ী মুঘল বাহিনীকে সব সময় শত্রুপক্ষ বারো ভূঁইয়াদের খোঁজ-খবর দিতো।

অন্য দিকে মুসা খানের ক্যাম্পে প্রধান কর্মকর্তা শামসুদ্দীন বাগদাদীর চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট। সোনারগাঁ পরিত্যাগ করবার সম্ভাবনা বার বার উঁকি দিচ্ছে তার মনে। মাসুম খান কাবুলিও নিজের সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত করছেন পুরোদমে। তার আসল নাম আবুল ফতেহ মুহম্মদ। মাসুম খান ছিলেন খোরাসানের অন্তর্গত তুবরাতের সাইয়্যিদ বংশীয় অভিজাত এবং বাংলার বারো ভূঁইয়াদের মধ্যে অন্যতম। তিনি ঈশা খানের বন্ধু ও সম্রাট আকবরের ছোট ভাই মির্জা মুহম্মদ হাকিমের দুধভাই ছিলেন। আসন্ন আক্রমণের আশঙ্কায় দম ফেলবার ফুরসত নেই এই বীরের। মাঝখানে শীতলক্ষ্যা নদী, পাশে বন্দর খাল, ইব্রাহিমপুর থেকে ধলেশ্বরী নদীর উৎপত্তি পর্যন্ত তিনি মুঘলদের বিরুদ্ধে আক্রমণের পরিকল্পনা করছেন। যে করেই হোক, প্রতিরোধ গড়ে তুলতেই হবে।

আক্রমণের সময় ঘনিয়ে এসেছে। মির্জা নাথানের পরামর্শ অনুযায়ী, মুঘল বাহিনী রাতের বেলায় আক্রমণের সিদ্ধান্ত নেয়। রাতে প্রায় দেড়শো ঘোড়া এবং তিনশো সৈন্য নিয়ে নদী পার হয়ে কাত্রাবো শহরে বারো ভূঁইয়াদের মাসুম খানের বাহিনীর চারদিকে অবস্থান করার সিদ্ধান্ত নেয় মুঘলরা।

গভীর রাত। চারিদিক নিঃস্তব্ধ। নদী ছিলো পানিতে টইটুম্বুর। এমনকি ছোট ছোট খালগুলোও জোয়ারের পানিতে ভর্তি ছিলো। দূরে কোনো এক রাতজাগা পাখি একটানা ডেকে যাচ্ছে। তার সুরেলা কন্ঠস্বর ও স্রোতের কল কল আওয়াজ ছাড়া আর কিছুই শোনা যাচ্ছে না। মির্জা নাথানের মনেও এক ধরনের ভয় ও আশঙ্কা তৈরী হয়েছে। প্রচন্ড স্নায়ুর চাপ। সবাইকে তিনি বার বার করে নিজেদের উপস্থিত বুদ্ধি খাটিয়েও কাজ করার পরামর্শ দিলেন, প্রয়োজনে কলাগাছের ভেলায় করে নদী পার হতে বললেন। মাসুম খানের নৌবহরও ততোক্ষণে খবর পেয়ে আক্রমণের জন্য প্রস্তুত। নৌকা নিয়ে আক্রমণ করতে মুসা খান এলেন। এরই মধ্যে বিশটি নৌকা নিয়ে এলেন ইতিমাম খান ছেলেকে সহযোগিতা করবার জন্য। ইতিমাম খানের নৌবহর পাশ থেকে শত্রুপক্ষের উপর আক্রমণ করে তাদেরকে দুর্বল করে ফেলে। ওদিকে হাতি এবং ঘোড়াগুলোকে সাঁতরিয়ে নদী পার করানোর আদেশ দিলেন মির্জা নাথান। হাতির পিঠে করে পাঠালেন সেনাবাহিনীর একাংশ, নিজেও হাতির পিঠে চড়ে সাঁতরে নদী পার হলেন।

মুঘল নৌবহর ও বারো ভূঁইয়াদের নৌবহরের মধ্যে চলতে লাগলো তুমুল যুদ্ধ। তবে মুঘলদের হাতির পায়ের তলায় পিষ্ট হয়ে মারা পড়লো অনেকেই, সাথে মুঘলদের দুর্গে অবস্থিত শক্তিশালী কামানের গোলা তো আছেই। কাত্রাবোতে মুসা খানের দুর্গটি পলি মাটি দিয়ে তৈরী ছিলো, যেটি মুঘলদের কামানের গোলায় খুব সহজেই ধ্বংস হয়ে গিয়েছিলো। মুঘল বাহিনীর চলাচল আরো সহজ করার জন্য মির্জা নাথান নদীর উপর শত্রুপক্ষের ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা নৌকাগুলো পর পর সাজিয়ে একটি নৌকাসেতু তৈরী করেন। ফলে মুসা খানের বাহিনীকে আক্রমণ করা মুঘলদের জন্য খুব সহজ হয়ে গিয়েছিলো।

এই প্রবল যুদ্ধে অবশেষে মুসা খানের বাহিনীর পরাজয় ঘটে। পরাজয় স্বীকার করেন মাসুম খানও। বারো ভূঁইয়াদের বাহিনীর বহু সেনা মারা গিয়েছিলো কাত্রাবো দখলের সেই যুদ্ধে। মুঘলদের কামানের গোলায় ক্রমেই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলো মাসুম খান কাবুলির বাহিনী।

ঐতিহাসিক এক পরিবর্তনের সাক্ষী হয়ে রইলো এই কাত্রাবো নগরী। সেই সাথে বিস্তৃত এই কাত্রাবো নগরী কালের আবর্তে পরিণত হলো ৪০০ বছরের হারিয়ে যাওয়া এক শহরে। এখন এখানে কেবলমাত্র মাসুমাবাদ নামের একটি গ্রাম বেঁচে আছে কালের সাক্ষী হয়ে। ধারণা করা হয়, মাসুম খানের নাম থেকেই ‘মাসুমাবাদ’ নামটি এসেছে।

ঢাকা শহর থেকে বেশি দূরে নয় কাত্রাবোর অবস্থান। ঢাকা থেকে ১৭ কিলোমিটার দূরে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানার ভুলতা ইউনিয়নে অবস্থিত এক সময়ের এই কাত্রাবো। ঐতিহাসিক কারণে এই জায়গাটির মর্যাদা অনেক বেশি হওয়া উচিৎ ছিলো। কেননা কাত্রাবোতে যে যুদ্ধ হয়েছিলো, সেটা চৌসার বা পানিপথের যুদ্ধের চেয়ে কোনো অংশে কম ছিলো না, বরং বাংলার জন্য এটি ওয়াটারলু এর যুদ্ধের মতোই একটি উল্লেখযোগ্য যুদ্ধ ছিলো। অথচ বারো ভূঁইয়াদের এই গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটি অঞ্চলটি এখন খুঁজে পাওয়াও মুশকিল। মুঘলরা বাংলা দখল করে নেবার পর ঢাকা হয় তাদের রাজধানী। ধীরে ধীরে ঢাকার গুরুত্ব বৃদ্ধি পেলে ঈশা খানের রাজধানী কাত্রাবো নগরী হারিয়ে যেতে থাকে কালের আবর্তে।

প্রচন্ড যুদ্ধ করেও মাসুম খান কাবুলি শেষ পর্যন্ত রক্ষা করতে পারেন নি ঈশা খানের সুরক্ষিত দুর্গ ও অস্ত্রাগারের নগরী কাত্রাবোকে। তবে মধ্যযুগের ঐতিহাসিক এই নগরীতে বিশাল এক দীঘি আজও রয়েছে মাসুমাবাদে। মাসুম খানের স্মৃতি বহন করছে সেই দীঘি। চারদিকে সুউচ্চ ঢিবি, মাঝখানে দীঘির নীল জলরাশি, চোখ জুড়িয়ে যাবার মতো পরিবেশ। উত্তর পাড়ে রয়েছে প্রাচীরবেষ্টিত ধ্বংসপ্রাপ্ত এক সমাধিসৌধ। ধারণা করা হয়, এটি হয়তো মাসুম খানেরই সমাধি। কারণ ১৫৯৯ সালের ১০ মে তিনি মারা যাবার পর কাত্রাবোর দুর্গের মাঝেই তাকে সমাহিত করা হয়েছিলো। কাত্রাবোর ঐতিহাসিক গুরুত্ব এতোটাই ঝাপসা হয়ে গেছে যে প্রাচীনত্বের নিদর্শন হিসেবে এই সমাধিসৌধ এবং দীঘিটি প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত আছে কি না, সেই ব্যাপারেও হলফ করে বলা যায় না।

রেফারেন্সঃ

  • বাংলার প্রাচীন জনপদ ও পুরাকীর্তি –খন্দকার মাহমুদুল হাসান