আব্দুর রাজ্জাক (১৯১৪ – ২৮ নভেম্বর, ১৯৯৯) বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এবং বুদ্ধিজীবী। তার জ্ঞানের পরিধি বিস্তৃত ছিল বিশেষত প্রাচ্যতত্ত্ব, ইতিহাস ও রাজনীতিতে। তিনি ‘শিক্ষকদের শিক্ষক’ হিসেবে অভিহিত হতেন। তার অনুগামীদের মধ্যে শুধু বুদ্ধিজীবী নয়, শেখ মুজিবুর রহমানসহ অনেক রাজনৈতিক নেতাও ছিলেন।
জন্ম, বাল্যকাল ও শিক্ষা
১৯১২ সালের পহেলা জানুয়ারি ঢাকা জেলার কেরানিগঞ্জের কলাতিয়া জন্মগ্রহণ করেন অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক। পিতা মৌলভী আব্দুল আলী ব্রিটিশ ভারতের পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর ছিলেন। তার মায়ের নাম নান্নু বিবি।
পুলিশের চাকরি বদলীর চাকরি। তাই পিতার বদলীর চাকরির কারণে ছেলেবেলায় নানা জায়গায় ঘুরে ঘুরে পড়াশোনা করেছেন আবদুর রাজ্জাক। তার জন্মের বছর পিতার কর্মস্থল ছিল রংপুর। তাই শৈশবের কিছুটা রংপুরেও কেটেছে। তার পরপরই তারা হুগলি চলে যান। হুগলি জেলার পান্ডুয়ার এক মাদ্রাসায় প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণী এবং সেখানকারই এক প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীও পড়েন।
মায়ের অসুস্থতাজনিত কারণে আব্দুর রাজ্জাককে আবার কলাতিয়ায় চলে আসতে হয়। কলাতিয়া গ্রামের মাইনর স্কুলে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তি হন এবং সপ্তম শ্রেণী পর্যন্ত সেই স্কুলেই অধ্যয়ন করেন তিনি। সেই স্কুলের বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন এবং বৃত্তিলাভ করেন। এর মাঝেই প্রফেসর রাজ্জাকের অসুস্থ মায়ের মৃত্যু হয়। বাবা আবার হুগলি চলে গেলে এক চাচার তত্ত্বাবধানে ঢাকার মুসলিম হাই স্কুলে অষ্টম শ্রেণীতে ভর্তি হন। স্কুলের নির্ধারিত ছাত্রাবাস ‘ডাফরিন’ হোস্টেল উঠেন। এখান থেকেই প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিক পাশ করেন এবং ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজ থেকে মেধা তালিকায় প্রথম স্থান লাভ করে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন।
১৯৩১ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন। স্নাতক পাস করে স্নাতকোত্তরও একই বিষয়ে করেন। কিন্তু নিজেকে যোগ্য মনে না করায় ১৯৩৫ সালে স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার কথা থাকলেও তিনি সেবছর অংশগ্রহণ করেননি। পরে ১৯৩৬ সালে প্রথম শ্রেণীতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।
কর্মজীবন
আব্দুর রাজ্জাক ১৯৩৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে লেকচারার পদে যোগদান করেন। পরে অবশ্য অর্থনীতি ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ ভেঙে দুটি পৃথক বিভাগ হলে তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে চলে যান। তিনি লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক্সে অধ্যাপক হ্যারল্ড লাস্কির অধীনে পিএইচডি করার জন্যে লন্ডন গমন করেন; তবে লাস্কি পরলোকগমন করায় তার থিসিস মূল্যায়ন করার মতো কেউ নেই এই বিবেচনায় তিনি থিসিস জমা না-দিয়েই (অর্থাৎ কোনো ডিগ্রি ছাড়াই) দেশে প্রত্যাবর্তন করেন। পদোন্নতির আবেদন করতেন না বিধায় তিনি দীর্ঘকাল জ্যৈষ্ঠ প্রভাষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
১৯৭১ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। জাতীয় শিক্ষা কমিশনের খন্ডকালীন সদস্য হিসেবে নিয়োগ পান তিনি। ১৯৭৩ সালে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় তাকে সম্মানসূচক ডি.লিট প্রদান করে। এর দুই বছর ১৯৭৫ সালে তাকে জাতীয় অধ্যাপকের সম্মানে ভূষিত করে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।
ব্যক্তিত্ব
হাসিমাখা মুখে ঢাকাইয়া ভাষায় কথা বলা ছোটখাটো এই মানুষটির জ্ঞান ছিল পর্বততুল্য। তিনি তার নিজস্ব ঢঙ এবং বুলিতেই কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন, যেটা পুরোপুরি ঢাকাইয়াও না, আবার গ্রাম্যও না। তিনি ইংরেজিটা বেশ ভালো এবং বিশুদ্ধভাবে বলতে পারতেন, কিন্তু মাতৃভাষাকে প্রাধান্য দিতেন সবচাইতে বেশি। আর তার ছাত্রদেরও তিনি মাতৃভাষার উপর লেখালেখি করার উৎসাহ দিতেন। তিনি বলতেন, মাতৃভাষা ছাড়া কোনো জাতি বা কারো উন্নতি করা সম্ভব নয়।
পোশাক-আশাকের ব্যাপারেও তার বাঙালিয়ানা প্রকাশ পেতো। কেননা খদ্দরের পাঞ্জাবী-পায়জামা আর মাঝে মাঝে কাঁধে একটি চাদর কিংবা লুঙি আর কুর্তাতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন। কেবলমাত্র অতীব জরুরি প্রয়োজন, যেমন- বিলেত গমন বাদে কোট-টাই পরতে তার প্রচুর অনীহা ছিল।
ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে জ্ঞানের আড্ডা ছিল তার কাছে অত্যন্ত পছন্দের ব্যাপার। জ্ঞানের ভারে ন্যুজ্ব এই ব্যক্তি জ্ঞান বিলাতেই সবচাইতে বেশি ভালোবাসতেন। বই পড়া এবং সংগ্রহ করা বাদে তার আরো দুটি নেশা ছিল, আর তা হচ্ছে বাজার করা এবং রান্না করা। তার বাসায় প্রতিনিয়ত যেসব ছাত্র-ছাত্রীর যাতায়াত ছিল, তাদের প্রায় প্রত্যেকেই তার হাতের রান্না খেয়েছেন এবং প্রশংসা করেছেন। তিনি শুধুমাত্র জ্ঞানের শিক্ষক ছিলেন না, অনেক ছাত্রী, এমনকি অনেক ছাত্রের বউয়ের রান্নার শিক্ষকও ছিলেন। রান্না করার বইয়ের বিশাল সংগ্রহ ছিল তার। বাজার করতেন বেশ সময় নিয়ে। প্রায়ই তিনি বলতেন, আমি যেকোনো দেশে গেলেই দুটি জিনিস দেখি। এক কাঁচাবাজার, অন্যটা হলো বইয়ের দোকান। আমার মনে হয়, কাঁচাবাজার আর বইয়ের দোকান সম্ভবত সমাজের অবস্থার সবচেয়ে উৎকৃষ্ট নির্দেশক। যে দেশে বইয়ের দোকান নাই সে দেশে লেখাপড়া খুব হয় তা বিশ্বাস করি না। কাঁচাবাজার দেখলেই বোঝা যায়, দেশের অবস্থা কেমন। বইয়ের দোকানে গিয়ে কী ধরনের বই পাওয়া যায়, কেমন বিক্রি হয়, তা দেখেই দেশের জ্ঞানচর্চার অবস্থা বোঝা যায়। একবার তুরস্কে গিয়েছিলাম। সেখানে বইয়ের দোকানে শতকরা ত্রিশ-পঁয়ত্রিশটা বই কম্যুনিজম সম্পর্কে, শতকরা ত্রিশ-পঁয়ত্রিশটা বই ইসলাম সম্পর্কে। সুতরাং সেই দেশে যে টেনশন থাকবে তা বোঝার জন্য হাফেজ হওয়ার দরকার নাই।
দুষ্প্রাপ্য গ্রন্থের প্রতি রাজ্জাক স্যারের বরাবর একটা লোভ ছিল। শুধুই দেশের নীলক্ষেতই না, পিএইচডি করার সময়ও তিনি বিদেশের পুরনো বইয়ের দোকানে যাওয়াটা নিজের মজ্জাগত অভ্যাসে পরিণত করেছিলেন। একদিন বিকেলের দিকে গেলেন একটি দোকানে। একটি বই পছন্দ করে সেখানেই পড়া শুরু করেন। দোকান বন্ধের সময় হয়ে এলে দোকানী দোকান বন্ধ করে চলে যায়। সেই রাতটা তার সেই দোকানেই কেটেছিল।
বই আর বই, ঘরের মেঝেতে যত্রতত্র ছড়ানো-ছিটানো অবস্থায়; গাঁয়ে গাঁয়ে লেগে থাকা সারি সারি শেলফের আড়ালে হারিয়ে গেছে ঘরের দেয়াল, উঁচুতে ঘরের ছাদ ছুঁয়ে থরে থরে সাজানো কেবল বই। নির্দিষ্ট কোনো বিষয়ের নেই সেখানে। একদিকে যেমন মূলধারার অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান, ইতিহাস, সাহিত্য ঠিক তেমনি দাবা, রন্ধনশৈলীর বইও তার সংগ্রহে ছিল। এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকার বেশ পুরনো কিছু সংস্করণে তার সংগ্রহে ছিল। সারাটাক্ষণ ডুবে থাকতেন বইয়ের পাতায়। কখনো মেঝেতে উবু হয়ে, কখনো পিঠখাড়া চেয়ারে এক পা তুলে দিয়ে, কখনো বা দিনে-দুপুরে মশার যন্ত্রণা থেকে বাঁচতে মশারি টাঙিয়ে তার ভেতরে হেলান দিয়ে কিংবা শুয়ে বই পড়তে দেখা যেত তাকে। জীবনের শেষের দিনগুলোতে যখন চোখের জ্যোতি প্রায় নিষ্প্রাণ হয়ে গিয়েছিল, তখনও থেমে থাকেনি তার বই পড়ার কিংবা জ্ঞানার্জনের তেষ্টা; সহায়ক ছিল ম্যাগনিফাইং গ্লাস। আর একেবারে শেষ নিঃশ্বাস অবধি তার যে স্মৃতিশক্তির বর্ণনা শোনা যায় তা সত্যিই বিস্ময়কর এবং স্বয়ং বিধাতা প্রদত্ত।
রচনাবলী
ফলবতী গাছ যেমন ফলের ভারে নুয়ে থাকে আর অহমিকাকে বর্জন করে ন্যুজ্বতাকেই আঁকড়ে ধরে, ঠিক তেমনি এত জ্ঞানের ভারে ন্যুজ্ব হওয়া সত্ত্বেও প্রফেসর আব্দুর রাজ্জাক তেমন কিছুই লিখে রেখে যাননি। একটা অসমাপ্ত বই, দশ-বারোটা চিঠি, অল্প কয়েকটা ছুটির দরখাস্ত, কিছু সুপারিশনামা আর কিছু আর্জি, একটা বক্তৃতা আর আনুমানিক ছয়-সাতটা ইন্টারভিউ ছাড়া পি.এইচ.ডি ডিগ্রির জন্যে লেখা থিসিস Political Parties in India, আর প্রবন্ধ পাকিস্তান মিলিটারি (The Military in Pakistan) এবং বাংলাদেশ: একটা জাতির অবস্থা (Bangladesh: State of a Nation)। অধ্যাপক মুজাফফর আহমেদ চৌধুরী স্মরণে তিনি এক বক্তৃতা দেন যা পরবর্তীতে Bangladesh : State of the Nation নামে একটি বইতে রুপান্তর করা হয়।
মূল্যায়ন
কিছু কৃতী সন্তানের উৎসর্গপত্র কিংবা স্মৃতিকথামূলক বই থেকে আব্দুর রাজ্জাক এর জীবন ও কর্ম সম্পর্কে জানা যায়। বাংলাদেশের সাহিত্যের এক উজ্জ্বল তারা আহমদ ছফা রচিত ‘যদ্যপি আমার গুরু’ এই বইটি থেকেই মূলত তার জীবনযাপনের বেশ খানিকটা ধারণা পাওয়া যায়।
এছাড়াও, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও পূর্ববঙ্গীয় সমাজ ব্যবস্থা: অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাকের আলাপচারিতা’ এই নামে সরদার ফজলুল করিমের একটি বই আছে। আর ‘জ্ঞানতাপস আব্দুর রাজ্জাক স্মারকগ্রন্থ’ নামেও একটি গ্রন্থ আছে। তার সকল স্নেহভাজন ছাত্রছাত্রীরা তার স্মরণে এই গ্রন্থ প্রকাশ করেছেন। বইটি সম্পাদনা করেছেন আনিসুজ্জামান।
বিশ্বখ্যাত সাংবাদিক ডিক উইলসন তার এশিয়া অ্যাওয়েকস (Asia Awakes) বইটি আব্দুর রাজ্জাক স্যারকে উৎসর্গ করেছেন। উৎসর্গপত্রে লেখা হয়েছে,
To Abdur Razzak of Dacca, who first made Asia come alive in my mind.
অর্থাৎ, ঢাকার আব্দুর রাজ্জাককে উৎসর্গ করছি, যার কারণে এশিয়াকে আমার মনে ধারণ করতে পেরেছি। উপমহাদেশের প্রখ্যাত সাংবাদিক খুশবন্ত সিং ১৯৭৪ সালে দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস (The New York Times) এ প্রফেসর আব্দুর রাজ্জাকের উপর একটি ফিচার লিখেছিলেন। পরে অবশ্য তা ইলাস্ট্রেটেড উইকলি অব ইন্ডিয়া (Illustrated Weekly of India) এ পুনঃমুদ্রিত হয়।
“স্যার শুধুমাত্রই স্যার ছিলেন না তিনি ছিলেন আমার দ্বিতীয় পিতা।” -সরদার ফজলুল করিম।“তিনি ছিলেন জ্ঞানসমৃদ্ধ চিন্তাশীলতার জীবন্ত রূপায়ণ।” -মীজানুর রহমান শেলী।“আমরা তাকে বলতাম ‘Running Dictionary’।” -কামাল লোহানী।“আব্দুর রাজ্জাক জ্ঞানচর্চার জগতে যেমন ব্যতিক্রমী মানুষ ছিলেন, ব্যক্তিজীবনেও ছিলেন ব্যতিক্রমী। তিনি গৃহী ছিলেন, কিন্তু গৃহনির্মাণ করেননি। সংসারে বসবাস করেছেন, কিন্তু নিজে সংসারী হননি।” -মনসুর মুসা।
“Why do so many of us, spanning several generations, genuinely feel a deep sense of affection and respect for Professor Abdur Razzaq. He became a member of so many of our families. “(অর্থাৎ, কেন আমাদের মধ্যে অনেকেই, এমনকি আমাদের পরবর্তী প্রজন্মসমূহও, প্রফেসর আব্দুর রাজ্জাকের জন্যে এক গভীর ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধাবোধ অনুভব করে? কেননা, তিনি আমাদের অনেকেরই পরিবারের সদস্য হয়ে গিয়েছিলেন) – ড. কামাল হোসেন।
“Razzaq Sir is huge mansion, with many rooms, closed but unlocked doors, and many treasures in each of them.” (রাজ্জাক স্যার হচ্ছেন অসংখ্য রুম বিশিষ্ট এক বিশালাকার প্রাসাদ, আপাতদৃষ্টিতে সেগুলো বন্ধ, কিন্তু দরজায় কোনো তালা নেই, এবং সেগুলোর প্রত্যেকটি জ্ঞানের ধনদৌলতে পরিপূর্ণ) -আহমদ ছফা।
“Abdur Razzak was an intellectual in the European tradition of the men of ideas; a scholar with a true passion for knowledge. He loved knowledge for the beauty of knowledge.” (আব্দুর রাজ্জাক ছিলেন ইউরোপীয় ধ্যানধারণায় সিক্ত একজন বুদ্ধিজীবী; এমন একজন পণ্ডিত যার একমাত্র আসক্তি ছিল জ্ঞানার্জন করা। জ্ঞানের অন্তর্গত সৌন্দর্যকে তিনি উপলদ্ধি করতে পেরেছিলেন বলেই জ্ঞানার্জন তার এতটা প্রিয় হয়ে উঠেছিল) -হাবিবুল হক খন্দকার।
মৃত্যু
মৃত্যু প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে প্রফেসর আব্দুর রাজ্জাক বলেছিলেন-
“আমি যেকোনো মুহূর্তে বিদায়ের জন্যে সম্পূর্ণ প্রস্তুত। কোনো দুঃখ নাই। কত বছর বাঁচবো, তা ভাবি না। জীবন-মৃত্যু সম্পর্কে আমি বেশি ভাবি না। আমি অনেক বেঁচেছি, সত্তর বছর। নিজের হাতে জীবন নেব, এই কথা কখনো ভাবি নাই, যেকোনো মুহূর্তে মারা গেলে দুঃখ নাই। অনেক তো বেঁচেছি।”
১৯৯৯ সালের ২৮ নভেম্বর জ্ঞানতাপস আব্দুর রাজ্জাক শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
লেখকঃ Zahidur Rahman