চিত্রে বাবুর থেকে শুরু করে সমস্ত মুঘল সম্রাট এবং তাদের পূর্বপুরুষদের দেখা যাচ্ছে।

তৈমুর, এশিয়ার গুরকানি সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা

মির্জা জালাল-উদ্দিন মিরান শাহ বেগ, তৈমুরের পুত্র

মুহাম্মদ বিন মিরান শাহ, মির্জা মিরান শাহ বেগ এর পুত্র

আবু সা’ইদ মির্জা, তৈমুরের নাতি এবং মুহাম্মদ বিন মিরান শাহ এর ছেলে

উমর শায়খ মির্জা II, আবু সা’ইদ মির্জার পুত্র

বাবর, ভারতের প্রথম মোগল সম্রাট এবং উমর শায়খ মির্জা II এর পুত্র

হুমায়ুন, ভারতের দ্বিতীয় মোগল সম্রাট এবং বাবুরের পুত্র

আকবর, ভারতের তৃতীয় মুঘল সম্রাট এবং হুমায়ুনের​ পুত্র

জাহাঙ্গীর, ভারতের চতুর্থ মুঘল সম্রাট এবং আকবরের পুত্র

শাহ জাহান, ভারতের ৫ম মোগল সম্রাট এবং জাহাঙ্গীরের পুত্র

আওরঙ্গজেব, ভারতের ৬ম মুঘল সম্রাট এবং শাহ জাহানের পুত্র

ফিরোজ শাহ তুঘলকের মৃত্যুর পর দিল্লী সুলতানির পতন আসন্ন হয়ে পড়ে। ১৩৯৮ খ্রীষ্টাব্দে তৈমুর লঙ্গের ভারত আক্রমণ এই পতনের প্রক্রিয়াকে আরও ত্বরান্বিত করে। তৈমুর লঙ্গের ভয়ে সুলতান নাসিরুদ্দিন মামুদ দিল্লী ছেড়ে পালিয়ে যান। তৈমুরের আক্রমণ দিল্লি সুলতানির অন্তসার শূন্যতাকেই সর্বসমক্ষে তুলে ধরে। ফলে দিল্লি সুলতানির মর্যাদা ও পতিপত্তি ভূলুন্ঠিত হয়ে যায়। দিল্লী সুলতানাতের বাহিনীকে পরাজিত করার পরে তিনি তাঁর নামে দিল্লিতে খুতবা পড়ান। কিন্তু সেখানে তার আধিপত্য প্রতিষ্ঠা না করে কয়েক সপ্তাহ ধরে শহরটি প্রচুর ধনসম্পদ লুঠ করে তৈমুর দিল্লির অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দেন। তৈমুর কিন্ত ভারতে সাম্রাজ্য স্থাপনের কোন চেষ্টা করেননি । সেজন্য ধ্বংস এবং বিশৃঙ্খলা ছাড়া তাঁর আক্রমণের কোন গঠন মূলক ফল পরিলক্ষিত হয় নাই। ভারতীয় দৃষ্টিতে তৈমুর লঙ্গ ভয় ও তাসের প্রতীক একজন লুণ্ঠনকারী মাত্র। মন ভরে লুট করার পরে তিনি ভারত ছেড়ে চলে যান। দীর্ঘ ১২৮ বছর পরে তাঁর বংশধর বাবর ১৫২৬ সালে দিল্লি জয় করার পরে ভারতের মুঘল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন।