এটা কোনো ইতিহাসের বই এর গল্প না l লোকমুখে প্রচলিত লোককাহিনী l সত্যতা প্রমান করার যোগ্যতা নেই Stay Curious SiS এর।
🔺 কিংবদন্তি .. কিংবদন্তি হলো ইতিহাস ও কল্পনা র সংমিশ্রনের লৌকিক কথা সাহিত্যের চরিত্র বিশিষ্ট লোককথা….
স্বর্ণময়ীর নতুন নাম হলো সোনাবিবি , ঈশা খার ২য় স্ত্রী! তাকে নিয়ে আসা হলো রাজধানী সুবর্ণ গাও এ, ( বর্তমান সোনারগাও) । কিন্তু সোনাবিবি তার পরিবার থেকে যে আঘাত পেয়েছেন সেটা ভুলতে না পেরে সারাক্ষণ মুখ ভার করে থাকতেন! কেনো? জানবো তাই..
 
🔺 বিক্রমপুরের জমিদার কেদার রায়ের রুপসী কন্যা স্বর্ণময়ী সখীদের নিয়ে গেলো শীতলক্ষ্যা নদীতে ভ্রমন করতে। নদীর স্বচ্ছ জল দেখে তারা স্নান করতে নেমে গেলো!
ঐ সময়ে একদল জলদস্যু ওখান দিয়ে যাচ্ছিলো, এরপর যেইটা হয় আরকি! তুলে নিয়ে গেলো জলদস্যুরা।
 
গুপ্তচর মারফত দেওয়ান ঈসা খাঁ খবর পেলেন তার এলাকা থেকে প্রতিবেশি জমিদার কন্যা অপহৃত হয়েছে! এটা মেনে নেওয়া যায়না।
তিনি তখন শীতলক্ষ্যার পাড়ের দূর্গে অবস্থান করছিলেন, ( বর্তমান সোনাকান্দা দূর্গ ) ঘোড়া ছুটিয়ে ধরে ফেললেন জলদস্যুদের জাহাজকে, উদ্ধার করলেন রাজকন্যা স্বর্ণময়ীকে। নিয়ে এলেন তাকে তার দূর্গে , কেদার রায়কে খবর দেওয়া হলো, পরের দিন সকাল বেলা কেদার রায় পরিবার রাজকন্যাকে নিতে এলেন। কিন্তু বাঁধ সাধলেন কেদার রায়ের রাজ পুরোহিত মশায় ! মুসলমানের ঘরে রাত কাটানো রাজকন্যাকে গৃহে ফেরত আনলে কুলনাশ হয়ে যাবে! অনর্থ হবে , জাত পাত আর রইবেনা!
কাঁদতে বসলেন রাজকন্যা স্বর্ণময়ী ! ঈসা খাঁ নিজেও পড়লেন মুসিবতে !এই রাজকন্যা নিয়ে তিনি এখন কি করবেন ? রূপসী সুন্দরী রাজকন্যা , তাকে রাস্তায় ফেলে দিতে পারেন না!

ঈশা খাঁ

সমাধান দিলেন ঈসা খাঁর বেগম ফাতেমা খান ! তিনি জানালেন, রাজকন্যা স্বর্ণময়ীকে মুসলমান ধর্ম গ্রহন করতে হবে , আর তাকে ২য় স্ত্রী হিসেবে বিয়ে করবেন ঈসা খাঁ!
স্বর্ণময়ীর নতুন নাম হলো সোনাবিবি , ঈসা খাঁর ২য় স্ত্রী! তাকে নিয়ে আসা হলো রাজধানী সুবর্ণ গাও এ, ( বর্তমান সোনারগাও) । কিন্তু সোনাবিবি তার পরিবার থেকে যে আঘাত পেয়েছেন সেটা ভুলতে না পেরে সারাক্ষণ মুখ ভার করে থাকতেন! ঈসা খাঁ তার নব বধুর প্রতি ভালোবাসা স্বরুপ তার রাজধানী সুবর্ণগাও এর নাম বদলে সোনা বিবির গাও বা সোনারগাও নামকরন করলেন , শুধু তাই নয় , রাজকন্যাকে উদ্ধারের পরে শীতলক্ষ্যার পাড়ে যেই দূর্গে রাজকন্যাকে রেখেছিলেন সেটা নাম বদলে রাখলেন সোনা কান্দা ( সোনা বিবির কান্না) দূর্গ।
 
কারন এ দূর্গে থাকা অবস্থায় কেদার রায়ের মেয়ে রাজকন্যা স্বর্ণময়ী ওরফে সোনাবিবি কান্না কাটি করেছিলো। নববধু বুঝলো সে একজন উচু মাপের মানুষকে স্বামী হিসেবে পেয়েছেন ! তার মনে আর কষ্ট রইলোনা। ইতিহাসটা পড়ে মনে হবে , এ যেন হলিউডের সিনামা ! আফসোস এমন দারুণ প্লট থাকা সত্ত্বেও আমাদের সিনেমা বা নাটক নির্মাতারা, ননসেন্স টাইপের নাটক সিনেমা বানায় ! একটা অসুস্থ চর্চা ঢুকে গেছে সমাজের ভেতরে যা করোনা ভাইরাসের চাইতেও বাজে।