বিস্ময় জাগানিয়া!
হাজার হাজার বছর আগে আদিম মানুষের হাতে আঁকা এত সুন্দর আর শৈল্পিক চিত্র বিস্ময়ের জন্ম দেবে যে কারো মনে।
লস্কো গুহাটি প্রস্তর যুগের গুহাচিত্রের জন্য সারা পৃথবীতেই বিখ্যাত। এটি দক্ষিণ-পশ্চিম ফ্রান্সের দোর্দনে অঞ্চলের মন্তিনিয়াকে অবস্থিত।
১৯৪০ সালের ১২ সেপ্টেম্বর চারজন ছেলে বেড়াতে বের হয়ে গেলো l সাথে তাদের প্রিয় কুকুরটিও l প্রচন্ড excited l কুকুরটিও খুব আনন্দে ছিল l হটাৎ লস্কো গুহাতে পড়ে গেল প্রিয় কুকুরটি । খোজ পেতেই হবে আদরের পোষা প্রাণীটির l খুজতে খুজতে মার্সেল রাবিদাত ,তাদেরই একজন গুহাটির প্রবেশপথ দেখতে পেলো, সবাই মিলে ভেতরে গিয়ে তো অবাক। গুহার ভতরে তারা কিছু ছবি দেখতে পায়। করা করলো এই ছবি গুলো? ভাল করে বুঝার জন্যে পরদিন তারা আরো প্রস্তুতি নিয়ে গুহায় গেল l বিস্ময়কর সব চিত্র আবিষ্কার করে ফেললো তারা। ওই চারটি দুরন্ত শিশুর হাত ধরে আমরা খোজ পেলাম আমাদের পূর্বপুরুষের শিল্পকর্ম l১৯৪৮ সালে এটি জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়। এই গুহায় হাজার বছরের পুরনো ২ হাজারেরও বেশি চিত্র রয়েছে।
গুহাটিতে বিভিন্ন প্রাণী, মানুষের অবয়ব এবং বিমূর্ত চিত্র হয়েছে। লস্কো গুহা কমপ্লেক্সের ভেতরে বেশ কয়েকটি সেকশন রয়েছে। এগুলো হলো গ্রেট হল অফ বুলস (ষাঁড়ের বিশাল কক্ষ), ল্যাটরাল প্যাসেজ (পার্শ্ব পথ), শাফট অফ দ্য ডেড ম্যান (মৃত মানুষের খাদ), চেম্বার অফ এনগ্রেভিংস (নকশার চেম্বার), পেইন্টেড গ্যালারি (অঙ্কিত গ্যালারি) এবং চেম্বার অফ ফিলাইনস (বিড়ালের কক্ষ)।
এই সেকশনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় সেকশন হচ্ছে ‘গ্রেট হল অফ বুলস’। এটি মোট চারটি কালো ষাঁড়কে ফুটিয়ে তুলেছে। সতেরো ফুট দীর্ঘ কালো ষাঁড়ের চিত্রকর্মটি গুহা শিল্পকলায় আবিষ্কৃত বৃহত্তম পশুর চিত্র। প্রস্তর যুগের মানুষেরা এসব চিত্র আঁকার জন্য প্রাকৃতিক রঞ্জক পদার্থ ব্যবহার করেছিলো। স্যালুট জানাই তাদের l