ভাগ্যকুলের জমিদাররা ব্রিটিশ আমলে উপমহাদেশে প্রসিদ্ধ ছিলেন। জমিদারদের মধ্যে হরলাল রায়, রাজা শ্রীনাথ রায় ও প্রিয়নাথ রায়ের নাম উল্লেখযোগ্য। ব্রিটিশের তাঁবেদারি করায় তাঁরা রাজা উপাধি পেয়েছিলেন। তাদের বংশধর রাজা সীতানাথ রায়ের দুই ছেলে যদুনাথ রায় এবং প্রিয়নাথ রায়। 

রাজা শ্রীনাথ রাজা জানকী নাথ ও সীতানাথ রায়

ভাগ্যকূল জমিদারা বালাসুরে (সে সময় ভাগ্যকুল নামে পরিচিত ছিল) বহু কারুকার্যময় ভবন নির্মাণ করেন। বিশালাকৃতির অনেক দিঘি খনন করেন, বিভিন্ন নাট মন্দির ও দূর্গামন্দির স্থাপন করেন। বর্তমানে ভারতের বিখ্যাত সাহারা গ্রুপও রাজা শ্রীনাথ রায়ের পূর্ব পুরুষ।

জমিদার হরলাল রায়

বিক্রমপুরের ভাগ্যকুল মিষ্টান্ন ভাণ্ডার ও বিক্রমপুর মিষ্টান্ন ভাণ্ডার অনেক বিখ্যাত। উপমহাদেশ জুড়েই রয়েছে এই মিষ্টির খ্যাতি। এদের আদি পুরুষ মূলত ভাগ্যকুল জমিদারদের মহেরা।

ভাগ্যকূল জমিদারদের সেই সময়কার সেই সব কারুকার্যময় বিভিন্ন ভবন আর ভাগ্যকূলে অবশিষ্ট নেই। বর্তমানে ভাগ্যকূল জমিদারবাড়ী তে আগের কারুকার্যময় ভবন গুলো ভেংগে নতুন ভবন তৈরী করে র‍্যাব ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু এখনো ভাগ্যকূল জমিদার বাড়ীতে কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে কিছু পুরাতন পোড়ো বাড়ী এবং বেশ কিছু পুরাতন মন্দির।

আর বালাসুরে আছে জমিদার যদুনাথ রায়ের তৈরী বাড়ী। ড. হুমায়ুন আজাদ যদুনাথ রায়ের এই বাড়িটিকে নিয়ে তার ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না গ্রন্থে লিখেছেন- বিলের ধারে প্যারিশ শহর। সাহিত্যিক নূর উল হোসেন তার বহু লেখায় ভাগ্যকুলের জমিদার বাড়ির জাকজমকপূর্ণ উৎসবের বর্ণনা দিয়েছিলেন।

 

লেখকঃ  Masudur Rahman