নারীদের ভোটাধিকার অর্জনের লক্ষ্যে আইনি ও সাংবিধানিক সংশোধন আদায়ের জন্য নারীদেরকে এবং তাঁদের সমর্থকদেরকে দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক প্রচারণা চালাতে হয়েছে। বেশির ভাগ দেশে সম্পদশালী নারীরা অনেক আগেই ভোটের অধিকান পান, এমনকি সার্বজনীন পুরুষ ভোটাধিকারেরও আগে।বিশ্বের বিভিন্ন দেশে, বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে, নারী আন্দোলন শুরু হলেও পশ্চিমের ভোটাধিকার আন্দোলনকেই বলা যায় নারীর অধিকারের লড়াইয়ে প্রথম পদক্ষেপ।
নারীর ভোট দানের ইতিহাস কিন্তু খুব বেশি দিনের পুরানো নয় ! নিউজিল্যান্ডের নারীরা বিশ্ব প্রথম ভোটাধিকার লাভ করেন। ১৮৯৩ সালে নারীরা নিউজিল্যান্ডে ভোটাধিকার লাভ করেন। তবে সে সময় নারীরা ভোটাধিকার পেলেও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারতেন না। নিউজিল্যান্ডের পদাংক অনুসরণ করে ১৮৯৪ সালে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ায় নারীরা ভোটাধিকার লাভ করে।ব্রিটেনের নারীরা ১৯১৮ সালে, আমেরিকাতে ১৯২০ সালে, অবিভক্ত বাংলার নারীরা ১৯৩৫ সালে ভোটাধিকার পায়। এই দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে ক্রমে ক্রমে পৃথিবীর সব দেশে নারীরা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পায়। ভোটাধিকার এর পাশাপাশি ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতার অধিকার অর্জনের জন্যও নারীর সংগ্রাম করতে হয়েছে। সময়টা ১৮৯৪ সাল। যে বিলের মাধ্যমে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ায় নারীরা ভোটাধিকার অর্জন করেন। সেই একই বিলের মাধ্যমে নারীরা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অধিকার পায়।এখন বিশ্বের প্রায় সব দেশে সার্বজনীন ভোটাধিকার প্রয়োগ ও ভোটে প্রতিদ্বন্দিতা করার অধিকার স্বীকৃত।