রাজা মিডাসের সোনার স্পর্শের কথা কে না জানে বলুন তো? সোনা তার এতই পছন্দ ছিল চেয়ে ঈশ্বরের ইচ্ছায় যাই স্পর্শ করত তাই সোনা হয়ে যেত। অবশ্য কাহিনী পরিণতি অন্যরকম হয়! কিন্তু মিডাসের কাহিনী শুনে,বাড়ি ফলমূল বড় বড় জিনিস স্বর্ণের কল্পনা করতে কেমন লাগছে বলুন তো?
বর্তমানে সোনার ঘর বাড়ি দেখতে পাওয়া না গেলেও সম্প্রতি আবিষ্কার হয়েছে শোনার নদীর কথা! হ্যাঁ, নামে সোনা নয়; বাস্তবেই সোনার নদী আবিষ্কার হয়েছে পেরুর আমাজনের বনাঞ্চলে। সম্প্রতি পেরুর আমাজন জঙ্গলের একটি অংশ দেখতে পাওয়া যাচ্ছে তরল সোনা স্রোত। ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩৫০-৪০০ কিলোমিটার উপরে কক্ষপথ প্রদক্ষিণ করতে করতে দক্ষিণ আমেরিকার পেরুর আমাজন জঙ্গলে্র একটি অংশে সেই তাক লাগানো ছবি গুলো তোলে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন বা সংক্ষেপে ISS । ছবিগুলো দেখলে মনে হচ্ছে পেরুতে আমাজনের গভীর বনাঞ্চলে একটি অংশে সোনার আলো ঠিকরে বেরোচ্ছে বর্ণালী সোনার ছটার মতো। এই ছবি গুলি পেরুর মাদ্রি-দা- দিয়া প্রদেশের। মাদ্রি- দা দিয়া প্রদেশ মূলত সুউচ্চ পাহাড়ি এলাকা। সেখানে রয়েছে প্রচুর সোনার খনি।সেই সোনার খনি থেকে সোনা নদী কিভাবে হলো তার ছোট কাহিনী বলি!
নাসার মতে,এই প্রদেশের সোনার খনি গুলো থেকে চোরাকারবারিরা লুকোচুরি করে অনেকদিন ধরে সোনা তুলে চলছিল। এই চোরাগোপ্তা সোনার খনির লাগোয়া নদীগুলির পানি ঢুকে যায় খনি গুলোর ভিতরে। ফলে সে কাদাপানির
গুলির সাথে মিশে যাচ্ছে স্বর্ণকণিকা গুলি।নাসার আর্থ অবজারভেটরির পক্ষ থেকে টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জাস্টিস উইলকিনসন এ ব্যাপারে লিখেছেন, এ কাদাজল গুলির মধ্যে যেহেতু স্বর্ণকণিকা মিশে আছে তাই সূর্যের আলো যখন এর পানি এরকম পড়ে তা প্রতিফলিত হয়ে সোনার মতো জ্বলজ্বল করে।
ফলে মহাকাশ স্টেশন থেকে তোলা ছবিগুলো দেখে মনে হয় পেরুর আমাজন জঙ্গলের একটি অংশ থেকে সোনার নদী বয়ে যাচ্ছে । উইলকিনসন আরো বলেন,পেরুর মাদ্রিদও দিয়াজ প্রদেশের এলাকাগুলিতে রয়েছে প্রচুর সোনার খনি।
দুঃখের বিষয় হল, ওই খনি গুলোতে স্থানীয়ভাবে প্রায় ৩০ হাজার জন চোরাগুপ্তা কাজে জড়িত আছে। এরা এখন নদীর জলে থিতিয়ে পড়া স্বর্ণকণিকা গুলি খুঁজে খুঁজে আলাদা করার জন্য নদীর জলে পারদ মিশিয়ে যাচ্ছে।এতে নদীর জল গুলো অত্যন্ত বিষাক্ত হয়ে পরছে যেটা স্থানীয় লোকজন দের ব্যবহারের জন্য অযোগ্য হয়ে পড়ছে।
আপনাদের মিডাসের কাহিনীর শেষ পরিণতি মনে আছে কি!?
প্রথম প্রথম যায় ছুচ্ছিল তাই সোনা হয়ে যাচ্ছিল এই আনন্দে সে হাতে সামনে যায় পাচ্ছিলো তাই সোনা করে দিচ্ছিল। কিন্তু চোখের সামনে যখন তার মেয়ে ছুটি আসছিল তাকে নিষেধ করলো মেয়েটা এসে জড়িয়ে ধরে তার বাবাকে। যার ফলে মেয়েটার শুনে পরিণত হয় আর মেয়েটা পাগলপ্রায় হয়ে যায় নিজের মেয়ের প্রাণের জন্য। হয়তো এক্ষেত্রেও তাই হবে ! সোনার আকর তোলার নেশায় যে হাজার হাজার মানুষের জীবন ঝুঁকিতে ফেলার যে চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে চোরাকারবারির লোকেরা, তারপর হয়তো তাদের ভুগতে হবে বড় কোন কিছুর বিনিময়ে!কিন্তু তবুও আমরা সকলে চায় ভালো থাকুক সবাই, সুন্দর থাকুক এই পৃথিবী।