ফ্রান্সের পুরোনো রাজতন্ত্র, অভিজাততন্ত্র ও বিশেষ সুবিধাভোগী শ্রেণীর বিরুদ্ধে কফিনের শেষ পেরেকটা ছিল ফরাসি জনগণের বাস্তিল দুর্গ আক্রমণ। বি (বিশেষ) + প্লব (প্লাবন) থেকে বিপ্লব কথাটার উৎপত্তি। ইতিহাসে বিপ্লব বলতে বোঝায় রাষ্ট্র, সমাজ, শিল্প বা কোনো প্রচলিত ব্যবস্থার অতি দ্রুত আমূল পরিবর্তন। সেই অর্থে ফরাসি বিপ্লব ফ্রান্সে ১৭৮৯ খ্রিস্টাব্দের আগে যে স্বৈরাচারী রাজনৈতিক অবস্থা, বৈষম্যমূলক সমাজ ব্যবস্থা ও ত্রুটিপূর্ণ অর্থনৈতিক অবস্থা বজায় ছিল সেই ‘অঁসিয়া রেজিম’ বা পুরাতন তন্ত্রের আশু পরিবর্তন ঘটিয়ে শুধু ফ্রান্সে নয়, সমগ্র ইউরোপ ও পৃথিবীর আধুনিক সভ্যতাগুলোয় প্রচলিত চিন্তার জগতে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত করেছিল।
ইংল্যন্ডের গৌরবময় বিপ্লব (১৬৮৮) ও আমেরিকার বিপ্লবের (১৭৭৬) পেছনে যেখানে শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণ ছিল প্রধান, সেখানে ফরাসি বিপ্লবের (১৭৮৯) মূলে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় কারণ সক্রিয় ছিল। রিশাল্যু, কোলবার্ট ও চতুর্দশ লুই-এর (১৬৬১-১৭১৫) সীমাহীন স্বৈরাচার ও আংশিক সফল সাম্রাজ্যবাদ, পঞ্চদশ লুই-এর (১৭১৫-১৭৭৪) অমিতব্যয়িতা ও তাঁর রক্ষিতা ম্যাডাম-ডি-পম্পাদোরের শাসনক্ষেত্রে আধিপত্য, ডিউক অব অর্লিয়েন্স এর অদূরদর্শিতা এবং ষোড়শ লুই-এর (১৭৭৪-১৭৮৮৯) দুর্বল মনের জন্য ১৭৮৯ খ্রিস্টাব্দে ফ্রান্সে উদ্ভূত আর্থ-সামাজিক বৈষম্য এক জটিল ও বিস্ফোরক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে।
 
পুরাতন তন্ত্রে ফ্রান্সের সমাজ তিনটে সম্প্রদায়ে বিভক্ত ছিল। প্রথম সম্প্রদায় যাজক। এরা ফ্রান্সের মোট জনসংখ্যার সাপেক্ষে ১% এর কম হলেও এদের হাতে ছিল মোট জমির ১০% এবং তার জন্য এরা কোনো কর রাজাকে দিত না। উপরন্তু জমি ও ধর্মকর নিয়ে গির্জা আয় করত ১০ কোটি লিভ্র। ফরাসি সমাজে অভিজাতরা ছিল দ্বিতীয় সম্প্রদায়। এরা ফ্রান্সের মোট জনসংখ্যার সাপেক্ষে ১.৫% হলেও এদের হাতে ছিল মোট জমির ২০% এবং সরকারকে দিতে হত সামান্য ৩% এরও কম কর। উপরন্তু, সরকারের সামরিক ও অসামরিক বিভাগের উচ্চপদগুলোয় এদের ছিল নেপোটিজম। ফরাসি সমাজের তৃতীয় সম্প্রদায় ছিল বৈষম্য ও বঞ্চনার শিকার। ঐতিহাসিক অ্যাবে সিয়েসের মতে এরাই হল প্রকৃত ফরাসি জাতি। তৃতীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে পড়ত বুর্জোয়া ও সাঁকুলোৎরা। বুর্জোয়া অর্থাৎ মধ্যবিত্ত শ্রেণী। এদের মধ্যে পড়ত- কৃষক, শ্রমিক, বণিক, ব্যবসায়ী, পুঁজিপতি, শিল্পপতি, শিক্ষক, আইনজীবী প্রভৃতি। তবে প্রধানত কৃষকরাই ছিল ফরাসি সমাজে বুর্জোয়া। এই বুর্জোয়াদের মধ্যে আবার অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতার ভিত্তিতে উচ্চ, মধ্য, নিম্ন বিভাজন ছিল। আর সাঁকুলোৎ হল খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। এদের মধ্যে ছিল মুটে, দিনমজুর, মালি, ভিস্তি, চাকর প্রভৃতি। এরা জামা ছাড়া ট্রাউজার পরত। এদের ‘menu people’ বা ‘ছোটো লোক’ বলা হত। ফ্রান্সের মোট জনসংখ্যার ৯৭% এর বেশি তৃতীয় সম্প্রদায়ের হাতে ছিল মাত্র ৭০% জমি। এরা ছিল অধিকারবঞ্চিত শ্রেণী। এদেরকেই ফ্রান্সের সমস্ত কর প্রদান করতে হত।
 
এমন ত্রুটিপূর্ণ অর্থব্যবস্থা ইউরোপের খুব কম দেশেই ছিল। অ্যাডাম স্মিথের কথায়, “France was a vast museum of economic errors.” দীর্ঘদিন ধরে ফ্রান্সে একটা প্রবাদ প্রচলিত ছিল। যার মধ্যেই খুঁজে পাওয়া যায় ফরাসি সমাজের তৃতীয় সম্প্রদায়ের বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠার কারণ। প্রবাদটা হল- “The Nobles fight, the Clergy prays and the People pay.” তৃতীয় সম্প্রদায়কে দিতে হত সমগ্র রাজস্বের ৯৭ ভাগেরও বেশি। এদের মধ্যে প্রত্যক্ষ কর ছিল তিনটে- Taille (সম্পত্তি কর), Vingtiemes (জমি থেকে অর্জিত আয়কর), Capitation (উৎপাদন কর)। এছাড়া পরোক্ষ কর গুলো হল- Gabella (লবণ কর), Tithes (ধর্ম কর, চার্চকে দিতে হত), Aides (মদের ওপর কর), Corvee (শ্রম কর), Banalites (বাধ্যতামূলক কর)। সব কর মিটিয়ে কৃষকদের হাতে থাকত ফসলের মাত্র ২০%। ১/৩ ভাগ কৃষক বছরের ১/৩ ভাগ সময় শুধু আলু খেয়ে জীবনধারণ করত। জবরদস্তি শুল্কনীতির জন্য বণিক ও দোকানদাররা অসন্তুষ্ট ছিল। তারা স্থানীয় শুল্কনীতি তুলে দিয়ে কেন্দ্রীয় শুল্ক ও অবাধ বাণিজ্যনীতির প্রবর্তনের জন্য সরকারকে চাপ দিতে থাকে।
 
১৭৮৯ খ্রিস্টাব্দে যখন জনস্ফীতি ও মেক্সিকো থেকে খনিজ সম্পদ আমদানির ফলে সৃষ্ট মুদ্রাস্ফীতি প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম ক্রমশ বৃদ্ধি করে তুলছিল তখন মজুরি কিন্তু সেই হারে বাড়েনি। আবার এর আগের বছর ফ্রান্সে ভয়ঙ্কর শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ের কারণে শস্যহানি হলে বুভুক্ষু মানুষের দল গ্রাম থেকে শহরে খাদ্যের সন্ধানে ছুটে এলে প্যারিস, লায়ন্স প্রভৃতি শহরে ‘রুটির দাঙ্গা’ শুরু হয়। কিন্তু বুরবোঁ সরকার তার কোনো প্রতিকার করতে পারে না। এই অব্যবস্থার কোনো সুরাহা করতে ষোড়শ লুই এর চার অর্থমন্ত্রী ব্যর্থ হয়। কারণ অভিজাত ও যাজকশ্রেণী তাদের স্বার্থে আর্থিক সংস্কারে ক্রমাগত বাধা দিতে থাকে। এমনকি তাদের চাপে দুর্বল মনের রাজা ষোড়শ লুই জাতীয় সভার অধিবেশন ডাকতে সাহস পেতেন না।
 
রাজা চতুর্দশ লুই-এর যুদ্ধনীতির ফলে ফরাসি রাজকোষের প্রচুর অর্থব্যয় হয়। সেই আর্থিক ঘাটতি পূরণের কোনো চেষ্টা না করে ‘রমণীরঞ্জন প্রজাপতি রাজা’ পঞ্চদশ লুই বিলাসিতায় মাত্রাহীনভাবে অর্থ নষ্ট করেন। রাজা ষোড়শ লুই ও রানি মেরী আঁতোয়ানেত রাজকোষের এই বিশাল শূন্যতা পূরণের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হতে থাকেন যাজক ও অভিজাত সম্প্রদায়ের অহঙ্কারে। ষোড়শ লুইকে আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধের জন্য ২০০ কোটি লিভ্র ঋণ করতে হয়। ১৭৮৮ খ্রিস্টাব্দে সরকারের এই ঋণের সুদ মেটাতে ৩১৮,০০০,০০০ লিভ্র ও অন্যান্য খরচ মেটাতে ৬৩০,০০০,০০০ লিভ্র প্রয়োজন পরে। এই সময় সরকারকে মোট আয়ের ৭৫% প্রতিরক্ষা ও সুদ খাতে ব্যয় করতে হত। আয় অপেক্ষা ব্যয়, ১২৯ মিলিয়ান লিভ্র বেশি ছিল। প্রয়োজনীয় অর্থ সংগ্রহের জন্য যাজক শ্রেণীর পরামর্শে ষোড়শ লুই দরিদ্র তৃতীয় সম্প্রদায়ের ওপর নতুন নতুন কর ক্রমাগত আরোপ করতে থাকেন, ফলে সাধারণ মানুষ বিদ্রোহী হয়ে ওঠে।
প্রাক-বিপ্লব ফ্রান্সে কোনো রাজনৈতিক দল বা সংগঠন ছিল না। কিন্তু সেই অভাব পূরণ করেছিল ফরাসি বুদ্ধিজীবী ও দার্শনিকরা। এঁদের বক্তৃতা ও লেখালিখি জনগণের আশা-আকাঙ্খা-বিক্ষোভকে ভাষা জোগাতে থাকে। মন্তেস্কুর ‘The Spirit of Laws’, ‘The Persian Letters’; ভলতেয়রের ‘Candide’; ‘ফরাসি বিপ্লবের জনক’ নামে খ্যাত রুশোর ‘Origin of Inequality’, ‘Contract Sociale’ ইত্যাদি বইয়ের লেখা এবং ফিজিওক্রাট নামে একদল নতুন চিন্তার অর্থনীতিকদের মতবাদ নিয়ে সেই সময় প্রায় সমস্ত কাফে, রেস্তোরাঁ, আড্ডার ঠেকে বুর্জোয়ারা আলোচনা করত। সেই আলোচনা শুনে সাঁকুলোৎরাও রাজতন্ত্র, অভিজাততন্ত্র, যাজকতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধা হারিয়ে ফেলে। তারাও বুর্জোয়াদের সাথে চার্চের দুর্নীতি ও নৈতিক অধঃপতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে ওঠে। ভলতেয়র তাঁর ‘Letters Philosophiques’ গ্রন্থে ক্যাথলিক গির্জাকে ‘বিশেষ অধিকারপ্রাপ্ত উৎপাত’ বলে অভিহিত করেন।
 
ফ্রান্সের জাতীয় সভার নাম ছিল স্টেটস জেনারেল। ফরাসি সম্রাট ষোড়শ লুই ফ্রান্সের আর্থিক সমস্যার সমাধানের জন্য বুর্জোয়াদের চাপে পরে স্টেটস জেনারেলের অধিবেশন ডাকতে বাধ্য হন। যাজক ও অভিজাতরা স্টেটস জেনারেলের গঠন ও ভোটদান পদ্ধতি আগের মতো রাখতে চায়। পুরনো নিয়মানুসারে মাথাপিছু ভোটাধিকার ছিল না। যাজক, অভিজাত ও সাধারণ জনগন পৃথক পৃথকভাবে তিন সভায় ভোট দিত। তিনটে শ্রেণীর তিনটে ভোট ধরা হত। কিন্তু ১৭৮৯ খ্রিস্টাব্দে অর্থাৎ বিপ্লবের বছর স্টেটস জেনারেল নির্বাচনে মোট নির্বাচিত ১২১৪ জন সদস্যের মধ্যে – ৩০৮ জন যাজক শ্রেণীর, ২৮৫ জন অভিজাত শ্রেণীর ও ৬২১ জন তৃতীয় শ্রেণীর ছিলেন।
 
তৃতীয় শ্রেণীর সাধারণ জনগণের প্রতিনিধিরা সংঘবদ্ধ হয়ে National Party নামে একটা দল গঠন করে দাবি তোলে যে, তিন শ্রেণীর প্রতিনিধিরা একই সভায় বসবে এবং মাথাপিছু ভোটের ভিত্তিতে স্টেটস জেনারেলের কাজ পরিচালিত হবে। কিন্তু ৫ই জুন অধিবেশন বসার সাথে সাথেই বিরোধ শুরু হয়। রাজা যাজক ও অভিজাত শ্রেণীর চাপে তৃতীয় শ্রেণীর দাবি অগ্রাহ্য করে পুরাতন তন্ত্রকে চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেন। রাজার সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ তৃতীয় শ্রেণীর সদস্যরা নিজেদের সভাকেই National Assembly বলে ঘোষণা করে। তারা জানায়, তারাই হল সমগ্র সাধারণ ফরাসি জাতির প্রতিনিধি, তাই কর ধার্য করার অধিকার একমাত্র তাদেরই আছে। এই ঘটনা ছিল ‘ফরাসি বিপ্লবের ক্ষুদ্র প্রতীক’।
 
কিন্তু জাতীয় সভার তৃতীয় সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা এরপর টানা তিনদিন সভাকক্ষের দরজা বন্ধ দেখে ২০শে জুন সভাকক্ষের পাশে টেনিস খেলার মাঠে সমবেত ভাবে শপথ নেন। “যতদিন না ফ্রান্সের জন্য নতুন সংবিধান রচিত হচ্ছে ও যাজক-অভিজাতদের বিশেষ অধিকার খর্ব করা হচ্ছে, ততদিন আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হবে এবং জনমত গঠনের জন্য নানা স্থানে সভা-সমিতিও করা হবে।” এটাই ইতিহাসে ‘টেনিস কোর্টের শপথ’ নামে পরিচিত।
 
এই পরিস্থিতিতে রাজা জনপ্রিয় অর্থমন্ত্রী নেকারকে পদচ্যুত করলে অবস্থা অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। ১৪ই জুলাই কয়েক হাজার সশস্ত্র সাধারণ মানুষ বুরবোঁ রাজতন্ত্রের চরম অত্যাচার ও স্বৈরশাসনের অহংকারের মূর্ত প্রতীক বাস্তিল দুর্গ আক্রমণ করে। বিনা বিচারে এই দুর্গে নিরীহ মানুষদের বন্দি রাখা হত বলে ফরাসি পুরাতন তন্ত্রের অহঙ্কারের স্তম্ভ বাস্তিলের প্রতি মানুষের ক্ষোভ ছিল দীর্ঘদিনের। বাস্তিল দুর্গের পতনে রাজা, অভিজাত ও যাজক শ্রেণীর মনোবল দুর্বল হয়ে পড়ে এবং অনেকে প্যারিস শহর ছেড়ে পালিয়ে যায়। রাজার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় গোটা প্যারিস শহর। অল্পদিনের মধ্যে প্যারিস শহরের দখল জনতা ও বুর্জোয়াদের হাতে চলে আসে। গড়ে ওঠে ‘Paris Commune’। ফ্রান্সের অন্য শহরেও এর অনুকরণে বিপ্লবীরা কমিউন ও পৌর পরিষদ গড়ে তুলে সমগ্র ফ্রান্সে এক যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো গড়ে তোলে। স্বশাসনের জন্য ফ্রান্সকে ৬০টা অঞ্চলে ভাগ করা হয়। নিরাপত্তার জন্য লাফায়েতের নেতৃত্বে গড়ে তোলা হয় ‘National Guard’। ফরাসি রাজতন্ত্রের স্বৈরাচার এবং অহংকারের প্রতীক বাস্তিল দুর্গের পতন ফরাসি বিপ্লবকে অনেকগুলো ধাপ দ্রুত অতিক্রম করতে সাহায্য করে। নেপোলিয়ান বোনাপার্ট মন্তব্য করেছিলেন, “What made Revolution? Vanity, Liberty was only the excuse.”
 
বাস্তিলের পতনের পর নিরুপায় রাজা, যাজক ও আভিজাত শ্রেণী শেষ পর্যন্ত তিন শ্রেণীর একত্র অধিবেশন ও মাথাপিছু ভোটদানের অধিকারের দাবি মেনে নেয়। তারা তৃতীয় শ্রেণীর কাছে নিজেদের অহংকার সমর্পন করে। ফলে জাতীয় সভা একটা সম্মিলিত সভায় পরিণত হয়। এই সভায় ২ বছর ধরে নতুন সংবিধান লেখা হয়। তাই এর নাম হয় ‘সংবিধান সভা’ আর নতুন সংবিধানের নাম হয় ‘১৭৯১ এর সংবিধান’। এই সংবিধান পুরাতন তন্ত্রের সমস্ত বৈষম্যকে দূর করে, সামন্ত প্রথার আইনানুগ বিলুপ্তি ঘটিয়ে, রাজতন্ত্র ও অভিজাততন্ত্রের উচ্ছেদ করে এবং চার্চের বিশেষ সুবিধাভোগী ক্ষমতার বিলুপ্তি ঘটিয়ে ফরাসি বিপ্লবের মূল ধ্বনি ‘সাম্য-মৈত্রী-স্বাধীনতা’ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে ফ্রান্সে গণতন্ত্র প্রবর্তনে সচেষ্ট হয়।
 
যে ফরাসি বিপ্লব বিশ্ববাসীকে সাম্য, মৈত্রী ও স্বাধীনতার মহান আদর্শে দীক্ষিত করে এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশের মুক্তি আন্দোলনের অনুপ্রেরণা হয়ে ওঠে, সেই ফরাসি বিপ্লবের ইতিহাসে ঘটা বিভিন্ন ঘটনার মধ্যে বাস্তিল দুর্গের পতন ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ১৪ই জুলাই অর্থাৎ বাস্তিল দুর্গ পতনের দিনটাকেই ফরাসিরা তাদের স্বাধীনতা দিবস রূপে পালন করে।
লেখা – Uttiya Baidya
প্রথম প্রকাশঃ প্যারালাল II Parallel