ঐতিহাসিক ও ব্যতিক্রমী আওকরা মসজিদের প্রধান লোকশ্রুতি হচ্ছে এই মসজিদকে “কথা বলা মসজিদ” বলা হয়।
জনশ্রুতি রয়েছে, কোনো মানুষ মসজিদের মাঝখানে দাঁড়িয়ে কথা বললে এক সময় জোরে প্রতিধ্বনি সৃষ্টি হতো। তাই শুনে তারা ভাবতো মসজিদটি তাদের কথার উত্তর দিচ্ছে। এখান থেকেই মসজিদের নাম হয়ে যায় আওকরা মসজিদ অর্থাৎ কথা বলা মসজিদ। এখনও অনেক মানুষ মসজিদের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় শব্দ করে কথা বলে প্রতিধ্বনি শোনার আশায়। কিন্তু মসজিদের দেয়াল নষ্ট হয়ে গেছে এবং এর গায়ে আগাছা জন্মানোয় আগের মতো আর আওয়াজ হয় না।

আসলে কি ছিল এই মসজিদে আর দেয়ালের সাথে আওয়াজের কি সম্পর্ক?
তাহলে আর দেরি না করে চলুন ঘুরে আসা যাক, দিনাজপুরের খানসামার পাকেরহাটে গ্রামে অবস্থিত আড়াইশ’ বছরের পুরনো স্থাপত্যকীর্তি আওকরা মসজিদ থেকে। বর্তমানে মসজিদটিতে নামাজ আদায় করা হলেও মসজিদের দেয়াল ঝুঁকিপূর্ণ ও সেখানে বড় বড় ফাটল ধরেছে।
জানা যায়, প্রায় ২৫৪ বছর আগে মীর্জা লাল বেগ সাহেব মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং প্রতিষ্ঠার সময় মসজিদটির কি নাম রেখেছিলেন তার কোনো সঠিক তথ্য জানা যায় না। প্রশ্ন জাগে, কে এই মীর্জা লাল বেগ সাহেব?

আওকরা মসজিদ ছাড়াও মীর্জার মাঠ নামে সেখানে তার একটি মাঠও রয়েছে। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এটিকে ঐতিহ্যবাহী প্রত্নসম্পদ হিসেবে ঘোষণা করেছে। চিকন ইটে নির্মিত দেয়ালে নকশা করা মসজিদটি বেলান নদীর ধারে অবস্থিত। মসজিদটি দ্রুত সংস্কার করা না হলে ঐতিহ্যবাহী নিদর্শনটি ধ্বংস হয়ে যাবে।
তথ্যসূত্রঃ
মো. আমিরুজ্জামান, দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকা, ১৬ মার্চ, ২০২০।