নবাব মোগলরা বিন্দুমাত্র ভাল লোক ছিল না, কারন তারা দেশের সম্পদ বিদেশে নিয়ে যায় নি, তারা দেশের শিল্প কাঠামোকে ধ্বংস করে নি, তারা বরঙ নিয়ম করেছিল চাষী এবং কারিগরদের ওপর কোনও আক্রমন হলে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হবে। আওরঙ্গজেবের সব থেকে বড় বিরোধী, ব্রিটিশদের বড় বন্ধু যদুনাথ সরকার দ্য মুঘল এডমিনিস্ট্রেশনে লিখেছেন, আওরঙ্গজেব জানতেন দেশের চাষীদের রাজস্বের বিনিময়ে তার খাওয়া জোটে। এইটুকু সুবুদ্ধি তার ছিল, চাষী উচ্ছেদ[যদিও কম হত কারন তখন জমি বেশি ছিল চাষী কম ছিল] নিয়ম করে বন্ধ করেছন।
একটা গ্রামে চর জাগলে সেখান থেকে একটু বেশি কর ওঠায় শাহজাহান রেগে বলেছিলেন এটা গ্রামের সম্পত্তি, তাদের ফিরিয়ে দাও না পারলে প্রশাসককে বরখাস্ত কর। ব্রিটিশ পক্ষীয় ইতিহাসকার তাবাতাবাই বলে গেছেন মুর্শিদাবাদে মুর্শিদকুলিখাঁর দরবারে ঢোকার জমিদারেরা ঢোকার আগে দেখে নিতেন তার এলাকার চাষী কারিগর অভিযোগ করতে এসেছে কীনা, অভিযোগ প্রমান হল জমিদারদের বৈকুণ্ঠ দেখানো হত। এক অমুসলমান জমিদারের তুচ্ছ কারনে কাজি মৃত্যুদন্ড দিলে তিনি কাজির বিরুদ্ধে লড়ে যান, দণ্ড আটকাতে পারেন না, কিন্তু কাজিকে বাংলা ছাড়া করেন। সুশীলবাবু দেখিয়েছেন কোম্পানির বিরুদ্ধে কীভাবে ছোট কারিগর আর ব্যবসায়ীকে দরবার বাঁচাত।কারিগর দাদন চুক্তি থেক বেরিয়ে আসত পারত – রাষ্টের অধিকার ছিল না তাকে জোর করার – এই সব অধিকার পলাশীর পর চলে গেল। উপনিবশপূর্ব শাসকদের আরও বড় দুষ্কর্ম ছিল তারা দেশিয় শিল্পকে ধ্বংস করেন নি, বরং আন্তর্জাতিকস্তরে যাতে বিশাল ব্যবসা যাতে হয় তার কাঠামো তৈরি করে দিয়েছেন।
সমস্যা হল ভারতের প্রগতশীলদের ইতিহাস আদতে উপনিবেশের ইতিহাসের অনুগামী – উভয়ের উদ্দেশ্য লুঠেরা খুনি গণহত্যাকারী ব্রিটিশ শাসনের বৈধতা প্রমান।
শেষে অনুরোধ করব অমিয় বাগচির কলোনিয়ালিজম এন্ড ইন্ডিয়ান ইকনমি পড়তে, যেখানে তিনি উপনিবেশের সময়কে বলছেন বিশ্বের প্রথম ১৯০ বছর ধরে চলা স্ট্রাকচারাল এডজাস্টমেন্ট পলিসি – এইটুকু কথায় তিনি উপনিবেশের সঠিক চিত্র এঁকেছেন। মৃদুলা মুখার্জীও লুঠের ব্যাপক অঙ্ক এঁকেছেন।
Image collected from Google