Archaeologists Liat Nadav-Ziv and Marc Molkondov, finder of the gold coins, with the 8 th century Chanukah gelt. (Amihai Tamir / Israel Antiquities Authority )

কে জানে, কবে, কে এই পিগি ব্যাংকটিতে সঞ্চিত সম্পদ হিসেবে কিছু সোনার মুদ্রা যত্নের সাথে লুকিয়ে রেখেছিল? হয়তো রেখেছিল বাড়ী করবে বলে। অথবা, নতুন জমি কেনার ইচ্ছা ছিল তাঁর। হতে পারে পয়সাগুলো জমা রেখে শিকার করতে গিয়ে নিজেই শিকার হয়ে গিয়েছে। তাই জানাতেও পারেনি তার কোন নিকট আত্বীয়-স্বজনক। তার এই পিগি ব্যাংকে জমানো সোনার মুদ্রাগুলোর কথা নিয়ে অনেক গল্প হতেই পারে। সে কি মহিলা ছিল, না পুরুষ? স্বপ্নের রাজ্যে গিয়ে আমরা একটি ছোট গল্প বানাতেই পারি। এই কিছুদিন আগেও আমরা মাটির ব্যাংকে টাকা-পয়সা জমাতাম। এখনও অনেকেই কয়েন জমায় মাটির ব্যাংকে। দাদীর কাছে শুনেছি, যুদ্ধের সময় অনেকেই টাকা-পয়সা সব মাটির হাড়িতে ভরে মাটিতে পুঁতে রেখে লুকিয়েছিল। গল্পের মধ্যেই ইতিহাস লুকিয়ে থাকে। যাইহোক না কেন, সম্প্রতি মধ্য ইসরাইলের ইয়াভেন নামক জায়গায় খনন কাজ করার সময় পাওয়া গেছে ১২০০ বছর আগের একটি পিগি ব্যাংক। এই পিগি ব্যাংক সোনার মুদ্রায় ভর্তি ছিল। মুদ্রাগুলোতে আরবী লেখা রয়েছে এবং এগুলি মুসলিম শাসনমলের। যা বাগদাদের আব্বাসীয় খলিফাদের সময়কার বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। বিশেষ করে কিছু কয়েন খলিফা হারুন-অর-রশীদ এর সময়ের। তার শাসনের সময়কাল ছিল ৭৮৬ থেকে ৮০৯ সাল পর্যন্ত। তিনি ‘এক হাজার ও এক রাত্রী’ আরব্য রজনী গল্পের উৎসাহ দাতা খলিফা হিসেবে আরো বিখ্যাত। যে এলাকা খনন করা হয়েছে সেখানে একটি মাটির পাত্র, জগ (তৈজসপত্র) ইত্যাদি তৈরির কারখানা ছিল বলে ইসরাইলের প্রত্নতত্ত্ব কর্তৃপক্ষ জানান। কারণ, সেখানে জিনিসপত্র আগুনে পোড়ানোর চিমনি পাওয়া গেছে। হতে পারে, মাটির পাত্র ও সিরামিকসগুলো খাদ্য রান্নার, খাবার সংগ্রহের বা মজুদ রাখাসহ ইত্যাদি বহু কাজে ব্যবহার করা হত। প্রত্নতত্ত্ববিদরা খনন কালে আরো অনেক জিনিস পেয়েছেন। তারা বলেন, হয়ত ঐ কারখানার কোন এক শ্রমিক তার আয়ের টাকা জমা রাখত এই পিগি ব্যাংকটিতে।

An aerial photo of the excavation which discovers seven gold coins dating back to 1,200 years ago. (Xinhua/Israel Antiquities Authority)