বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলার দু’টি নদীর নাম সুপতি ও বলেশ্বের নদী দু’টি নিয়ে প্রচলিত কিংবদন্তি এরকম যে, এক জমিদার পুত্র শক্তিবলে এতই প্রখর ছিল যে তার বল বা শক্তি ঈশ্বরের ন্যায় বলে বলেশ্বর নামে ডাকত সবাই। সে ভালবাসত নিম্ন গোত্রীয় এক মেয়ে সুপতিকে। বলেশ্বর এতই ভালবাসত যে বংশমর্যাদা আর ভবিষ্যতের জমিদারি সবই ছিল তার কাছে গৌণ। জানাজানি হলে, বলেশ্বরের জমিদার পিতা এ ভালবাসাকে একদমই মেনে নিতে পারলেন না। যার পরিণতি বলেশ্বর-সুপতির অকাল প্রয়াণ। দু’জনকে আলাদাভাবে নিয়ে বলি দেওয়া হয়। বলেশ্বর নামীয় স্থান থেকে বিশাল নদী বেরিয়ে এলে তার নাম হয় বলেশ্বর আর সুন্দরবনের ভিতর দিয়ে বলেশ্বরের খোঁজে সুপতি নামীয় নদী শরণখোলায় মিলেছে বলেশ্বর নদীর সঙ্গে। এদের মিলনে মনে হয় মৃত্যুর পরও যেন বলেশ্বর-সুপতির ভালবাসা সুদৃঢ় বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে আছে।