“বেলা যে পড়িয়া এল, গায়ে লাগে হিম,
আকাশে সাঁঝের তারা, উঠানে পিদিম।”
কবি অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের কুটির কবিতা সেই অতীত স্মৃতিকে স্মরণ করিয়ে দেয়।
প্রাচীনকালে আগুন ব্যবহারের মাধ্যমে বাতির প্রচলন হয়। তারপর ধীরে ধীরে কুপি বানাতে শেখে মানুষ। এতে জ্বালানি হিসেবে খনিজ তেল ও প্রাণীজ তেলের ব্যবহার করা হত। খনিজ তেলের মধ্যে কেরোসিন তেল অন্যতম । সেকালের রাজপ্রাসাদ ও বনেদি পরিবারে ছিল বাহারি রকমের কুপি বাতি। এছাড়াও গৃহস্থালি, আচার-অনুষ্ঠান, হাট-বাজার,মাছ ধরা, নৌকা, বিচার শালিশের কুপির মধ্যে রকমফের পরিলক্ষিত হয়। বিভিন্ন আকৃতি ও নকশা ফুটিয়ে তোলা হত শৌখিন কুপি বাতির মধ্যে। কোনোটার গায়ে আবার নামও খোদাই করা থাকতো। এটা বেশি দেখা যেত পিতলের কুপির মধ্যে। এর কদরও ছিল বেশি।
সংগ্রহের এই বাতিতে ডোকরার শিল্পকর্ম রয়েছে।ডোকরা হল মোম ঢালাই পদ্ধতিতে তৈরি একটি শিল্প কর্ম। এই শিল্পের ইতিহাস প্রায় ৪০০০ হাজার বছরের পুরানো।
কুপি বাতির এ দৃশ্য এখন আর দেখা যায় না।গ্রামীণ সমাজের সন্ধ্যা বাতি ‘কুপি বাতি’ এখন সোনালী অতীত স্মৃতিতে পরিণত হয়ে গেছে।