পিসি সোরকার- সাফল্যের সিড়ি বেয়ে একটু একটু করে শেকড় থেকে শিখরে উঠে আসা এক যাদুশিল্পির আরো কিছু কথা।

উনিশ’শ পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে সারা পৃথিবীতে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে সাড়া জাগানো, হৈ চৈ ফেলে দেয়া এক যাদুকর বা যাদুসম্রাটের কথা বলছি। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান বা প্যারিসের মতো বড় বড় শহরের আলো ঝলমলে রঙ্গমঞ্চে পিনপতন নিস্তব্ধতা, হাজারো দর্শকদের নিঃস্পলক দৃষ্টির সামনে সদা হাস্যজ্জল ব্যাক্তিত্ব, পরনে তার জরিদার চুমকিআঁটা রাজ-শেরওয়ানী, নীল সিল্কের চোষ লেগিং এর সাথে পায়ে ম্যাচিং করা রাজ নাগরা, মাথায় ভারতীয় মহারাজার রঙ্গিণ পাগড়ী, সুরমা আঁকা বুদ্ধিদ্বীপ্ত চোখে সৌম্য সুদর্শন তারুণ্যদ্বীপ্ত এক যাদুকর সামনে দু’হাত প্রসারিত করে গুরুগম্ভির ভরাট কন্ঠে উচ্চারিত মন্ত্র দিয়ে হল ভর্তি দর্শককে সম্মোহিত করে রেখেছে তার ইন্দ্রজালে, দর্শক সারিতে সামনে উপবিষ্ট বড় বড় গণ্যমান্য নারী পুরুষ রাজণ্যবর্গের সামনে সে মন্ত্র পড়তে শুরু করলো- “গিলি-গিলি-গিলি এ্যাবরা-ডেবরা”-যেই বললো হোয়ে যা, অমনি হোয়ে গেলো। হ্যা আমি এক বাঙালি যাদুকরের কথাই বলছি, তিনি এই বাংলারই ছায়াঘেরা পাখিডাকা মায়াময় গাঁয়ের এক মেধাবী তরুন আমাদের এই বাংলাদেশের সন্তান প্রতুল চন্দ্র সরকার, সবাই ডাকতো পিসি সরকার, আর সারা পৃথিবীতে সবাই তাকে চিনতো যাদুসম্রাট পিসি সোরকার বলে। পিসি সরকার জন্মেছিলেন ১৯১৩ খ্রিঃ ২৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের টাঙ্গাইল জেলার আশেকপুর গ্রামে। যাদুবিদ্যা ছিলো সরকারদের সাত পুরুষের বিদ্যা।

তখন অবিভক্ত বাংলার মূখ্যমন্ত্রী ছিলেন একে ফজলুল হক (পরে শেরেবাংলা)। কোলকাতার ইম্পেরিয়াল হোটেলে তার সম্মানে যাদু দেখাবেন পিসি সরকার। মূখ্যমন্ত্রী ও অন্য মন্ত্রীরা সামনের সারিতে উপবিষ্ট। এসময় পিসি তার স্বভাব সুলভ গল্পের ছলে মাননীয় মূখ্যমন্ত্রীকে এক সিট কাগজে তার যাদু সম্পর্কে কিছু লিখতে বললেন এবং তাতে তার নিজেরসহ কয়েকজন কেবিনেট মন্ত্রীকে স্বাক্ষরও করতে অনুরোধ করলেন। যাদু প্রদর্শনীর শেষ পর্যায়ে পিসি সেই প্রশংসাপত্রটি চাইলেন। মূখ্যমন্ত্রী একে ফজলুল হক সেই কাগজটি খুলে দেখে হতভম্ব হয়ে গেলেন। তার নিজের ও মন্ত্রীদের স্বাক্ষর করা গোটা কেবিনেটের পদত্যাগ পত্র এবং পিসি সরকারকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পত্রও দেয়া হোয়ে গেছে।

টাঙ্গাইল জেলা শহরের আশেকপুর গ্রামের প্রতুলের লেখাপড়া শুরু হয় স্হানীয় শিবনাথ হাই স্কুল থেকে। ১৯০৮খ্রিঃ প্রতিষ্ঠিত শতবর্ষী সেই শিবনাথ হাই স্কুলটি এখনও মাথা উচু করে দাড়িয়ে আছে আপন মহিমায়, গৌরবে অহংকারে। এই স্কুলটি থেকে পিসি ডিসটিংশনসহ এনট্রান্স পরিক্ষা পাশ করেন প্রথম বিভাগে। এরপর তিনি ভর্তি হোন করোটিয়া কলেজে (আজকের স্বনামধন্য সরকারী সাদাত বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, সংক্ষেপে করটিয়া সাদাত কলেজ, টাঙ্গাইল উপজেলা সদরে ১৯২৬খ্রিঃ জুন মাসে প্রতিষ্ঠিত হোয়েছিলো করোটিয়া কলেজ নামে। কলেজটি আজ গুণে মানে সামাদরে, সমারোহে অনেক উচু আসনে প্রতিষ্ঠিত একটি বিদ্যাপীঠ। এই কলেজের নোটেবল ছাত্রদের তালিকায় পিসি সরকারের নাম ও ছবি আজও উল্লিখিত ও প্রদর্শিত হয়)। তখনকার সময়ে পিসি সরকার কোলকাতা বোর্ডের অধীনে লেটার মার্কসহ প্রথম বিভাগে উচ্চ মাধ্যমিক পরিক্ষা পাশ করেন এই করোটিয়া কলেজ থেকে। এরপরে তিনি অংকে অনার্সসহ পড়তে আসেন ময়মনসিংহের বিখ্যাত আনন্দমোহন কলেজে। (শতবর্ষের ঐতিহ্যে লালিত আনন্দমোহন কলেজ বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ কলেজগুলোর অন্যতম। এ কলেজের রয়েছে এক সমৃদ্ধ ও গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। আনন্দমোহন কলেজ ১৯০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও এর কার্যক্রম শুরু হয় ১৯০৯ সালে যদিও এর প্রতিষ্ঠাকাল আরো আগের। এই মহান উদ্য্যোগের সঙ্গে যাঁর নাম জড়িয়ে আছে, তিনি হচ্ছেন অন্যতম শ্রেষ্ঠ বাঙালি শিক্ষাবিদ, রাজনীতিক, সমাজসংস্কারক ব্যারিস্টার র্যা ঙলার আনন্দমোহন বসু)

১৯৩৩ খ্রিঃ প্রতুল চন্দ্র অংকে ডিসটিংশন নম্বর নিয়ে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্হান অধিকার করে গ্রাজুয়েট ডিগ্রি লাভ করেন পৃথিবী খ্যাত আজকের আনন্দমোহন কলেজ ময়মনসিংহ থেকে। সত্যিকার অর্থে প্রতুল চন্দ্র একজন ক্ষনজন্মা মেধাবী ছাত্র ছিলেন সেটি তার শিক্ষা জীবনের শুরুতেই সবাই জেনে গিয়েছিলো। বলাবাহুল্য স্কুল জীবন থেকেই প্রতুল তার পারিবারিক যাদুবিদ্যাগুরু গণপতি চক্রবর্তি মহাশয়ের কাছ থেকে একটু একটু করে যাদুবিদ্যা রপ্ত করছিলেন। তার অস্বাভাবিক প্রখর মেধাশক্তি গণিতের সাথে যাদু শৈলীর অপূর্ব মিশ্রণ তাকে যাদুবিদ্যায় আগ্রহী ও পারদর্শি করে তুলেছিলো। পিসি সরকারের যাদু প্রদর্শনী ছিলো নাটকের গল্পের মতো, তিনি অভিনয় করতে করতে যাদু দেখাতেন। এক্সরে আই, নারীর দেহ ব্যবচ্ছেদ এবং ভারতীয় জল ইত্যাদি যাদু অনুষ্ঠানে মঞ্চে তার সাবলিল দেহ ভঙ্গিমা, হাসিমাখা মুখাবয়বে শুদ্ধ শব্দ উচ্চারণ, মঞ্চসজ্জা, আলো প্রক্ষেপণ এবং বলিষ্ঠ অনুষ্ঠান উপস্হাপনা সবমিলে তার যাদু প্রদর্শনীকে তিনি দর্শকদের বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতেন।
 
পিসি সরকার ১৯৩৩খ্রিঃ ময়মনসিংহ আনন্দমোহন কলেজ থেকে গ্রাজুয়েট ডিগ্রি লাভ করেন এবং তারপরের বছর ১৯৩৪ খ্রিঃ থেকে আমেরিকা, রাশিয়া, বৃটেনসহ পর্যায়ক্রমে পৃথিবীর ৭০টি দেশে তার যাদু দেখাতে শুরু করেন। তার যাদু প্রদর্শনীগুলো তাকে মঞ্চ ও টিভিতে বারবার দেখাতে হয়েছিলো এবং এ থেকে তিনি প্রচুর অর্থ রোজগারও করতে থাকেন। সেইসাথে তার হাতে তুলে দেয়া হয় আমেরিকার সর্বোচ্চ ফনিক্স এ্যাওয়ার্ড, জার্মানীর গোল্ডবার ও গারল্যান্ড পুরস্কার, ডাচ ট্রিকস প্রাইজ এবং ভারতের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পদ্মশ্রী পুরস্কারসহ অনেক অনেক নামী দামী সম্মাননা ও অনুদান। তিনি পৃথিবীর ডজন খানিক নামী দামী আন্তর্জাতিক যাদুবিদ্যা সংগঠনের সম্মানিত সদস্যের অনারারী পদও লাভ করেন। পিসি সরকার ম্যাজিকের উপর বাংলা, ইংরেজি ও হিন্দি ভাষায় কুড়িটি বইও লিখেছেন এগুলোর কয়েকটির নাম Deshe Deshe Hypnotism, Magic-er Kaushal, Indrajal, Sorcar on Magic, 100 Magic You Can Do, Hindoo Magic, Magic for You এবং More Magic for You. তার আরো কয়েকটি বই ছোটদের বেশ আগ্রহ জন্মায় Chheleder Magic, Sahaj Magic, Mesmerism এবং Sammohanvidya ইত্যাদি। কোলকাতার একটি প্রধান সড়কের নাম রাখা হয় যাদু সম্রাট পিসি সরকার সরণী।
 
তিনি যেমন যাদু বিষয়ক বই লিখেছেন তেমনি তাকে নিয়েও অনেকগুলো বই লিখেছেন বড় বড় নামকরা লেখকগণ। সেসব বই বিক্রি হয়েও অনেক টাকা তার ঘরে এসেছে। সেসব বইএ তাকে বলা হতো “সরকার মহারাজা অব ম্যাজিক।” পিসি সরকারের যাদু’শো ও জীবন কাহিনী নিয়ে নির্মিত বেশ কিছু রঙ্গিণ ডকুমেন্টারী ফিল্ম, হিজ মাস্টার্স ভয়েস লং প্লে রেকর্ড, ফটোগ্রাফি এ্যালবাম আগ্রহী দর্শকরা আজও হট কেকের মতো কিনে নেয়।
 
তিনি তার পারিবারিক নাম “Sarcar”, থেকে ইংরেজী “Sorcery.” মেলাতে নিজের নামের শেষে Sorcar লিখতে শুরু করেন। পিসি সরকারের বড় ছেলে মানিক সরকার একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা ও পরিচালক, মেজো ছেলে বাবার মতোই যাদুকর পিসি সরকার জুনিয়র এবং নাতি সে পিসি সরকার ইয়ং। পিসি সরকার পরিবারটি টাঙ্গাইলে সাত পুরুষ ধরে যাদুবিদ্যার পরিবার নামে খ্যাত। তার বাবার নাম ভগবান চন্দ্র সরকার ও মাতা কুসুম কামিনী। তার একটি মাত্র ভাই অতুল চন্দ্র তার থেকে দশ বছরের ছোট। ১৯৩৮ খ্রিঃ পিসি সরকার ময়মনসিংহের নামকরা ডাক্তার প্রমথনাথ মজুমদারের কন্যা শ্রীমতি বাসন্তী দেবীকে বিয়ে করেন। তিনি তার বইগুলোতে তার স্ত্রীর অনুপ্রেরণার কথা বারবার লিখেছেন। পিসি সরকার যতদিন জীবিত ছিলেন মনে প্রাণে একজন খাটি বাঙালি ছিলেন, পৃথিবীর যেখানেই অনুষ্ঠান করতে যেতেন নিজের বায়োগ্রাফি ব্রোসিয়ারে ময়মনসিংহের তথা টাঙ্গাইলের ঠিকানাই তুলে ধরতেন গর্বের সাথে। তিনি পৃথিবীর অনেক বড় বড় রাজা বাদশা, রাষ্ট্রপ্রধান এবং স্বনামখ্যাত ব্যক্তিদের সানিধ্যে এসেছেন। তৎকালিন ভারতের বড়লাট লর্ড ও লেডি মাউন্ট ব্যাটেন তাকে ব্যক্তিগতভাবে খুবই পছন্দ করতেন। ম্যাজিক জগতের মানুষ জনবুথ, আর্থার লেরয়, গুডলিফি এবং এরকম অনেক গুণি যাদুশিল্পিগণ পিসি সরকারকে স্মরন করেন, মূল্যায়ন করেন একটি কারণে তা হলো যাদু যে একটি মেধাবী মানুষের বিদ্যা, যাদুবিদ্যা যে একটি সুন্দর শিল্প এ সত্যটিকে প্রতিষ্ঠা করে ভবিষ্যত প্রজন্মের হাজারো যাদুশিল্পিদের একটি সম্মানিত গৌরবের উচ্চতায় নিয়ে গেছেন পিসি সরকার একাই। পিসি সরকারের জন্ম না হলে এই বিদ্যাটি হারিয়ে যেতো যেমন হারিয়ে গেছে এ্যারিস্টোটলের একাডেমি, সক্রেটিসের নৈতিকবিদ্যা, জেনোফেনের অর্থনীতি এবং স্টোয়িক ও আয়নিকদের দর্শন শাস্ত্র। গুণী ব্যক্তিরা এখনো বলেন “Sorcar’s firm decision was to climb. And so he climbed, inch by inch, foot by foot, higher, far above his contemporaries until the cries of “You’ll never make it” dwindled away in the fog below”. সাফল্যের সিড়ি বেয়ে সরকার একটু একটু করে শেকড় থেকে শিখরে উঠেছেন, পড়ে যাবার ভয় করেন নাই। কিন্তু তা কি হয় বলুন, তাকেও পড়ে যেতে হোয়েছে, তবে তিনি তার শেষ নিঃশ্বাসটি রেখে গেছেন জাপানের হোক্কাইডো শহরের আলো ঝলমলে মঞ্চে মাত্র ৫৭ বছর বয়সে। তার ইন্দ্রজাল যাদু প্রদর্শনী দেখাতে গিয়ে তিনি মঞ্চেই হৃদরোগে আক্রান্ত হোয়ে মারা যান। তার ছেলে পিসি সরকার জুনিয়র অবশিষ্ট যাদু প্রদর্শন করে চুক্তির শর্ত পূরণ করেছিলো। সে দিনটা ছিলো ৬ জানুয়ারি ১৯৭১খ্রিঃ। তার মৃত্যুটাও সারা পৃথিবীতে একটি চমকপ্রদ খবরের হেড লাইন হয়ে মানুষের দৃষ্টি আকর্শণ করতে সক্ষম হোয়েছিলো- সতিকারের মিথ্যে ম্যাজিকের মতোই- Sorcar died of a heart attack in Japan while performing, on January 6, 1971. তার স্ত্রী বাসন্তী, তিনিও মারা যান ২৬ ডিসেম্বর ২০০৯খ্রিঃ যখন জুনিয়র বারাসাতের একটি আলো ঝলমলে মঞ্চে মরা মানুষকে জীবিত করার যাদু দেখাতে ব্যস্ত।
 
পিসি সরকার জুনিয়র ছিলেন তার বাবার যোগ্য উত্তরসূরি। তার ইন্দ্রজাল যাদুর সম্ভারের ছিলো ৪৮ টন যন্ত্রপাতি, ৭৫ জন সহকর্মি, ১২ জন যাদু-কন্যা, লেজার লাইটিং সিস্টেম, ৪০০ সেটেরও বেশী পোষাক, নিজস্ব মিউজিক সিস্টেম অর্কেষ্ট্রা এবং ৫০ টিরও বেশী আলোর ফাঁদ। ১৯৯২খ্রিঃ তিনি পশ্চিমবাংলার বর্ধমান রেলজংসনে হাজার হাজার মানুষের সামনে যাত্রিসহ একটি ট্রেন গায়েব করে দেন। কোলকাতার ৩০০ বছর পূর্তিতে জুনিয়র ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল স্হাপনাটি এবং ২০০০খ্রিঃ ৮ নভেম্বর আগ্রার তাজমহল ভেনিস করে দেন। কমপক্ষে দুই মিনিট তাজমহল পৃথিবী থেকে হারিয়ে গিয়েছিলো। পিসি সরকার জুনিয়র অবশ্য বলেছেন সবটাই ছিলো আলোর ফাঁদ। আমার এই লেখাটি এখানেই শেষ হোলে ভালো হতো। যদি ডেইলি স্টার পত্রিকায় ২০ অক্টোবর ২০১১খ্রিঃ প্রকাশিত ‘Preserve PC Sorcar’s house, free it from grabbers’ এবং ২২ অক্টোবর ২০১১খ্রিঃ বিবিসি খবর Bid to save home of Bengali magic legend PC Sorcar এসব খবর সামনে না আসতো। টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে সারা বাংলাদেশ থেকে জড়ো হওয়া শতাধিক যাদুশিল্পি সমবেত হোয়ে মানববন্ধন করেছেন টাঙ্গাইলের আশেকপুর গাঁয়ে পিসি সরকারের পরিবারের পরিত্যাক্ত বাড়িটি ভূমি দস্যুদের হাত থেকে রক্ষার। এই বাড়িটির নাম এখন যাদুভবন। এখানে ১৯৯২ খ্রিঃ প্রতিষ্ঠিত হোয়েছে পিসি সরকার মেমোরিয়াল ম্যাজিক একাডেমি এবং যাদুশিল্পি কল্যান পরিষদ। তারা সরকারের কাছে এই দাবী করে মিছিল, র্যা লি, মানববন্ধন করেছেন। বলাবাহুল্য ১৯৪৭খ্রিঃ ভারত বিভাগের পরে পিসি সরকারের পরিবার টাঙ্গাইল ছেড়ে ভারতে চলে যান। সেই থেকে পিসি সরকারের বাড়িটি পরিত্যাক্ত সম্পত্তি হিসেবে বাংলাদেশ সরকারই দেখা শোনা করেন। রেজাউল করিম মুকুল, ঢাকা, ৮ ডিসেম্বর ২০২০খ্রিঃ।
 
 
Images are collected from Google.