“ শাহ জাহান সপ্তাহে একদিন কোর্ট রাখতেন এবং তার সত্যের প্রতি শ্রদ্ধা ও ঈশ্বরের প্রতি ভক্তির কারণে খুব কম মানুষের অভিযোগ দায়ের করার প্রয়োজন পড়ত । অন্য দিকে, সম্রাট আওরঙ্গজেব প্রতিদিন দুবার কোর্ট রাখতেন তবে অভিযোগের ভিড় প্রতিদিন ক্রমাগত ভাবে বাড়তে থাকত। “

ভীমসেন সাক্সেনা, আরঙ্গজেবের প্রশাসনের একজন হিন্দু সদস্য।

 

চিত্রে বাদশাহ্ শাহজাহানকে তাঁর সাপ্তাহিক আদালতে দেখা যাচ্ছে।

আওরঙ্গজেব একটি বিশাল রাজ্যের বাদশাহ ছিলেন এবং সেটার তদারকি করতেন যার জন্য একটি বিশাল আমলাতান্ত্রিক যন্ত্রপাতি প্রয়োজন ছিল। সাম্রাজ্যের বেশিরভাগ অংশে তার নিয়মিত উপস্থিতি পাওয়া যেত না বরং তাঁর রাজত্বের প্রথমার্ধটি মূলত দিল্লির আদালতে কাটে এবং দ্বিতীয়ার্ধে ডেক্কানে প্রচার চালাতে। তদনুসারে, মুঘল সাম্রাজ্য পরিচালনার দৈনন্দিন কার্যক্রম রাজ্য কর্মকর্তারা কাঁধে নিয়েছিলেন। যাইহোক, আওরঙ্গজেবের শারীরিক দূরত্ব তাকে কোন সময় প্রত্যেকটা রাজ্যের প্রশাসনিক কার্যক্রমে ব্যক্তিগতভাবে জড়িত হতে কখনই বাধা দেয়নি। তাঁর ন্যায়বিচার অনুভূতি প্রবল ছিল কিন্তু কখনো তার প্রজারা উপকৃত হয় না।

বাদশাহ্ আওরঙ্গজেব, তাঁর আদালতে।

আওরঙ্গজেব প্রতিদিন তার রাজ্যের কোণায় কোণায় ঘটে যাওয়া খবরাখবর নিউজ বুলেটিনগুলির (আখবারাত) মাধ্যমে পেতেন এবং রাজকীয় দরবারে, রাজ্য আধিকারিকদের কর্মকাণ্ড এবং উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলী রিপোর্ট করতেন। সেই সময়ের সমস্ত নেতারা এই জাতীয় নিউজ বুলেটিনগুলির উপর নির্ভরশীল ছিলেন, যেটার মাধ্যমে আওরঙ্গজেবের আদালতের ঘটনাবলী ভারতজুড়ে তার বন্ধু এবং শত্রুদের কাছে পৌঁছে যেত। উদাহরণস্বরূপ, ডাচ রাষ্ট্রদূত হারবার্ট ড জাগের জানিয়েছিলেন যে শিবাজী সংবাদ প্রতিবেদন এবং চিঠি নিয়ে এতটাই ডুবে গিয়েছিলেন যে তিনি ১৬৭৭ সালে সভার জন্য খুব কম সময়ই কাটাতে পারতেন।

আওরঙ্গজেবের সাম্রাজ্য, সাল ১৬৯৫।

আওরঙ্গজেব সর্বসাধারণের আইন শৃঙ্খলা এবং মুঘল রাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের আচরণ সম্পর্কে রিপোর্ট শুনতে বিশেষ আগ্রহী ছিলেন। এই অঞ্চলগুলি আওরঙ্গজেব একটি অপ্রতিরোধ্য সাম্রাজ্যকে শাসন করার প্রয়াসে প্রায়শই ফল্ট প্রকাশ করে।