চিনি ক রৌজা

সম্রাট আকবরের দরবারী কবি মীর মুহাম্মদ মাসুম ভাক্কারি (মৃত্যু:১৬০৬ অথবা ১৬০৭, ছদ্ম নাম ছিল ‘নামী’) ছিলেন শিল্প প্রেমিক, বলা যায় সম্রাট শাহজাহানের অনেক আগেই তিনি ছিলেন মুঘল সাম্রাজ্যে, স্থাপত্যের জন লেয়ন বাতিস্তা আলবের্তি (১৪০৪-৭২)। ‘নামী’ লিখেছিলেন, -জীবন ক্ষণস্থায়ী। খোদা তা’আলার কাছে প্রার্থনা করি, ইন্তেকালের পর এই ইমারত যেন নকাবে খাক না হয়ে যায়।

চিনি কা রৌজায় সিলিংএ ফ্রেস্কোর অলংকরণ

ইমারতের ভগ্ন শরীরের সামনে দাঁড়িয়ে আমার চোখে ভেসে ওঠে রেমব্রান্টের ‘স্লটার্ড অক্স’- ছাল ছাড়ানো শরীর যেন এক নির্মোহ ক্যাথারসিস যা যে কোনো বিশালতায় তুচ্ছ, ঘৃণাহ্য এবং একই সঙ্গে মহৎ অবসানের-এক মেধাবী পরাজয়ের গল্প। যেন শিল্প খুঁজে চলেছে নতুন ভাষা, নতুন বিষয় এবং রিয়েলিজমকে। এ-যেন পাবলো পিকাসোর বিভ্রমের জগৎ-যেখানে মূল কবরকক্ষের অভ্যন্তরে, দৃশ্যপট জুড়ে বিরাজ করে সালভাদোর দালির সুররিয়ালিজম-যেখানে যুক্তিকে অতিক্রম করে যায় শিল্পীর অবচেতন মন।

চিনি কা রৌজায় লাহোরের রঙিন টালির ব্যবহার

যেন সুনীলের মার্গারিটা-পরপুরুষের চুমু খাবে কিনা জানতে, চার্চে ভগবানের কাছে অনুমতি চায়। আর যমুনা নদীর তীরে কোনো বারহদরীতে বসে অসদ হয়ত লিখে চলেন, -রও মেঁ হ্যায় বখশ্-এ উমর কহাঁ দেখিয়ে থমে নে হাথ বাগ্ পর হ্যয়, নহ্ পা হ্যয় রকাব্ মেঁ।

চিনি কা রৌজায় আলংকারিক নকশা

ব্রিটিশ লাইব্রেরিতে রাখা যমুনা নদীর তীরবর্তী সৌধের স্ক্রোল ছবিতে চিনি কে রৌজা