মোঘলদের সাথে এক যুদ্ধে যশোরের রাজা প্রতাপাদিত্য হেরে যান ও বন্দি হন। তখন তার বংশধরদের অনেকেই বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পরে। তাদেরই এক বংশধর ছিলেন রাজা নীলকণ্ঠ। নিজের চেষ্টা, পরিশ্রম, ধন – সম্পদ দিয়েই জায়গা করে নিয়েছিলেন সবার মধ্যে। এই রাজা নীলকণ্ঠের ঘর আলো করে জন্ম নিলো তার কন্যা। তিনি ভালোবেসে তার নাম রাখলেন অভয়া।
ওই সময় সেই এলাকায় চলছিল জলদস্যূদের আক্রমণ, অত্যাচার আর লুটপাট। সেই ডাকাতরা শুধু ধন সম্পদ লুট করেই থামতো না, পাশাপাশি শিশু ও নারীদেরও ধরে নিয়ে যেত আর বিক্রি করে দিতো। রাজা নীলকণ্ঠ তখন সেই ডাকাতদের বিরুদ্ধে উদ্যোগ নিলেন। ভৈরব নদীর তীরে তিনি তৈরী করলেন বিশাল এক প্রাসাদ। সেখানেই রাজকন্যা অভয়া বড় হতে থাকলেন।
এক সময় অভয়া বিয়ের যোগ্য হলে রাজা নীলকণ্ঠ অত্যন্ত প্রভাবশালী ‘নড়াইল জমিদার’ বংশের নীলাম্বর রায়ের সাথে বিয়ে দেন তার আদরের কন্যাকে ।
কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস ! বিয়ের কিছুদিন পরেই অভয়ার স্বামী দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হন। কিছুদিন রোগভোগের পরে মারা যান নীলাম্বর রায়। বিধবা হন রাজকন্যা অভয়া। আবার তিনি চলে আসেন তার বাবার কাছে অভয়নগরে, যে জায়গার নাম তার নামেই করা হয়েছিল।