শাহ্‌ আব্বাস ছবিঃ উইকিমিডিয়া

শাহ্‌ আব্বাস বা প্রথম আব্বাসt তিনি “মহান আব্বাস” নামেও পরিচিত, মাত্র ১৬ বছর বয়সে পারস্যের শাহ্‌ হয়েছিলেন। তিনি ২৭ জানুয়ারি, ১৫৭১ সালে হেরাতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পারস্যের সাফাভি বংশের চতুর্থ শাসক মোহাম্মদ খোদাবান্দার ৩য় ছেলে এবং তার মায়ের নাম খায়ের আন নিসা বেগম। তিনি ১৫৮৭ সাল থেকে ১৬২৯ সাল পর্যন্ত শাসন করেন। শাহ্‌ আব্বাস ছিলেন সাফাভি রাজবংশের ৫ম শাহ্ এবং ঐ বংশের সব থেকে শক্তিশালী শাসক। তিনি এমন একটা সেনাবাহিনী তৈরি করেছিলেন যারা যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য সব সময় প্রস্তুত থাকত। তিনি “ইসফাহান” শহরকে রাজধানী করেন এবং তাঁর হাত ধরেই “ইসফাহান” শহর শিল্প, সাহিত্য, চিত্রকলা সব কিছুতেই উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছায়। শাহ্‌ আব্বাস ছিলেন দাদা “শাহ্‌ তাহমস্পের” মতই বিচক্ষণ ও সাহসী, যা তাকে খ্যাতির চুড়ায় তুলেছিল। মজার বিষয় হলো – আপনারা জেনে অবাক হবেন যে, এই শাসক শাহ্‌ আব্বাস এর নাম থেকেই শাবাশ কথাটি এসেছে। চলুন দেখে আসি সেটা কিভাবে?

“শাবাশ!” কেউ অনেক সাহসের কাজ করলে, আমরা এই শব্দটি বলে প্রশংসা করি। কেউ একটা ভালো কাজ করলেও আমরা “শাবাশ” বলে তাকে উৎসাহ দিই। এই শাবাশ শব্দটির পেছনে রয়েছে এক কিংবদন্তী। এর সাথে জড়িয়ে আছে পারস্যের শাসক শাহ্‌ আব্বাস রাজপুরুষের নাম। শাহ্‌ আব্বাস তাঁর সমগ্র জীবনে ছিলেন আলোকিত, কর্মময় ও বীরপুরুষ। তিনি জনগণের উন্নয়নে অসম্ভব রকমের কাজ করেছেন, সেজন্য তিনি জনগণের কাছে ছিলেন খুবই জনপ্রিয়। সেই থেকে সাধারন মানুষ চমৎকৃত কাজ করলেই শাহ্‌ আব্বাসের সাথে তুলনা করে বলত- ‘একি! তুইতো শাহ্‌ আব্বাসের মত কাজ করেছিস।’ কালের বিবর্তনে এই “শাহ্‌ আব্বাসের মত” কথাটি ধীরে ধীরে শাবাশে রূপান্তরিত হয়েছে। এভাবেই শাহ্‌ আব্বাস থেকে সৃষ্টি হয় শাবাশ কথাটির।

তথ্যসূত্রঃ বাদশাহ নামদার, হুমায়ুন আহমেদ। উইকিপিডিয়া।

The Masjed-e Shah

Naqsh-e Jahan Square, Esfahan, Iran

Imam Mosque (Masjed-e Imam, Esfahan, Iran)