দৃশ্যপট: ট্রয় নগরী। প্রাচীর ঘেরা ট্রয়ের কেন্দ্রস্হলের প্রধান উপাসনালয়ের সামনের উম্মুক্ত প্রাঙ্গন। তরবারী হাতে সদ্য জয় করা ট্রয়ের এই স্থানে দাঁড়িয়ে আছে গ্রীসের স্পার্টা’র (Sparta) রাজা মেনালাউস (Menelaus), হেলেন অফ ট্রয়ের প্রাক্তম স্বামী। তাঁর মুখমণ্ডলে পরিস্কার দৃশ্যমান ক্রোধের অভিব্যক্তি। মেনালাউসের সামনে মাথা নত করে ক্ষমা প্রার্থনা করছে তাঁরই প্রাক্তম স্ত্রী, সবচেয়ে সুন্দরী রমনী, হেলেন। দু’ চোখে ঝরছে তাঁর অশ্রু। কৃতকর্মের জন্য মেনালাউসের কাছে অনুতপ্ত। স্ত্রীর চোখের জল এবং তাঁর অপার সৌন্দর্য্য নিমেষে দূর করে দিলো মেনালাউসের ক্রোধ ও প্রতিহিংসা। ক্ষমা করে দিয়ে মেনালাউস তুলে নিলো হেলেনকে। হেলেন কী সত্যিই অপরাধী ছিল? এই ক্লাইম্যাক্সের পটভূমি জানতে হলে আমাদের ছুটে যেতে হবে খ্ৰীষ্টপূৰ্ব ৭৫০-৭২৫ সালে হোমার (Homer) রচিত মহাআলেখ্য, “ইলিয়াদ”-এর ছন্দময় পাতায়।

হোমার (Homer) প্রাচীন গ্রীসের একজন কিংবদন্তী। তিনি ছিলেন অন্ধ। ধারণা করা হয়, খ্রীষ্টপূর্ব অষ্টম শতাব্দীতে হোমারের জন্ম বর্তমান তুর্কীর আনাতালিয়া এলাকায়। তাঁর মহাকাব্য “দ্য ইলিয়াদ” (Iliad) এবং “দ্য অডেসি” (Odyssey) গ্রীক সাহিত্যের দুটি অনবদ্য সৃষ্টি। “দ্য ইলিয়াদ” রচনা করা হয়েছিল খ্ৰীষ্টপূৰ্ব ৭৫০-৭২৫ সালে, আর “দ্য অডেসি” খ্রীষ্টপূর্ব ৭৪৩-৭১৩ সনে, যদিও কাহিনীর সময়কাল খ্রীষ্টপূর্ব ১২০০ সাল। তার মানে, কাব্য দুটো রচনা করা হয়েছে ঘটনাকালের প্রায় পাঁচশো বছর পর। জনশ্রুতি এবং মানুষের স্মৃতির উপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে কাব্যের ঘটনা প্রবাহ। সেই প্রাচীন কাল থেকে ইলিয়াদ এবং অডেসির সঠিক পটভূমি, সময়, স্থান ও পারিপার্শ্বিকতা নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক রয়েছে। এমনও হতে পারে, এই কাহিনীর আসলে ঐতিহাসিক কোনো ভিত্তিই নেই, সবটাই স্রেফ হোমারের কল্পনাপ্রসূত। তাতে কি?’

কাল্পনিক বা সত্য, যা’ই হোক, দুই হাজার আট শো বছর আগে রচিত এ কাব্য দুটো এঁকে রেখেছে মানব সভ্যতার কিছু শাশ্বত চারিত্রিক বৈশিষ্ট যা’ আবহমান কাল থেকে এখন পর্যন্ত সমাজকে করেছে বিবর্তন ও রেখেছে চলমান। মানুষের লোভ, উচ্চাশা, ভালোবাসা, ধূর্ততা, প্রতিহিংসা ও ক্ষমাশীলতা সমাজকে রেখেছে ঘটনাবহুল এবং সচল। হোমার তাঁর রচনায় প্রতিফলিত করেছেন ঠিক এগুলোই, এবং তখনকার ধর্মীয়, অতি-প্রাকৃতিক বিশ্বাসের পর্যাপ্ত উপাদান। গ্রীক ২৪টি বর্ণ মালার আদলে ইলিয়াদকে বিভক্ত করা হয়েছে ২৪টি খন্ডে। হোমারের কাব্যের প্রধান চরিত্রগুলোকে আমরা তিনটি শ্রেণীতে বিন্যাস্ত করতে পারি।

* এক দলে ছিল গ্রীসের রাজারা যাদের নেতৃত্বে ছিলেন রাজা অ্যাগামেমনন (Agamemnon), অকুতোভয় গ্রীক যোদ্ধা একিলিস (Achilles) এবং হেলেনের স্বামী মেনালাউস।
* অন্য দলটি ছিল ট্রোজানদের, যাদের রাজা ছিলেন প্রিয়াম (Priam), তাঁর পুত্র প্যারিস, আর প্যারিসের ভাই হেক্টর ও ডেইফবুস।
* আর তৃতীয় একটি পক্ষ ছিল দেব-দেবীদের, যাদের প্রধান জিউস (Zeus)।
 
দেবীদের মধ্য থেকে ট্রোজানদের পক্ষে ছিল অ্যাপোলো, এফ্রোডাইটি এবং এরিস। আর গ্রীকদের সমর্থনে ছিল দেবী পসেইডন, হেরা এবং এথেনা। জিউস ছিল সবচেয়ে ক্ষমতাশালী নিরপেক্ষ গ্রীক দেবতা। সুন্দরী হেলেন ছিল জিউসের কন্যা।
হোমারের বর্ণিত ট্রয় শহরটি ছিল বর্তমান তুরস্কের দর্দানেলিস এবং পশ্চিম আনাতোলিয়ান অঞ্চলের সম্মিলিত রাজ্যগুলোর রাজধানী এবং রাজা ছিল প্রিয়াম। এই অঞ্চলের আদিবাসী এবং বসবাসরত ইন্দো-ইউরোপীয় জনগোষ্ঠীকে বলা হয় ট্রোজান। গ্রীসদের সাথে ছিল ট্রোজানদের দীর্ঘ দ্বন্দ্ব। এই পটভূমিকে সামনে রেখে চলুন এবার ফিরে যাই মূল গল্পে।
 
ইলিয়াদের প্রথম খন্ডে হোমার সূত্রপাত করে ট্রয়ের অ্যাকিলিসের পিতা রাজা পিলিয়াস এবং গ্রীক দেবী থেটিসের বিয়ের অনুষ্ঠান দিয়ে। ঐ অনুষ্ঠানে বিবাদ-বিগ্রহের দেবী এরিস উপস্থিত ছিলো আরো অন্যান্য দেব-দেবীর সাথে, যদিও এরিস আমন্ত্রিত ছিলো না। বিয়ের আসরে মজা করার জন্য, এরিস সাথে নিয়ে আসে একটি সোনালী আপেল, যা’ দেয়া হবে অনুষ্ঠানের সবচেয়ে সুন্দরীকে। সুন্দরী নির্বাচনের দায়িত্বটি দেয়া হয় ট্রয়ের সুদর্শন রাজকুমার প্যারিসকে। রাজকুমার হলেও প্যারিসের শৈশব ছিল খুবই দুঃখের। প্যারিসের জন্মের পর তাকে পরিবার থেকে ফেলে দিয়ে আসা হয় গভীর বনে। কারণ, তাঁর অভিভাবক স্বপ্নে দেখে যে, প্যারিসের মধ্যে ছিল এক অশুভ শক্তি। ট্রোজানদের বিশ্বাস, প্যারিসকে লালন-পালন করে কিছু ভাল্লুক ও রাখাল। যৌবনে প্যারিস ফিরে আসে রাজপ্রাসাদে।
 
প্যারিস অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবচেয়ে সুন্দরী দেবী এফ্রোডাইটিকে (Aphrodite) বিজয়ী ঘোষণা করে। ঐ অনুষ্ঠানে জুনো, ভেনাস, মিনার্ভা, হেরা এবং এথিনা নামের আরো সুন্দরী দেবী উপস্থিত ছিলো। পুরস্কার হিসেবে সোনালী আপেলটি পেয়ে আবেগে আপ্লুতো হয়ে এফ্রোডাইটি প্রতিজ্ঞা করে, সে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দরীকে প্যারিসের হাতে তুলে দিবে। কিন্তু তখনকার সবচেয়ে সুন্দরী রমণী হেলেন ছিল স্পার্টার রাজা মেনালাউসের স্ত্রী।
 
এদিকে ট্রয় যখন হয়ে উঠে প্রাচুর্য্যময়, গ্রীকদের তখন লোভাতুর দৃষ্টি পড়ে এই নগরীর উপর। লালসা দানা বাঁধে তাদের মনে। সুযোগও এসে যায় সহসা। শুরু হয় দীৰ্ঘ এক লড়াই, যা’ বিস্তৃতি হয়েছিল দশ বছর। হোমারের বর্ণনায় এটাকে বলা হয় ট্রোজানের যুদ্ধ (Trojan War)। এই যুদ্ধের সূত্রপাত হয় যখন প্যারিস স্পার্টায় ভ্রমণে যায় ট্রয়ের সাথে স্পার্টার কূটনৈতিক এবং বাণিজ্যিক সম্পর্ক বিস্তার করতে। দেখা হয়ে যায় হেলেনের সাথে। হোমারের কাব্য এখানে নেয় এক রোমান্টিকতার বাঁক।
 
মনে করা হয়, দেবী এফ্রোডাইটির সহায়তায় সুদর্শন প্যারিসের প্রেমে পড়ে যায় হেলেন। প্যারিসের এই ভ্রমণের শেষ দিকে হেলেনের স্বামী মেনালাউস হঠ্যাৎ করেই চলে যায় ক্রেটে (Crete) তাঁর পিতামহের অন্তোষ্টিক্রিয়ায়। এই সুযোগে ভাই হেক্টরের বাধা সত্ত্বেও প্যারিস হেলেনকে নিয়ে পালিয়ে যায় ট্রয়ে। প্রশ্ন থেকেই যায়, হেলেন কী স্বেচ্ছায় প্রেমের টানে প্যারিসের সাথে পালিয়ে যায় ট্রয়ে? উত্তর যাই হোক, এই প্রেম জন্ম দিলো এক অগ্নিস্ফুলিঙের। গ্রীকদের মনে জ্বলে উঠলো প্রতিশোধের আগুন। এই আগুন এনে দিলো গ্রীক রাজা অ্যাগামেমননের ট্রয় দখল করার এক সুবর্ণ সুযোগ। পেয়ে যায় ট্রয়ের প্রাচুর্য কুক্ষিগত করার যুক্তি।
 
হোমার ইলিয়াদের দ্বিতীয় খন্ডে তুলে ধরেন গ্রীকদের প্রতিহিংসা এবং ক্রূঢ়তা। রাজা টিন্ডারেউসের (Tyndareus) শপথ নিয়ে অ্যাগামেমনন এবং তাঁর ভাই মেনালাউস এক হাজার নৌযান নিয়ে অনেক বিপদ-সঙ্কুল পার হয়ে ট্রয় নগরের উপকন্ঠে উপস্থিত হলো। নির্মাণ করা হলো এক কাঠের ঘোড়া। হোমারের বর্ণনায়, এটাই ট্রোজান হর্স (Trojan Horse), গ্রীকদের ধূর্ততার এক নিদর্শন। এই বিশাল কাঠের ঘোড়ার ভিতরে ছিল এক গোপন কুঠুরী। এটি নির্মাণ করেছিল এপেইউস নামের এক কাঠ মিস্ত্রী। গোপন কুঠুরীতে প্রায় তিরিশ জন (অনেকের মতে আরো বেশী) গ্রীক সৈন্যকে লুকিয়ে রেখে এই ট্রোজান ঘোড়াকে রেখে আসা হয় টেনেডোস দ্বীপে। সাথে থেকে যায় সিনোন নামে এক গ্রীক গুপ্তচর, যা’র দায়িত্ব ছিল ট্রোজানদেরকে বোঝানো যে, গ্রীকদের দেয়া পুরস্কার এই ঘোড়া ট্রয় নগরীর মধ্যে রেখে দিলে, কোনো শত্রু ট্রয়কে জয় করতে পারবে না।
 
ট্রয়ের রাজা প্রিয়ামের এক কন্যা ছিল, যার নাম ক্যাসেন্দ্রা, প্যারিসের বোন। তাঁর ভবিষৎ বাণী ফলে যেত বেশীরভাগ সময়ই। সেই ক্যাসেন্দ্রার বারংবার আপত্তি সত্ত্বেও ট্রোজানরা ঘোড়াটিকে ট্রয়ের প্রাচীর-আবিষ্ঠ দূর্গের ভেতর নিয়ে যায়। ট্রোজানরা পড়ে গেলো গ্রীকদের চাতুর্য্যের ফাঁদে। ঘোড়াটিকে যখন ট্রোজানরা ট্রয়ের প্রাচীর ঘেড়া কেন্দ্রস্থলে নিয়ে যাচ্ছিলো, গ্রীক সৈন্যদের সাথে হেলেনের স্বামী মেনালাউসও লুকিয়ে ছিল গোপন কুঠুরীতে। রাতে দূর্গের ভেতর ট্রোজানরা মত্ত হয়ে উঠলো এক বিজয় উৎসবে। এই সুযোগে গ্রীক সৈন্যরা মেনালাউসের নেতৃত্বে ঘোড়ার পেট থেকে বেরিয়ে ট্রয়ের প্রধান ফটক খুলে দেয়। ট্রয়ের উপকণ্ঠে লুকিয়ে থাকা আরো গ্রীক সৈন্য ঢুকে পড়ে ট্রয়ের ভেতর। গ্রীক বীর একিলিসের নেতৃত্বে শুরু হয় লড়াই।
 
ইলিয়াদের তৃতীয় খন্ডে দেখা যায় হোমার তাঁর কাব্যের প্লট পরিবর্তন করে আমাদেরকে নিয়ে যায় প্যারিস এবং মেনালাউসের মল্লযুদ্ধের দিকে। যুদ্ধের হার-জিৎ নির্ধারণ করতে প্রস্তাব করা হয় মেনেলাউস এবং প্যারিসের মধ্যে এক মল্লযুদ্ধের। শর্ত, বিজয়ী পাবে হেলেনকে। এই লড়াই দেখার জন্য উপস্থিত হয় ট্রোজান রাজা প্রিয়াম ও তাঁর পরিষদবর্গ, এবং গ্রীক রাজা অ্যাগামেমনন। দেবী এরিস হেলেনকে নিয়ে আসে এই মল্লযুদ্ধ দেখার জন্য। লড়াইয়ে মেনালাউস প্যারিসকে সহজেই হারিয়ে দেয়, কিন্তু প্যারিসকে হত্যা করার আগেই দেবী এফ্রোডাইটি ভেনাস নামের এক মেঘের দেবীর সাহায্যে অলৈকিকভাবে প্যারিসকে উড়িয়ে নিয়ে যায় প্যারিসের বাড়ীতে। হেলেনকেও নিয়ে আসা হলো প্যারিসের কাছে। মিলন হলো প্রেমিক-প্রেমিকার।
 
চতুর্থ খন্ডে হোমার পাঠকদের উপহার দেয় কাহিনীর ক্লাইম্যাক্স। যখন গ্রীকরা ট্রোজানদের সাথে মল্লযুদ্ধে কে বিজয়ী হয়েছে এই বিতর্কে লিপ্ত, তখন গ্রীক দেবী এথিনার প্ররোচনায় ট্রোজান বীর পান্ডারুস মেনালাউসকে তীর মেরে জখম করে। কিন্তু এথিনা মেনেলাউসের মৃত্যু চায় নি। এথিনাই আহত মেনেলাউসকে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করে। মেনালাউস আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে প্যারিসকে হত্যা করার জন্য। নিয়ে আসে গ্রীক বীর ফিলোকটেটাসকে (Philoctetes) প্যারিসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য। ফিলোকটেটাস উত্তরাধিকারসূত্রে পেয়েছিলো হারকিউলিসের তীর-ধনুক।
 
প্রথম দিনেই ফিলোকটেটাস প্যারিসকে হত্যা করে হারকিউলিসের তীরের আঘাতে। এই সংবাদ শুনে প্যারিসের স্ত্রী ওইনোন (Oinone) এতোই শোকে মূহ্যমান হয়ে পড়ে যে, সে মৃত প্যারিসের চিতার আগুনে ঝাঁপিয়ে পড়ে আত্মহুতি দেয়। প্যারিসের মৃত্যুর পর, হেলেনকে বাধ্য করা হয় প্যারিসের ভাই ডেইফবুসকে (Deiphobus) বিয়ে করতে। কিন্তু ডেইফবুসের কপালে ছিল না হেলেনের সাথে সংসার করার। কিছুদিন পর মেনালাউস ডেইফবুসকেও হত্যা করে। ট্রয়ের হেলেন হয়ে পড়ে বিধবা। মিলন হয় স্বামী-স্ত্রী হেলেন এবং মেনালাউসের।
 
 
এবার আমাদেরও ফেরার পালা ট্রয় নগরের সেই উপাসনালয়ের সামনে, যেখান থেকে আমরা এই গল্পের সূত্রপাত করেছিলাম।
মেনালাউস এবং হেলেনের পুনর্মিলন নিয়ে কয়েকটি কল্পকথা আছে। ট্রয় বিজয়ের পর, মেনালাউস হেলেনকে হত্যা করার জন্য তাঁর তরবারী বের করলে, হেলেন মেনালাউসের কাছে প্রাণ ভিক্ষা চায়। মেনালাউস হেলেনকে ক্ষমা করে দেয়। অন্য আরেক বর্ণনায়, হেলেনের অপার সৌন্দর্য্যে বিমোহিত হয়ে মেনালাউস সিদ্ধান্ত নেয় হেলেনকে ট্রয়ে হত্যা না করে স্পার্টায় নিয়ে শাস্তি দেবার। স্টেসিকোরাসের “লিওনে’র বিজয়” গ্রন্থের বিবরণে দেখা যায়, মেনালাউস তাঁর সৈন্যদেরকে আদেশ করে হেলেনকে পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা করতে। কিন্তু সৈন্যরা হেলেনের রূপে এতো অভিভূত হয়ে যায় যে, তাদের হাত থেকে পড়ে যায় পাথরগুলো।
অতি-প্রাকৃতিক এবং কাল্পনিক হলেও, হোমার ব্যক্তির অন্তর্নিহিত চারিত্রিক বৈশিষ্ট, যেমন লোভ, উচ্চাশা, প্রতিহিংসা এমনভাবে চিত্রিত করেছেন, যা’ আজো আমাদের সমাজে চিরন্তন। ইলিয়াদের ব্যক্তি-চরিত্রগুলোকে যুগযুগ দেখা গিয়েছে সব সমাজে, এখনো এই চরিত্রগুলোর কোন মৌলিক পরিবর্তন হয়নি। আর এখানেই হোমারের সার্থকতা।
 
তথ্য সূত্র:
Owen Jarus: Ancient Troy: The City & the Legend. Live Science., August 26, 2017.