কবি কালিদাসের সম্বন্ধে যতই পড়ি, ততই অবাক লাগে। প্রথম জীবনে তিনি ছিলেন বোকা এবং মূর্খ একটি মানুষ। সময়ের সাথে সাথে কেমন করে তিনি এত বড় পন্ডিত হয়ে উঠলেন? আসেন, আমরা সেই কাহিনী জেনে আমাদের কৌতুহল নিরসন করি।
কালিদাসের জন্মবৃত্তান্ত সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানা যায় না, মানে ইতিহাসবিদগণ তার জন্ম সম্পর্কিত তথ্যের ব্যাপারে কোনো ঐক্যমতে পৌঁছাতে পারেননি। তার জন্মস্থান এবং জন্ম সন নিয়ে নানা মতামত প্রচলিত আছে। তার সময়কাল নিয়ে দুটি মত প্রচলিত। প্রথম মতে, তিনি খ্রিষ্টপূর্ব প্রথম শতকে বিদ্যমান ছিলেন। তার ‘মালবিকাগ্নিমিত্রম’ নাটকের নায়ক ছিলেন ‘অগ্নিমিত্র’ ছিলেন শুঙ্গ বংশীয় রাজা, যাঁর শাসনকাল ছিল খ্রিষ্টপূর্ব ১৮৫-৪৮ অব্দ।
একটি মতে, কালিদাস খ্রিষ্টীয় চতুর্থ শতকে জন্মগ্রহণ করেন। এবং বলা হয় যে বিক্রমাদিত্যের সভার নবরত্নের অন্যতম ছিলেন। তাঁর জন্ম সম্পর্কে অনেক মতবাদের মধ্যে এ দুটিই প্রধান। একপক্ষ তাঁকে খ্রিস্টপূর্ব প্রথম শতকের কবি বলে মনে করে। আবার কেউ কেউ বলেছেন, যিশুখ্রিস্টের জন্মের অনেক পরে কালিদাসের জন্ম। তাদের মতে, কালিদাসের জন্ম হয়েছিল খ্রিস্টীয় চতুর্থ থেকে ষষ্ঠ শতকের মাঝামাঝি। কেননা, তিনি উজ্জয়িনীর রাজা বিক্রমাদিত্য নামে পরিচিত এক গুপ্ত সম্রাটের সভাকবি ছিলেন। কালিদাসের অনেক রচনায় চন্দ্রগুপ্তের রাজ্য, রাজধানী উজ্জয়িনী ও রাজসভার উল্লেখ পাওয়া যায়। মোট কথা কালিদাস কবে জন্মেছিলেন সেই তথ্য কেউই সঠিক ভাবে বলতে পারবে না।
জন্মসালের মতো তার জন্মস্থান নিয়েও নানা বিতর্ক রয়েছে। অনেক গবেষকের মতে, উজ্জয়িনী। সেকালে মালব রাজ্যের রাজধানী ছিল, যা এখন মধ্যপ্রদেশের একটি জেলা ও শহর। আবার অনেক গবেষকের মতে, বিদিশা, আধুনিককালে যার নামকরণ করা হয়েছে ভিলশা, এটিও মধ্যপ্রদেশের একটি শহর। আবার কেউ বলেন, দেবগিরি পাহাড়ের কাছে দশোর গ্রামে কালিদাসের জন্ম। কেউ কেউ বলেন, বিদর্ভ, যা এখন ‘বেয়ার’ বলে সকলে চেনে, এটিও এখন মহারাষ্ট্রের একটি প্রদেশ। আবার সংস্কৃত গবেষক লক্ষ্মী ধর কল্লার মতে, তিনি কাশ্মীরে জন্মগ্রহণ করেন। কারও কারও মতে তিনি ছিলেন পশ্চিম মালবের অধিবাসী, আবার কেউ কেউ তাঁকে বাঙালি বলেও মনে করেন। তবে এসব তর্ক-বিতর্কের মধ্য দিয়ে একটি বিষয় স্পষ্ট হয়ে যায় যে, কালিদাস জন্মেছিলেন ভারতের কোনো এক জায়গায়।
কালিদাসকে নিয়ে অনেক কিংবদন্তি প্রচলিত আছে। তারমধ্যে একটা, বাল্যকালে অনাথ হয়ে পড়লে গরু-পালনকারীরা কালিদাসকে লালনপালন করে। ফলে তাঁর লেখাপড়ার সুযোগ হয়ে উঠেনি। কিন্তু ঘটনাচক্রে এক বিদুষী রাজকন্যার সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। দুর্বিনীতা রাজকন্যাকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য মন্ত্রীর পরামর্শে রাজা এ বিয়েঠিক করেন। এমনিতেই বোকামির জন্য কালিদাস প্রতিদিন স্ত্রীর কাছে বকা-ঝকা শুনতেন, তারপর যে গাছের ডালে বসে ছিলেন সেই ডাল কাটার বোকামি, সেটা যেন আরও উস্কে দিলো।
স্ত্রীর এমন ব্যবহারে কালিদাস একদিন রাগে, ক্ষোভে, দুঃখে, অপমানে ঘর থেকে বের হয়ে আত্মহত্যা করার জন্য নদীতে ঝাঁপ দিলেন। কিন্তু সেখানেও তিনি ব্যর্থ হলেন, নদী থেকে তাকে উদ্ধার করলেন দেবী কালি, আর সেই কৃতজ্ঞতায় তিনি হয়ে গেলেন দেবীর ‘কালি’র দাস। সে অনুসারেই তার নাম হয়ে গেল কালিদাস। শুধু যে দেবী কালি তার জীবন বাঁচালেন তা-ই নয়, তাঁকে দিলেন জ্ঞান ও বুদ্ধির আশীর্বাদ, তাতেই কালিদাস হয়ে উঠলেন মহাকবি। দেবী, কালিদাসের আরাধনায় প্রসন্ন হয়ে তাঁকে আশীর্বাদ করেন। রামায়ণ রচয়িতা বাল্মীকির দস্যু থেকে সাধক হয়ে ওঠার গল্পের মতো কালিদাস মূর্খ থেকে হয়ে উঠলেন মহাকবি।
এরপর কালিদাস লেখাপড়া শিখে বেদ শকুন্তলা, রামায়ন, মহাভারত, পুরান, ইতিহাস, কাব্য, অলংকার, ছন্দ, ব্যাকরণ, জ্যোতিষ, দর্শনশাস্ত্র, অর্থশাস্ত্র ইত্যাদি বিষয়ে পারদর্শী হয়ে ওঠেন এবং তাঁর মধ্যে অভিনব কবিত্বশক্তির প্রকাশ ঘটে। পরবর্তীকালে তিনি নিরবচ্ছিন্নভাবে সাহিত্য সাধনা করেন এবং তাঁর রচনায় অধীত বিদ্যার গভীর প্রভাব পড়ে।
শকুন্তলার জন্ম, মহাভারত – ছবি রাজা রবি ভার্মার
বাংলা ভাষার প্রধান উৎস হচ্ছে সংস্কৃত আর সেই সংস্কৃত ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ কবি হলেন মহাকবি কালিদাস, আরও সহজভাবে বললে সংস্কৃত ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ কবি হলেন মহাকবি কালিদাস। প্রাচীন ভারতেরও তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ কবি। এটাই কালিদাস পণ্ডিতের সবচেয়ে বড় পরিচয়।
তিনি ছিলেন ধ্রুপদী সংস্কৃত ভাষার এক বিশিষ্ট কবি ও নাট্যকার। সংস্কৃত ভাষার সাহিত্যে তাঁকে ইংরেজ কবি উইলিয়াম শেক্সপিয়রের মতো দেখা হয়।তাঁ র কবিতা ও নাটকে হিন্দু পুরান ও দর্শনের প্রভাব আছে। কালিদাস প্রাচীন যুগের ভারতীয় কবি, তিনি সংস্কৃত ভাষার শ্রেষ্ঠ কবি হিসাবে পরিচিত।
বর্তমানে ধাঁধাঁর প্রচলন কমে গেলেও আগে বেশ মজার মজার ধাঁধাঁর খেলা ছিল। আর কালিদাসের ধাঁধাঁ ছাড়া যেন ধাঁধাঁর আসর জমতোই না। যেমন, কালিদাস পণ্ডিতে কয় বাল্যকালের কথা/ নয় হাজার তেঁতুল গাছে কয় হাজার পাতা? কিংবা, কালিদাস পন্ডিতের ফাঁকি/ আড়াইশ থেকে পাঁচ পঞ্চাশ গেলে/ আর কত থাকে বাকী? যদিও এসব ধাঁধাঁ আদৌ কালিদাস পণ্ডিতের কিনা তা নিয়ে বিস্তর সন্দেহ আছে, তবে এতটুকু অস্বীকার করার উপায় নেই যে, তিনি প্রতিভাধর ছিলেন বিধায়ই তার নামে এসব ধাঁধাঁ প্রচলিত হয়ে আসছে।
কালিদাসের মতো একজন মহাকবির জন্ম-মৃত্যু কিংবা জন্মভূমি সম্পর্কে জানার শখ হয়তো রবীন্দ্রনাথের ঠাকুরেরও ছিল। এজন্যই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর ক্ষণিকা কাব্যের সেকাল কবিতায় লিখেছেন—
হায় রে কবে কেটে গেছে কালিদাসের কাল!
পণ্ডিতেরা বিবাদ করে লয়ে তারিখ-সাল।
হারিয়ে গেছে সে-সব অব্দ, ইতিবৃত্ত আছে স্তব্ধ-
গেছে যদি আপদ গেছে, মিথ্যা কোলাহল।
হায় রে গেল সঙ্গে তারি, সেদিনের সেই পৌরনারী
নিপুণিকা চতুরিকা মালবিকার দল।
কোন্ স্বর্গে নিয়ে গেল বরমাল্যের থাল!
হায় রে কবে কেটে গেছে কালিদাসের কাল!
কালিদাস ছিলেন একাধারে নাট্যকার এবং মহাকাব্য ও গীতিকাব্যের রচয়িতা। তাঁর রচনাবলির মধ্যে —
মেঘদূতম, কুমারসম্ভবম, রঘুবংশম, ঋতুসংহার, শৃঙ্গাররসাষ্টক, শৃঙ্গারতিলক, পুষ্পবাণবিলাস, নামক কাব্য, নলোদয় ও দ্বাদশ- পুত্তলিকা নামে দুটি আখ্যানকাব্য এবং অভিজ্ঞানশকুন্তলম, বিক্রমোর্বশীয়ম, মালবিকাগ্নিমিত্রম নামে তিনটি নাটক রচনা করেন।
শকুন্তলা, মহাভারত – ছবি রাজা রবি বর্মা
অভিজ্ঞানশকুন্তল, বিক্রমোর্বশীয় এবং মালবিকাগ্নিমিত্র নাটক, রঘুবংশ ও কুমারসম্ভব মহাকাব্য এবং মেঘদূত ও ঋতুসংহার গীতিকাব্য সাহিত্যমাধুর্যে অতুলনীয়।
কালিদাসের রচনাবলীর মধ্যে আমাদের কাছে দুটি গ্রন্থ সবচেয়ে বেশি পরিচিত। এর মধ্যে আজ থেকে প্রায় দেড়শো বছর আগে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর গল্পের আকারে ‘শকুন্তলা’ লিখেছিলেন ‘অভিজ্ঞানশকুন্তলম্’ থেকে ভাবানুবাদ করে।
বিক্রমোর্বশীয় কাব্যের – কল্প চিত্র
আর অন্যটি হচ্ছে ‘মেঘদূতম’ বা ‘মেঘদূত। তার মেঘদূত কাহিনীকাব্যটি দেশে-বিদেশে বিশেষ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। মেঘের মাধ্যমে বিরহিণী প্রিয়ার কাছে এক নির্বাসিত যক্ষের বার্তা পাঠানো মেঘদূত কাব্যের অবলম্বন। কাব্যটি দুইটি অংশে বিভক্ত, পূর্বমেঘ ও উত্তরমেঘ। বাংলায় এ পর্যন্ত বহুজন এই ছোট্ট কাব্যগ্রন্থটির অনুবাদ করেছেন। সংক্ষিপ্ত হলেও এটিই তার অমর কীর্তি,তার শ্রেষ্ঠ রচনা হিসেবে স্বীকৃত।
আসেন আমরা এই বিখ্যাত ‘মেঘদূত’ কাব্যের গল্পটি জেনে নেই—-
কুবের নামে এক কোটিপতির বাড়িতে চাকরি করে এক গৃহভৃত্য ‘যক্ষ’। এইখানে তার নামের কোন উল্লেখ নাই। ’যক্ষ’ হলো লোকটির জাত-পাতের পরিচয়- যেমন জেলে, কুমোর, রাঁধুনি ইত্যাদি। তারা থাকতো অলকাপুরীতে। অলকাপুরী হলো মানসসরোবরের কাছে কৈলাস পর্বতে এক শহর। যক্ষ নতুন বিয়ে করেছে। নতুন বৌ নিয়ে যক্ষ ঘরসংসার গোছগাছ করায় ব্যস্ত। এর ফলে চাকরির কাজে বেচারার দোষ-ত্রুটি হতে থাকে। কুবের সেটা মেনে নিতে পারেনা, তিনি প্রচন্ড রেগে ‘যক্ষ’কে শাস্তি দিলেন। কুবের তাকে সোজা পাঠিয়ে দিলেন অনেক দুরে রামগিরি পাহাড়ে। উত্তর প্রদেশের দক্ষিণাংশ ও মধ্যপ্রদেশের সংযোগস্থলে এর অবস্থান। দ্বিতীয়ত, জায়গাটি পাহাড়ি ও অরণ্যাঞ্চল।
রাজধানী থেকে এসে এই অরন্যে একটি বৎসর একা একা নির্বাসনে থাকবে যক্ষ- এটাই তার শাস্তি। এর মধ্যে দশ মাস অতিবাহিত হয়ে গেছে, মাত্র দুটি মাস বাকি, তার পরেই সে ফিরে যেতে পারবে রাজধানী অলকাপুরীতে।
এরই মধ্যে এসে গেল আষাঢ় মাস। বর্ষা কাল। মেঘের সে কী নয়ন-ভোলানো মনমাতানো রূপ! সমস্ত পাহাড় ও অরণ্য যেন নতুন সাজে সেজে উঠেছে। দশটা মাস তার কোনো কষ্ট হয়নি, এখন এই পরিবেশে হঠাৎ করে তার মন বাড়ির জন্য কেমন যেন করতে লাগল, পাগল পাগল অবস্থা প্রায়।বউয়ের জন্য কষ্ট হতে লাগল, শহুরে জীবনের আমোদ-আহ্লাদের জন্য শোক উথলে উঠল। তার ভয় হয়, তার বৌটি বেঁচে আছে তো? যক্ষ বেঁচে নেই ভেবে সেও যদি দুঃখ-শোকে মরে গিয়ে থাকে!
সেকালে তো আর ডাকব্যবস্থা ছিল না যে যক্ষ স্ত্রীকে চিঠিপত্র লিখবে। কি করা যায় ভাবতে ভাবতেই হঠাৎ তার মাথায় একটা বুদ্ধি খেলে যায়। আচ্ছা, মেঘ তো উড়ে উড়ে দেশ-দেশান্তরে যায়, যদি মেঘকে অনুনয়-বিনয় করে বলি যে, ‘ভাই মেঘ, তুমি আমার খবরটা আমার স্ত্রীকে একটু পৌঁছে দিয়ে এস’, তো সে যাবে না? এটাই হলো ‘মেঘদূতম্’ কাব্যের কাহিনী। পূর্বমেঘ জুড়ে মেঘকে বর্ণনা দিচ্ছে যক্ষ- কীভাবে কোন পথ দিয়ে মেঘ অলকাপুরীতে যাবে। আর উত্তরমেঘে যক্ষ বুঝিয়ে দিচ্ছে মেঘকে- রাজধানী অলকায় অত ঘরবাড়ি রাস্তাঘাটের ভেতরে মেঘ কী করে চিনে নেবে যক্ষপ্রিয়াকে, তার হদিস। মেঘকে দূত হিসাবে পাঠানো হয়েছে বলেই কাব্যটির নাম মেঘদূত।
যক্ষ মেঘের উদ্দেশে নিবেদন করছে তাঁর অর্ঘ্য
কালিদাসের পরবর্তী অনেক বাঙালি কবি মেঘদূতের অনুকরণে বহু কাব্য রচনা করেছেন।
এছাড়া শ্রুতবোধ, নলোদয়, পুষ্পবাণবিলাস, শৃঙ্গারতিলক, জোতির্বিদাভরণ প্রভৃতি গ্রন্থ কালিদাসের নামে প্রচলিত থাকলেও সুধীসমাজে তা পুরাপুরিভাবে স্বীকৃত নয়। কালিদাসের রচনা বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গসহ সমগ্র ভারতে ব্যাপকভাবে চর্চা করা হয়। বাংলাদেশের টোল-চতুষ্পাঠী এবং অনেক কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর গ্রন্থগুলি সংস্কৃত বিষয়ের পাঠ্যতালিকার অন্তর্ভুক্ত।
কালিদাসের রচনায় প্রাচীন ভারতের এক অভিজাত সমাজের চিত্র প্রতিফলিত হয়েছে। তিনি সংস্কৃত ভাষাকে সমৃদ্ধ করে বিশেষ মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেন। তিনি তাঁর কাব্যে প্রায় ৩০টির মতো ছন্দ ব্যবহার করেছেন। শিল্পরূপময়তা, অর্থের গভীরতা ও কল্পনার ব্যাপকতা তাঁর সকল রচনাকে রসোত্তীর্ণ করেছে। তাঁর অভিজ্ঞানশকুন্তল নাটকের ইংরেজি অনুবাদের (১৭৮৭) মাধ্যমে পাশ্চাত্য প্রথম ভারতীয় সাহিত্য সম্পর্কে ধারণা লাভ করে। অসাধারণ কবিপ্রতিভার জন্য কালিদাস হোমার, শেক্সপীয়র, মিলটন, দান্তে, গ্যেটে, ভার্জিল প্রমুখ বিশ্বের শ্রেষ্ঠ কবি-সাহিত্যিকের সমপর্যায়ভুক্ত।
কালিদাস শুধু কবিতা বা নাটকের কারণেই আজকের দিনে গুরুত্বপূর্ণ নন। তার লেখালেখিতে রয়েছে প্রাচীন ভারতের ইতিহাস, ভূগোল ও রাজনৈতিক নানা উপাদান। তিনি আজও আমাদের অনুপ্রেরণার কারণ। ১৯৬৬ সালে তাকে নিয়ে ‘মহাকবি কালিদাস’ নামে একটি তামিল সিনেমাও নির্মিত হয়েছে। তাকে নিয়ে হয়ত গবেষণা চলতে থাকবে আরও দীর্ঘকাল।
তথ্যসূত্র
উইকিপিডিয়া
ইন্টারনেট