আগা মুহাম্মদ বাকের ছিলেন একজন শিক্ষিত এবং যোদ্ধা। তিনি একবার ঢাকার নৌবাহিনী প্রধান মীর হাবিবের অধীনে ত্রিপুরা অভিযানেও অংশগ্রহণ করেছিলেন। এই অভিযানে সাফল্য লাভ করে তাকে ত্রিপুরার ফৌজদার হিসেবে নিযুক্ত করা হয়।
কে এই আগা মুহাম্মদ বাকের? তিনি ছিলেন ইরানের এক সম্ভ্রান্ত বংশের লোক। তিনি দ্বিতীয় মুর্শিদ কুলি খাঁর মেয়েকে বিয়ে করেছিলেন। তিনি সেনাবাহিনীর আওতায় উচ্চপদে কাজ করতেন।
তখনকার দিনে রাজা রাজড়াদের স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও নিজস্ব বাগানবাড়িতে নর্তকীদের রাখা হতো। আরামবাগের নর্তকী খনি বেগমকে আগা খান মোটামোটি ভালোই বেসে ফেলেছিলেন। এবং এই ভালোবাসায় একশভাগ সততা ছিল। ঢাকার উজির আলা জাহানদার খাঁর ছেলে জয়নুল খাঁ ও খনি বেগমের প্রতি দুর্বল ছিল। সে ছিল অত্যন্ত খারাপ স্বভাবের, পিতার অযোগ্য সন্তান যাকে বলে।
একদিন জয়নুল খাঁ জোর করে খনি বেগমকে তুলে দক্ষিণ -পূর্ববঙ্গের (বর্তমান বরিশাল) জঙ্গলে ধরে নিয়ে যায় এবং ভীষণ যন্ত্রনা দিয়ে তাকে হত্যা করে। আগা খান অল্প সময়ের জন্য মৃত্যু পথযাত্রী খনি বেগমের দেখা পান। খনি বেগমের মৃত্যুর পর তিনি সেই এলাকাতেই থেকে যান। তারই নামানুসারে ওই এলাকার নাম রাখা হয় বাকেরগঞ্জ। বাকের ও খনির এই ভালোবাসার কাহিনীর উপর ভিত্তি করে আগা খানের প্রিয় খাবার বিশেষ ভাবে তৈরী রুটির নাম রাখা হয় ‘বাকরখানি’, যা আজ ঢাকার প্রসিদ্ধ/ জনপ্রিয় একটি খাবার।