বুক কাঁপানো আর্তনাদে পুরো পৃথিবীটাও যেনো কেঁপে কেঁপে উঠছে। আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে হাহাকারে। এ কেমন শাস্তি! কলিজাটাকে ঠুকরে ঠুকরে খাচ্ছে বিশাল ঈগলটা। গতদিনও এভাবে খেয়ে চলে গিয়েছিলো, কিন্তু রাতের মধ্যেই তা সম্পূর্ণ সেরে উঠাতে স্বস্তি পায় প্রমিথিউস। কিন্তু এ কি! ঈগলটার অন্তহীন ক্ষুধা যেনো বাঁধ মানছে না। আবারও শেষ করে দিচ্ছে তাকে ঠুকরে ঠুকরে। প্রমিথিউস বুঝতে পেরেছিলো যে, রাতের মাঝে সে আবারও সুস্থ হয়ে যাবে এবং পরের দিন আবারও তাকে ভোগ করতে হবে এই অসহনীয় যন্ত্রণা। সে বুঝতে পেরেছিলো যে, এটা জিউসেরই নতুন আরেক খেলা। নিজের হাতে দেবতাদের আকৃতি দিয়ে গড়ে তোলা মানুষকে আগুনের ব্যবহার শিখিয়ে সাহায্য করার অপরাধে হাজার হাজার বছর ধরে এই পাহাড়ের গায়ে শৃঙ্খলবদ্ধ হওয়ার শাস্তি তো সে ভোগ করছিলোই। তবে এবার তার সাথে যোগ হয়েছে বহুগুণ নির্মমতা। জিউস খুব ভালো করেই জানতো, প্রমিথিউসের ভবিষ্যদ্বাণী কখনো মিথ্যে হয় না। জিউসের স্ত্রী হেরার মাধ্যমে নদী দেবতা ইনাকাসের সহজ-সরল মেয়ে আইও এর নির্মম শাস্তির নমুনা দেখে মূক জিউসের উপর প্রচন্ড ক্ষুব্ধ প্রমিথিউস ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলো যে, জিউসের কোনো এক সন্তানের হাতেই হবে তার পতন। কিন্তু জিউসের কোন স্ত্রীর সন্তানের মাধ্যমে এমনটা হবে এই তথ্য গোপন করেছিলো প্রমিথিউস। এরই পরিণাম আজকের এই নির্মম শাস্তি। দেবতাদের সাথে টাইটানদের যুদ্ধের সময় একজন টাইটান হয়েও জিউসকে যুদ্ধে জয়লাভে সাহায্য করেছিলো প্রমিথিউস। অথচ আজ বিনিময়ে তাকে ভোগ করতে হচ্ছে সীমাহীন নিষ্ঠুরতা।
উনিশ শতকের মাঝামাঝি এক সময়। কিছুক্ষণ আগেই কাবুল থেকে রওয়ানা হয়েছেন জেমস লুইস ওরফে চার্লস ম্যাসন। গন্তব্য আফগানিস্তানের পারওয়ান প্রদেশ। তাকে দেখে বুঝা না গেলেও আসলে প্রচণ্ড উত্তেজনা অনুভব করছেন তিনি। সব হিসাব-নিকাশ ঠিক থাকলে তিনি যার খোঁজে যাচ্ছেন তা তিনি অবশ্যই পাবেন। এখন শুধু সঠিক জায়গাটা খুঁজে পাওয়ার অপেক্ষা। না, এটা তার কাজ নয়, কিন্তু স্বেচ্ছায় এটাকে গ্রহণ করেছেন তিনি। পেশায় ম্যাসন ছিলেন ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির একজন সৈনিক, যখন তিনি শুধু জেমস লুইস হিসেবেই সুপরিচিত ছিলেন। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিতে চাকরীরত অবস্থায় তিনি ‘বেঙ্গল আর্টিলারী উইং’-এ বেশ অনেকদিন দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু নিজের অজান্তেই অন্য এক নেশা বাসা বেঁধেছিলো তার অন্তরে। প্রাচীন ঐতিহাসিক নিদর্শন ও প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান খুঁজে বের করার নেশা। নেশার কাছে পরাজিত পেশাকে অবহেলায় ফেলে ম্যাসন বের হয়েছেন অজানা গন্তব্যের উদ্দেশ্যে। ১৮৩৩ সালেই পালিয়ে এসেছিলেন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির চাকরী থেকে। তবে এক্ষেত্রে তিনি খুব কমই ব্যর্থ হয়েছেন। কথায় আছে না, মন দিয়ে খুঁজলে সৃষ্টিকর্তারও দেখা মেলে। তিনিই প্রথম ইউরোপীয় হিসেবে হরপ্পা সভ্যতার ধ্বংসাবশেষ খুঁজে বের করেছিলেন এবং খরোষ্ঠী লিপির অর্থোদ্ধারও তিনিই প্রথম করেছিলেন। আর এবার তিনি নেমেছেন আলেকজান্ডারের হারিয়ে যাওয়া এক শহরের খোঁজে, ককেশাসে আলেকজান্দ্রিয়া। আফগানিস্তানে তিনি অনেক বেশি সময় কাটিয়েছেন। তার হিসাব ভুল হওয়ার নয়। পারওয়ান প্রদেশেই কোথাও লুকিয়ে আছে ‘ককেশাসে আলেকজান্দ্রিয়া’। এতো-শত ভাবতে ভাবতে বুঝতেই পারেন নি ম্যাসন যে, পারওয়ানে পৌঁছে গেছেন তিনি। এবার এগোতে হবে উত্তর-পশ্চিমের পথ ধরে, কতো দূর এগোতে হবে তা তিনি জানেন না। কিন্তু তার উত্তপ্ত রক্তপ্রবাহ তাকে জানিয়ে দিচ্ছে যে, তাকে খুঁজে বের করতেই হবে সেই অজানা অচেনা হারানো ঐতিহ্যটিকে।
খ্রিস্টপূর্ব ৩৩০ অব্দ। দিগ্বীজয়ী বীর আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট ভারতবর্ষ জয়ের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছেন। তবে হিন্দুকুশ অতিক্রম করার ঠিক আগে একটি জায়গায় এসে থমকে গেলেন তিনি। জায়গাটির কিছু একটা বিশেষত্ব রয়েছে, সমস্ত সত্ত্বা দিয়ে অনুভব করলেন আলেকজান্ডার। সামান্য কিছু দূর এগোতেই দেখতে পেলেন সেই ককেশাস পর্বত। এ-ই তো সেই ককেশাস পর্বত, যেখানে দ্বিতীয় দফায় শেকলবদ্ধ করে ক্রুর শাস্তি দেয়া হয়েছিলো প্রমিথিউসকে। গুরু অ্যারিস্টটলের কাছ থেকে শোনা দেবতাদের কাহিনী মনে পড়ে গেলো আলেকজান্ডারের। তিনি এই মুহূর্তে এতো গুরুত্বপূর্ণ একটি জায়গায় দাঁড়িয়ে আছেন -এ কথা মনে হতেই শরীরে এক অন্য রকম শিহরণ বয়ে গেলো তার। মনস্থির করে ফেললেন, এখানে কিছু দিন থাকবেন তিনি। তাছাড়া জায়গাটির মাটি অত্যন্ত উর্বর এবং এখানকার বাস্তুসংস্থান খুবই আকর্ষণীয়। উর্বর মাটি আর শুষ্ক-উষ্ণ জলবায়ুর কারণে এখানে প্রচুর আপেল, অ্যাপ্রিকট, চেরী, ডালিম, তরমুজ ও আঙ্গুর গাছ রয়েছে। এমন বিপুল পরিমাণ আঙ্গুরের ফলন খুব ভালো শূরা তৈরীতে সহায়ক। ক্লান্ত-শ্রান্ত সৈন্যদের আশ্রয়স্থল হিসেবে এটি একেবারে নিখুঁত। একই সাথে সিল্ক রুটের সঙ্গে এর অবস্থানের জন্য এটি ছিলো একটি ব্যবসাসফল অঞ্চল। সুতরাং এতো বিশেষ একটি জায়গায় আলেকজান্ডার থাকবেন না এমনটা হতেই পারে না। তাই আলেকজান্ডার এই জায়গায়ই তার আরও একটি কলোনি তৈরীর উদ্যোগ নিলেন, বিশ্ববাসী সুদূর ভবিষ্যতে যাকে ‘ককেশাসে আলেকজান্দ্রিয়া’ বা ‘ব্যাগ্রাম’ বলে জানবে। খ্রিস্টপূর্ব ৩২৯ অব্দের মধ্যে আলেকজান্ডার জায়গাটিকে একটি জনবহুল কলোনিতে পরিণত করেছিলেন এবং বহু দুর্গও নির্মাণ করেছিলেন।
ব্যাগ্রামে অতিবাহিত করা আলেকজান্ডারের দিনগুলোর গল্প গেঁথে গিয়েছিলো কৌতুহলী ম্যাসনের অন্তরে। তাই তো এতো ব্যাকুল ছিলেন তিনি জায়গাটিকে খুঁজে বের করার জন্য। হ্যাঁ, ম্যাসন শেষ পর্যন্ত পেয়েছিলেন ককেশাসে আলেকজান্দ্রিয়ার খোঁজ। শুধু তা-ই নয়, তার এই উদ্যোগের কারণেই পরবর্তীতে ১৯৩০ এর দশকে ফরাসি প্রত্নতত্ত্ববিদদের দ্বারা উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছিলো ‘ব্যাগ্রাম গুপ্তধন’।
ব্যাগ্রাম অঞ্চলটি সত্যিকারভাবেই এতো গুরুত্বপূর্ণ ছিলো যে, অধিকাংশ মহৎ ও ঐতিহাসিক দৃষ্টান্ত বহনকারী ব্যক্তিত্বের পদধুলি একবার হলেও এই অঞ্চলে পড়েছে। ব্যাগ্রামের সমৃদ্ধির সবচেয়ে বড় কারণ ছিলো ব্যাগ্রামের বাণিজ্য। আবার অন্যভাবে এ-ও বলা যায় যে, ব্যাগ্রাম এতো বেশি সমৃদ্ধ ছিলো বলেই সেখানে বাণিজ্য এতো ব্যাপক আকার লাভ করতে পেরেছে। ব্যাকরণবিদ পাণিনিও বলেছিলেন যে, ব্যাগ্রামের মতো শূরা আর অন্য কোথাও পাওয়া সম্ভব নয়। কারণটা হলো ব্যাগ্রামের উচ্চ ফলনশীল আঙ্গুরক্ষেত। যেহেতু কুষাণদের সময়ই সবচেয়ে বেশি বাণিজ্য হয়েছিলো, সুতরাং এমন একটি সমৃদ্ধ অঞ্চলকে কুষাণবিহীন কল্পনা করাও কষ্টকর। হ্যাঁ, কুষাণরা কিন্তু এখানে শুধু ব্যবসাই করে নি, বরং ব্যাগ্রামে পাওয়া সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য নিদর্শন ছিলো কুষাণদের তৈরী দুটি প্রাসাদ- উত্তরে ‘বুর্জ-ই-আব্দুল্লাহ’ এবং দক্ষিণে ‘নিউ রয়েল সিটি’।
তৃতীয় এবং শ্রেষ্ঠ কুষাণ সম্রাট কনিষ্কের সময় তার একটি রাজধানী ছিলো পুরুষপুরা বা পেশোয়ার এবং কনিষ্কের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী ছিলো এই ব্যাগ্রাম। ব্যাগ্রামের প্রধান সড়কের সাথেই কনিষ্ক গড়ে তুলেছিলেন উঁচু ইটের দেয়ালবেষ্টিত ও কোণায় টাওয়ারবিশিষ্ট গ্রীষ্ম-প্রাসাদ। কনিষ্কের এই গ্রীষ্ম-প্রাসাদ দুটোর একটিতে(নিউ রয়েল সিটি) ছিলো দুটি গুপ্ত গুদামঘর, যা থেকে এতো বিপুল পরিমাণ সম্পদ পাওয়া গিয়েছে যে, তা কুষাণ আমলের ও একই সাথে ব্যাগ্রাম অঞ্চলের বিপুল সমৃদ্ধির সাক্ষ্য দেয়। কুষাণ আমলের এই বিপুল পরিমাণ সম্পদই ‘ব্যাগ্রাম গুপ্তধন’ হিসেবে সুপরিচিত। প্রাসাদ দুটির অবস্থান স্থানীয় বাজারের সাথেই ছিলো। তাই ধারণা করা হয়, হয়তো বাজারের পণ্যসামগ্রীগুলোই গুপ্ত গুদামঘরগুলোতে রাখা হতো।
কাবুল থেকে ৬০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত ব্যাগ্রাম অঞ্চলটি কাবুল ও বামিয়ানের মধ্যে সিল্ক রোড বরাবর একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্যাসেজ পয়েন্টে অবস্থিত। উত্তর ভারতবর্ষকে চীনের সাথে সংযুক্ত করেছিলো এই অঞ্চলটি। ব্যাগ্রামের অবস্থান এমন এক জায়গায় ছিলো যে, কেউ কেউ এটাকে ‘ভারতবর্ষের প্রবেশদ্বার’ বলে অভিহিত করেছেন। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই অঞ্চলের পাশেই কাপিসা নামক জায়গায় এক ইন্দো-ইরানি উপজাতিগোষ্ঠী কম্বোজা সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছিলো, যা আলেকজান্ডারের আসারও বহু আগের ঘটনা। একবার আকেনেমিড সম্রাট সাইরাস ব্যাগ্রামকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছিলেন। এরপর তারই উত্তরসূরী সম্রাট দারিয়ুস আবারও পুনরুদ্ধার করেন ব্যাগ্রামকে। আলেকজান্ডার এই অঞ্চলে আসার পর এটিকে আরও শক্তিশালী অঞ্চলে পরিণত করেন। আলেকজান্ডারের মৃত্যুর পর তার অধিকৃত অঞ্চলগুলো নিয়ে যখন তার জেনারেলরা নিজেদের মধ্যে যুদ্ধ-কলহে ব্যস্ত, তখন সেই সুযোগে চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য শক্তিশালী করে তুলেছিলেন মৌর্য সাম্রাজ্যকে। আলেকজান্ডারের এশিয়া-অধিকৃত অঞ্চলগুলো তার একজন জেনারেল সেলিউকাস নিকাতোরের পাওয়ার কথা থাকলেও চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য কৌশলে সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ অঞ্চলগুলো নিজের অধিকারে নিয়ে নিতে সক্ষম হন। সেলিউকাস পেয়েছিলেন নামমাত্র কিছু অঞ্চল। চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের অধিকারে আসার পর থেকে অশোকের সময় পর্যন্ত, অর্থাৎ মৌর্য সাম্রাজ্যের ১২০ বছরের মধ্যে জরাথ্রুস্টবাদের পাশাপাশি বৌদ্ধ ধর্মও এই অঞ্চলের একটি অন্যতম প্রধান ধর্ম হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। ২৪১ খ্রিস্টপূর্বাব্দে ব্যাগ্রাম সাসানীয়দের দখলে চলে যায়। কিন্তু এই আক্রমণের আগেই গুপ্ত সম্পদবিশিষ্ট গুদামঘর দুটিকে তালাবদ্ধ করে দেয়া হয়েছিলো, যেনো এই ঘর দুটির খোঁজ তারা কোনোভাবেই না পায়। প্রায় সতেরো শতাব্দী যাবৎ এভাবেই ঘর দুটো তালাবদ্ধ অবস্থায় ছিলো।
তালাবদ্ধ গুপ্তঘর দুটিতে পাওয়া সংগ্রহতে যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি লক্ষণীয়, তা হলো প্রত্নতত্ত্বের এক আকর্ষণীয় সংমিশ্রণ। যা উল্লেখ না করলেই নয়, তা হলো- ভারতবর্ষের হাতির দাঁতে খোদাই করা কারুশিল্প; গ্রীসের গ্লাস, গ্লাস পেইন্টিং, বিভিন্ন হেলেনীয় মূর্তি ও রূপার অলঙ্কার; সিরিয়ার কাঁচের তৈরী জিনিসপত্র; মিশরের কাঁচ ও ব্রোঞ্জ; রোমের ব্রোঞ্জ ও গ্রীকো-রোমান গ্ল্যাডিয়েটরের ছবিসহ একটি কাঁচের পাত্র; চীনের বার্ণিশ বাক্স এবং বিভিন্ন সাম্রাজ্যের অসংখ্য মুদ্রা। এমন বৈচিত্র্যপূর্ণ সংমিশ্রণ কুষাণ সাম্রাজ্যের সার্বজনীন বাণিজ্যিক যোগাযোগেরই প্রমাণ বহন করে। একই সাথে এটিও প্রমাণিত হয় যে, কুষাণদের সময়ে কারিগরী দক্ষতা ও সাংস্কৃতিক গ্রহণযোগ্যতা ছিলো সর্বোচ্চ।
সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলো, এই সংগ্রহগুলোর বেশিরভাগেরই বয়স কম, অর্থাৎ এরা ছিলো ১ম ও ২য় শতাব্দীর এবং সবচেয়ে সাম্প্রতিক সময়ের যেটি পাওয়া গিয়েছে তা হলো প্রথম বাসুদেবের একটি মুদ্রা। তাই এই ধারণা করাই যায় যে, হয়তো প্রথম বাসুদেবের সময়েই গুপ্তঘর দুটো তালাবদ্ধ করা হয়েছিলো।
বর্তমানে ব্যাগ্রাম একটি সামরিক বিমানঘাঁটি। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন শাসনের অধীনে এই অঞ্চলটি নতুন নতুন মাত্রা পেয়েছে। কম্বোজা, আলেকজান্ডার, চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য, অশোক, কুষাণ, সোভিয়েত রাশিয়া, আমেরিকা –এমন কোনো প্রভাবশালী সাম্রাজ্য বা সম্রাট বোধহয় নেই, যার সাথে ব্যাগ্রামের সম্পর্ক ছিলো না। প্রত্যেক যুগে প্রত্যেক সময়েই ঐতিহাসিক ও পৌরাণিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিশেষ স্থানপ্রাপ্ত ব্যাগ্রাম ছিলো অনেক বেশি গুরুত্ব বহনকারী একটি অঞ্চল।
ভারতীয় উপমহাদেশের ৫০০০ বছরের ইতিহাসের ধারাবাহিক বিবরণীর এটি একটি অংশমাত্র। এই ধারা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।