পবিত্র শহর জেরুজালেমের নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে মধ্যযুগে মুসলিম ও খ্রিস্টানদের মধ্যকার ধর্মযুদ্ধ বা ক্রুসেড ইউরোপীয় খ্রিস্টান ও মুসলিম ইতিহাসে এক আলোচিত অধ্যায়। প্রথম ক্রুসেডে ১০৯৬ সালে মুসলমানদের পরাজিত করে পবিত্র ভূমির নিয়ন্ত্রণ নেয় খ্রিস্টানরা। ফলে খ্রিস্টান তীর্থযাত্রীরা জেরুজালেমে সফর করা শুরু করে। কিন্তু যে পথে তীর্থযাত্রীরা সফর করত সে পথে প্রায়ই ডাকাতদল আক্রমণ করে তাদের সর্বস্ব লুটে নিতো। ফলে তীর্থযাত্রীদের নিরাপত্তার প্রশ্নটি সামনে চলে আসে। আর এই চাহিদা থেকে ১১১৯ সালে একজন ফ্রেঞ্চ নাইটের নেতৃত্বে আরো সাতজন নাইট সৈন্য নিয়ে গঠিত হয় এক বিশেষ খ্রিস্টান সেনাদল। তীর্থযাত্রীদের নিরাপত্তা প্রদানের পাশাপাশি পবিত্র ভূমি জেরুজালেম রক্ষায় সংকল্পবদ্ধ হয় তারা। একইসাথে জাগতিক সব মোহ থেকে বেরিয়ে সন্ন্যাসমনা এবং দরিদ্র থাকারও শপথ নেয় এরা। ১১২০ সালে কিংডম অফ জেরুজালেমের রাজা দ্বিতীয় বালদুইন তার প্রাসাদকে তাদের হেডকোয়ার্টার হিসেবে ব্যবহার করার অনুমতি দান করেন। এই প্রাসাদ ছিল খ্রিস্টানদের টেম্পল মাউন্ট যা মুসলিমদের কাছে কুব্বাতুস সাখরা নামে পরিচিত। এই স্থাপত্যটিকে খ্রিস্টানরা বলতো টেম্পল অফ সলোমন। আর এ থেকে এই বিশেষ সেনাদল পরিচিতি পায় Order of the Knights of the Temple of Solomon বা টেম্পলার। ১১২৯ সালে টেম্পলাররা পোপের অনুমোদন লাভ করলে খ্রিস্টান জগতের প্রথম সামরিক বাহিনী হিসেবে নাইট টেম্পলারদের উত্থান হয়। ধীরে ধীরে এই বাহিনীর সদস্য সংখ্যা বাড়তে থাকে।
নাইট টেম্পলারদের অন্যান্য নাইট থেকে আলাদা করার জন্য তাদের ইউনিফর্ম ঠিক করা হয়। সাদা আলখাল্লার মাঝে লাল রঙ এর ক্রস চিহ্ন এবং মাথায় লৌহ বর্ম ছিল টেম্পলারদের পোশাক। টেম্পলারদের একমাত্র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ছিল জেরুজালেম ও তীর্থযাত্রীদের রক্ষা করা। আর এই মহান কাজে তারা বেছে নিয়েছিল সন্যাস জীবন। দারিদ্র ছিল তাদের ভূষণ , যদিও পরবর্তীতে টেম্পলাররা বিশাল অর্থনৈতিক আবেদন তৈরি করে। দরিদ্রতার প্রমাণ হিসেবে দেখা যেত, একটি ঘোড়ার উপর দুইজন টেম্পলার সৈন্য যুদ্ধ পরিচালনা করছে। ১১৪৭ সালে দ্বিতীয় ক্রুসেডে নাইট টেম্পলাররা প্রথমবারের মত মুসলিম বাহিনীর বিরুদ্ধে এক বড়সড় যুদ্ধে নামে।
নাইট টেম্পলারদের অর্থ দিয়ে সাহায্য করে লেভান্তের খ্রিস্টান রাষ্ট্রের সুরক্ষার জন্য এগিয়ে আসেন অনেক অভিজাত। আরেকশ্রেণী পরকালে পুরস্কারের আশায় এই সামরিক বাহিনীকে সাহায্য করত। নাইটদের প্রার্থনায় সেই দাতার নাম নেয়া হতো। অর্থ সাহায্য ছাড়াও ঘোড়া, জমি, সামরিক সরঞ্জাম দিয়েও অনেকে এই বাহিনীকে সাহায্য করতো। একটা সময় এসে টেম্পলাররা নিজেদের ফান্ড থেকে অর্থ দিয়ে অর্থ উৎপাদনশীল সম্পত্তি কেনা শুরু করে৷ ফলে অচিরেই নাইট টেম্পলাররা একটি সুসজ্জিত বাহিনীতে রূপান্তর হয়। নাইট টেম্পলাররা দাতব্য কাজেও নিয়োজিত ছিল। রুটি উৎপাদনের দেশভাগের এক ভাগ তারা গরিব দুঃখীদের মাঝে বিলিয়ে দিতো। কিন্তু এ কাজে তাদের মাঝে আবার অর্থের সংকট দেখা দেয়। খ্রিস্টান পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গা থেকে তাদের জন্য অনুদান আসলেও টেম্পলারদের যতোটা ধনী সংগঠন হিসেবে ভাবা হতো ততোটা ধনী তারা ছিল না। ১২ শতক থেকে নাইট টেম্পলাররা নিজেদের প্রভাব বৃদ্ধি করে৷ এসময় তারা স্পেন ও পর্তুগালের শাসকদের পক্ষে আইবেরিয়া উপদ্বীপের ক্রুসেডে অংশ নেয়। এছাড়া বাল্টিক অঞ্চলে প্যাগানদের বিরুদ্ধে ক্রুসেডেও নেতৃত্ব দেয় তারা।
সংগঠন ও নিয়োগ প্রক্রিয়া
সমগ্র পশ্চিম ইউরোপ থেকে নাইট টেম্পলারদের নিয়োগ দেয়া হতো। এর মধ্যে ফ্রান্স ছিল সবচেয়ে বড় উৎস। বিশ্বের সব জায়গার খ্রিস্টানদের রক্ষা ও বিশেষত জেরুজালেম ও তার পবিত্র জায়গাগুলো রক্ষা করে পাপের প্রায়শ্চিত্তের মাধ্যমে স্বর্গে যাওয়ার আহ্বান জানানো হতো সম্ভাব্য টেম্পলার সৈন্যদের। এছাড়া ব্যক্তিগত অর্জন, এডভেঞ্চার, জমি ও অর্থ ইত্যাদি জাগতিক শান শওকত অর্জনের সম্ভাবনাকে উপস্থাপন করে নতুন সৈন্যদের আকৃষ্ট করা হতো। যদিও অবিবাহিত সৈন্য নিয়েই গঠিত হতো এই বাহিনী তা সত্ত্বেও অনেক বিবাহিত পুরুষ তার স্ত্রীসহ এই বাহিনীতে ভর্তি হতো৷ অনেকে আবার নিজে অর্থ দান করেও এই বাহিনীতে ভর্তি হতো। অনেক কিশোরের নিয়োগ হলেও বেশিরভাগ নাইটের বয়স থাকত বিশ বছর বয়সের মাঝামাঝি। আবার অনেকে বৃদ্ধ বয়সে মৃত্যুর আগে পূণ্য লাভের আশায় বাহিনীর খাতায় নাম লেখাতো। ইংরেজ নাইট গ্রেট স্যার উইলিয়াম মার্শাল ছিলেন এমন একজন যিনি মৃত্যুর আগে টেম্পলার হিসেবে অভিষিক্ত হয়েছিলেন।
দুই পদমর্যাদার সৈন্য ছিল এই বাহিনীতে। একটি ছিল নাইট আর অন্যটি সার্জেন্ট। সার্জেন্টদের দায়িত্ব ছিল অসামরিক বিভিন্ন বিষয়ের দেখভাল করা। নাইটদের সংখ্যা ছিল সার্জেন্টদের তুলনায় অপ্রতুল। যুদ্ধক্ষেত্রে পদাতিক বা মার্সেনারিদের তুলনায় নাইটদের উপস্থিতি ছিল খুবই কম। তবে যুদ্ধক্ষেত্রে তারা ছিল দক্ষ। নাইটদের নেতৃত্বে থাকতেন একজন গ্র্যান্ড মাস্টার। নাইটদের আশ্রমগুলোকে ভিন্ন ভিন্ন ভৌগোলিক অঞ্চলে ভাগ করা হতো যাকে বলা হতো প্রাইওরিস। গোলযোগপূর্ণ স্থানে এই আশ্রমগুলো দুর্গের অধীনে নিয়ে আসা হতো। প্রত্যেক আশ্রমের প্রধান হিসেবে থাকতেন একজন কমান্ডার। তিনি আবার প্রাইওরিসের প্রধানের কাছে আশ্রম সম্পর্কে রিপোর্ট পেশ করতেন। বিভিন্ন আশ্রমের মধ্যে যোগাযোগ ও রিপোর্ট আদান প্রদানের জন্য বিশেষ সীল সম্বলিত চিঠির প্রচলন ছিল। আশ্রমের আয়ের এক-তৃতীয়াংশ পাঠানো হতো মূল হেড কোয়ার্টারে। গ্র্যান্ড মাস্টার প্রথমে জেরুজালেম তারপর একর (Acre) (বর্তমান ইসরায়েলের শহর) এবং সবশেষ সাইপ্রাসে নিজের দায়িত্ব পালন করতেন। তার সাথে সহযোগী হিসেবে থাকতেন আরও অনেক লর্ড কমান্ডার। গ্রান্ড মাস্টারের প্রতি সবসময় অনুগত থাকা বাধ্যতামূলক ছিল। চার্চ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে হতো তাদের। পার্থিব যেকোন মোহ পোষণ বা চর্চা নিষিদ্ধ ছিল তাদের জন্য। এমনকি নিজেদের স্বতন্ত্র এবং বিশেষ হিসেবে প্রমাণের জন্য নিয়মিত নাইটরা যেসব পোশাক পরিধান করতো নাইট টেম্পলাররা সেসব পোশাক এড়িয়ে চলতো। সার্জেন্টরা বাদামি কিংবা কালো রঙ এর আলখাল্লা পরতো। নাইট টেম্পলারদের আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য ছিল তারা দাড়ি লম্বা রাখত এবং আধুনিক সামরিক সদস্যদের মত চুল সবসময় ছোট রাখতো।
টেম্পলারদের ব্যাংকিং প্রথা
১৩ শতকে নাইট টেম্পলাররা ইংল্যান্ড থেকে বোহেমিয়ার বিভিন্ন স্থাবর সম্পত্তির মালিক হয়। আর এর বদৌলতে নাইট টেম্পলাররা হয়ে উঠে আকর্ষণীয় এক আন্তর্জাতিক সামরিক ইউনিট৷ সৈন্যসংখ্যা, অস্ত্রসম্ভার, সামরিক সরঞ্জাম, নৌবহরের দিক দিয়ে তারা এক অপ্রতিরোধ্য শক্তিতে পরিণত হয়। তাদের উদ্ভাবিত নাইট হসপিটালার ও টিউটোনিক নাইট মডেল অনেক সামরিক বাহিনীই অনুসরণ করেছিল।
নাইটরা আরেকটি কাজে বেশ পারদর্শী ছিল, তা হচ্ছে ব্যাংকিং। নির্ভরযোগ্য হওয়ায় সাধারণ খ্রিস্টান নিজেদের মূল্যবান সামগ্রী ও অর্থ টেম্পলারদের প্রাতিষ্ঠানিক কোষে জমা রাখতো। ১১৩০ সালের দিকে এই সামরিক ইউনিটটি নিজেদের মালিকানার প্রথম নগদ অর্থের রিজার্ভের মালিক হয় যেখানে সুদভিত্তিক লোনেরও ব্যবস্থা ছিল। সংগঠনটি যেকোন টেম্পলার আশ্রমে সাধারণ জনগণকে অর্থ জমা রাখার পরামর্শ দিতো এবং এর বিনিময়ে ভোক্তাকে তারা একটি প্রমাণপত্র সরবরাহ করতো। এই প্রমাণপত্র দিয়ে সাম্রাজ্যের যেকোন টেম্পলার আশ্রম থেকে সাধারণ জনগণ নিজেদের জমা টাকা তুলতে পারতো। ১৩ শতকের দিকে নাইট টেম্পলাররা নির্ভরযোগ্য এক ব্যাংকিং সত্তা হিসেবে গ্রহণযোগ্যতা পায়। যার ফলে ফ্রান্সের রাজা ও অন্যান্য অভিজাতরাও নিজেদের অর্থ টেম্পলার আশ্রমে রাখা শুরু করেন। রাজা ও অভিজাতরা যখন জেরুজালেম অভিমুখে ক্রুসেডের জন্য রওনা হতেন তখন নিজ নিজ সেনাদের আর্থিক চাহিদা ও যুদ্ধকালীন আর্থিক প্রয়োজনীয়তা মিটানোর জন্য টেম্পলারদের কাছে অর্থ রাখতেন। টেম্পলাররা এমনকি রাজাদের ঋণও প্রদান করতো। ফলে দেখা যায় মধ্যযুগের শেষার্ধে এসে নাইট টেম্পলাররা হয়ে উঠে এক গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে।
ক্রুসেডে টেম্পলার
ক্রুসেডার আর্মির সবচেয়ে দক্ষ ও দুর্ধর্ষ ছিল নাইট টেম্পলার। বল্লম, তীরধনুক ও তরবারি চালনায় অপরাপর বাহিনী থেকে ভিন্নতর ছিল তারা। কঠোর প্রশিক্ষণ ও উন্নত সরঞ্জামাদি দিয়ে সমৃদ্ধ এই বাহিনী ক্রুসেডে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। নির্ভরযোগ্য হওয়ায় টেম্পলাররা সেনাবাহিনীর অগ্রভাগ, প্রান্তভাগ ও পশ্চাৎ ভাগে নিয়ন্ত্রণ নিতো। যুদ্ধক্ষেত্রে শত্রুর উপর দ্রুতগতিতে চড়াও হয়ে ধ্বংস সাধন করার নীতি তারা অনুসরণ করতো। যুদ্ধের ময়দানে এবং নিজেদের ক্যাম্পে সেনাদের কোড অফ কন্ডাক্টের ব্যাপারে এই বাহিনীটি ছিল বেশ খুঁতখুঁতে। আদেশ পালনে হেরফের করলে কিংবা দায়িত্বহীনতার দরুন নিজের তলোয়ার বা ঘোড়া হারিয়ে ফেললে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে হতো তাদের। ক্রুসেডে বিজয় অর্জনে তারা ছিল ক্ষ্যাপাটে শ্রেণীর। টেম্পলারদের প্রায়ই এন্টিওকের এমানাস নর্থের মত কৌশলগত গিরিপথ পাহারার দায়িত্ব দেয়া হতো। এছাড়া ক্রুসেডারদের বিজিত ভূমি ও দুর্গ রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বও ছিল নাইট টেম্পলারদের হাতে। খ্রিস্টান সাম্রাজ্যের প্রতিরক্ষার জন্য তার প্রায় ধ্বংস হয়ে যাওয়া দুর্গগুলোর সংস্কার কিংবা কখনো নতুন দুর্গও নির্মাণ করে দিতো। লেভান্ত জুড়ে তীর্থযাত্রীদের যাত্রাপথে তারা ছোটখাটো দুর্গও নির্মাণ করে দিতো। ১১৮৯-৯১ সালে একর অবরোধ, ১২১৮-১৯ সালে দেমিত্তা, ১২০৪ সালে কনস্টান্টিনোপল অবরোধের মত সাফল্য টেম্পলারদের ইতিহাসে থাকলেও বেশকিছু পরাজয়ও তাদের নামের পাশে থেকে যায়। অক্টোবর, ১২৪৪ সালে গাজায় লা ফরবির যুদ্ধে মুসলিম সেনানায়ক সালাহউদ্দিন আইয়ূবীর ক্ষুদ্র বাহিনী বিশাল ল্যাটিন ক্রুসেডার আর্মিকে পরাজিত করে। এই যুদ্ধে ৩০০ টেম্পলার নিহত হয়। ১১৮৭ সালে হাত্তিনের যুদ্ধে ২৩০ জন বন্দি টেম্পলারদের শিরশ্ছেদ করে মুসলিম বাহিনী। ১২৫০ সালে মিশরে সপ্তম ক্রুসেডে মনসুরার যুদ্ধে আরও একটি বড় পরাজয় বরণ করে নাইট টেম্পলাররা।
সমালোচনা ও পতন
নাইট টেম্পলারদের বিশাল আর্থিক সক্ষমতা এবং তাদের ব্যাংকিং সেক্টরের সাথে সুপ্রশিক্ষিত সেনাদল তাদেরকে অনেক রাজ্য থেকেও শক্তিশালী করে তুলে। তাদের ক্রমাগত শক্তিবৃদ্ধিতে পশ্চিমের খ্রিস্টান শাসকদের মধ্যে এক ধরণের ভীতি তৈরি হয়। এছাড়া অন্যান্য নাইটদের মত টেম্পলাররাও তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার করা শুরু করে। এসময় তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগও আনা হয়। প্রতিদ্বন্দ্বী বাহিনীর সাথে দ্বন্দ্বে তারা প্রচুর অর্থও খরচ করে। এভাবে নাইট টেম্পলারদের নিয়ে জনমনে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হতে থাকে।
এমন বাস্তবতায় ১৩০৭ সালে ফ্রান্সের রাজা চতুর্থ ফিলিপ ফ্রান্সের সব নাইট টেম্পলারদের গ্রেফতার করার নির্দেশ দেন। তাদের বিরুদ্ধে খ্রিস্টের অবমাননা, ক্রুশ চিহ্নের প্রতি অসম্মান এবং সমকামীতার অভিযোগও আনা হয়। ১৩১০ সালে প্যারিসে অনুষ্ঠিত এক বিচারে ৫৪ জন টেম্পলারদের আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। ১৩১৪ সালে জেমস নামের এক গ্রান্ড মাস্টারকেও আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। এভাবে প্রায় সকল নাইটদের মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। বাকি যারা থাকে তাদের পরবর্তীতে কোন বাহিনীতে যোগদান নিষিদ্ধ করা হয়। এভাবে ধীরে ধীরে সমাপ্তির রেখা অংকন করে খ্রিস্টানদের গর্বিত ধন নাইট টেম্পলারদের গৌরবময় অধ্যায়। খ্রিস্টীয় ইতিহাসে কিংবদন্তি হয়ে আজও ইউরোপে নাইট টেম্পলার একটি রূপকথার নাম।
তথ্যসূত্র