ডোডো একটি পাখি এটি বিলুপ্ত প্রজন্ম। এখন আর দেখা যায় না। প্রকৃতির প্রতি আমাদের যে অসদাচরণ তারই প্রমাণ বিলুপ্তপ্রায় এই পাখিগুলো। মোঘল সম্রাট জাহাঙ্গীর এর সাথে ডোডো পাখির কি সম্পর্ক ছিল? আছে এক সম্পর্ক, তাই বলবো আজ। মজা করে বলা যায়, এই দুটো চরিত্রের একটিও আজ পৃথিবীতে নেই – ভারতীয় সম্রাট ও মরিশাসের পাখি আজ চিত্রকর্মের মধ্যেই বেঁচে আছে।
জাহাঙ্গীরের ছিল প্রকৃতি প্রেম এবং এই কারনেই তার সংগ্রহশালায় স্থান করে নিয়েছিল ওই একজোড়া ডোডো পাখি। কি করে আসলো এই ডোডো পাখি তার ও বর্ণনা পাওয়া যায়। বিখ্যাত ইংরেজ ভ্রমণকারী পিটার মুন্ডির রেকর্ডে গুজরাটের সুরাটে পর্তুগিজ নাবিকরা তাদের সাথে করে এই পাখিগুলো নিয়ে আসেন। সম্রাট জাহাঙ্গীরের যেহেতু পশু পাখির প্রতি প্রচন্ড ভালোবাসা ছিল তাই জীবন্ত পাখি গুলো তাকে দেওয়া হয় ও তারই আশ্রয়ে বড় হতে থাকে। পরবর্তীতে সম্রাট তার বিখ্যাত চিত্রকর মনসুর কে দিয়ে জীবন্ত পাখি দুটির রঙিন তৈলচিত্র করিয়েছিলেন। এই তৈলচিত্রটি ডোডোর উপর করা প্রথম তৈলচিত্র। পরে অনেকেই ডোডোর ছবি এঁকেছিল কিন্তু জীবন্ত পাখি দেখা ছবি ছিল এটাই প্রথম। এর জন্য ওস্তাদ মনসুর সম্রাটের কাছে “নাদির আল আসর” উপাধি পান।
এই চিত্রকর্মটি এখন রাশিয়ার পিটার্সবার্গের হার্মিটেজ জাদুঘরে রক্ষিত আছে। ভাগ্যিস সম্রাট প্রকৃতির প্রতি আগ্রহী ছিলেন, ভাগ্যিস তিনি সারা বিশ্বের বিভিন্ন ধরনের প্রাণী সংগ্রহ করেছিলেন,তাইতো আমরা একটা রিয়েল লাইফ মডেলের মাধ্যমে সত্যিকার ডোডোর সম্পর্কে জানতে পারলাম। ইথিওপিয়া, ক্রেনস, তুরস্ক ও সাইবেরিয়ারও অনেক পাখি তার সংগ্রহে ছিল। পাখি ছাড়াও তার সংগ্রহে জেব্রা অন্তর্ভুক্ত ছিল। সহসাই আমরা সেই জেব্রা সম্পর্কেও মজার মজার অনেক তথ্য জানবো। সাথেই থাকুন।