হুমায়ুনের সমাধি: মুঘল সম্রাটদের হারানো ঐতিহ্য ও বাহাদুর শাহ জাফরের শেষ আশ্রয়স্থল

স্বামী সদ্য সিংহাসনে বসেছেন। ভীষণ ভালো মানুষ, পড়তে পছন্দ করেন। তার বাবা তাকে সিংহাসনের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত মনে করেন বলে রাজ্যের উত্তরাধিকারী হিসেবে তাকেই নির্বাচিত করেন। কিন্তু না, শের শাহ সূরির শক্তির সাথে তিনি পেরে ওঠেননি। তাছাড়া ভাইয়ে ভাইয়ের মধ্যকার অন্তর কলহ...

সিল্ক রোডে ভারতীয় সংস্কৃতির প্রভাব: মধ্য এশিয়ায় হিন্দু ও বৌদ্ধ ঐতিহ্যের বিস্তার

সিল্ক রোডের গল্প আমরা অনেকেই জানি। এই প্রাচীন সিল্ক রোড বাণিজ্যপথ দক্ষিণ-পূর্ব, পশ্চিম-পূর্ব ও দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন সাম্রাজ্যের মধ্যে শুধু রেশম, মশলা বা মূল্যবান পণ্যের লেনদেনেই সীমাবদ্ধ ছিল না—এটি ছিল সংস্কৃতি, ধর্ম, ভাষা ও জ্ঞানের বিস্তারের এক বিশাল সেতুবন্ধ। এই...

৩,৫০০ বছরের পুরনো রুটি: প্রাচীন মিশরের খাবার ও সংস্কৃতির বিস্ময়কর গল্প

প্রায় ৩,৫০০ বছর আগে, মিশরের প্রাচীন শহর থেবসে বাস করতেন হাটনেফার ও তাঁর ছেলে রামোস। সমাজে তাঁরা ছিলেন সম্মানিত ও প্রভাবশালী মানুষ। মৃত্যুর পর তাঁদের জন্য নির্মিত হয় এক সুন্দর সমাধি। আর সেখানেই, বহু বছর পরে, আবিষ্কৃত হয় এক বিস্ময়কর বস্তু—এক টুকরো রুটি! হ্যাঁ, সত্যি!...

আমেনহোটেপ ও রাণী টিয়ে: মিশরের স্বর্ণযুগের সফল দম্পতি

মিশর আজ নতুন সাজে সেজেছে। চারদিকে তৈরী হয়েছে এক উৎসবমুখর পরিবেশ। বাদ্য-বাজনার তালে তালে নৃত্য চলছে। পুরোহিতরাও শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি সম্পন্ন করে অপেক্ষা করছেন বর-বধূর জন্য। রাজপ্রাসাদের অভ্যন্তরে প্রস্তুত হচ্ছেন ফারাও চতুর্থ থুতমোসের ছেলে তৃতীয় আমেনহোটেপ। খানিক...

সগডিয়ান মিউনের কাহিনী – পর্ব ২

আজ থেকে ১৭০০ বছর আগে কেমন ছিলো মানুষের জীবন? অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আমরা রাজা-রানি বা সম্ভ্রান্ত শ্রেণির কাহিনী শুনে থাকি আর সেসব জমকালো উৎসবমুখর জীবনের গল্প শুনতেই বোধ হয় বেশি ভালোবাসি। কিন্তু মুদ্রার উল্টো পিঠের প্রাচীন বিশ্বে সাধারণ মানুষের জীবন কেমন ছিলো? কেমন ছিলো...
ভিতরগড় দূর্গনগরী

ভিতরগড় দূর্গনগরী

ড. শাহনাজ হুসনে জাহান ৮ বছর অক্লান্ত পরিশ্রমের পর মাটির নিচে লুকিয়ে থাকা সভ্যতাকে আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন। এই সভ্যতা ভিতরগড় দূর্গনগরী নামে পরিচিতি পায়। কুচবিহারের বংশ লতিকায় রাজা পৃথুর নাম উঠে আসে। ধারণা করা হয়, এই ভিতরগড় ছিল পৃথু রাজার রাজধানী। তবে ইতিহাসে পৃথু রাজা...

read more

সাম্প্রতিক পোস্ট

মুঘল মহিলাদের হজ্ব অভিযানঃ মুঘল-উসমানিয় [অটোমান] আন্তর্জাতিক সম্পর্ক

মুঘল মহিলাদের হজ্ব অভিযানঃ মুঘল-উসমানিয় [অটোমান] আন্তর্জাতিক সম্পর্ক

১৫৫৫তে, হুমায়ুনের মৃত্যুর ঠিক আগে উসমানিয় সাম্রাজ্যের নৌসেনাপতি সিদ্দি আলি রইস, পারস্য উপসাগরে জাহাজ দুর্ঘটনা সূত্রে দিল্লি দরবারে আসেন। তাঁকে দিল্লিতে বিপুল সম্বর্ধনা দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী খানইখানান বৈরাম খান ১০০০ সেনানী ৪০০ হাতির বাহিনী নিয়ে তাকে অভ্যর্থনা জানান।...

read more
কর্পোরাল থেকে ফ্যুয়েরারঃ হিটলারের উত্থান

কর্পোরাল থেকে ফ্যুয়েরারঃ হিটলারের উত্থান

মানব সভ্যতার ইতিহাসে সবথেকে ভয়ংকর ঘটনা হিসেবে আখ্যায়িত করা যায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকে। এত ব্যাপক, সর্বগ্রাসী ধংসযজ্ঞ মানবজাতি আর কখনও প্রত্যক্ষ করে নি। একে অপরকে নিঃশেষ করার অভিপ্রায়ে তৎকালীন বিশ্বশক্তিগুলো যেনো সর্বশক্তিতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো। টানা ছয় বছর (১৯৩৯-১৯৪৫)...

read more
বিংশ শতাব্দীর বিস্ময় ও একজন অনন্যসাধারণ কবিয়ালঃ রমেশ শীল

বিংশ শতাব্দীর বিস্ময় ও একজন অনন্যসাধারণ কবিয়ালঃ রমেশ শীল

‘ইস্কুল খুইলাছে রে মওলা, ইস্কুল খুইলাছে…’ –বহুল পরিচিত একটি কবিগান। শুধু পরিচিতই নয়, পছন্দনীয়ও বটে। তবে গানটি যেভাবে সাধারণের মুখে মুখে গুঞ্জিত হয়, গানটির রচয়িতার পরিচয়ও কি সেভাবে প্রস্ফুটিত হয়? না, হয় না। তবে ইতিহাসের সত্যিকার নায়কদেরকে সামনে নিয়ে আসার দায়িত্ব তো...

read more
ভাগ-বাটোয়ারার এক বেদনাবিধুর অধ্যায়ঃ ১৯৪৭ এর দেশ ভাগ

ভাগ-বাটোয়ারার এক বেদনাবিধুর অধ্যায়ঃ ১৯৪৭ এর দেশ ভাগ

অখন্ড ভারতবর্ষ। এক শান্তির ভূমি, সম্প্রীতির ভূমি। এতো বৈচিত্র্য, এতো সংস্কৃতি, এতো সম্প্রদায় মনে হয় না পৃথিবীর আর কোথাও আছে। এখানে মানুষে মানুষে অদ্ভূত মৈত্রী, প্রগাঢ় বন্ধন। কখনো নিজেদের শক্তিতে, আবার কখনো অন্যের অধীনে শাসিত হয়েছে এই ভারতবর্ষ। হয়তো দানা বেঁধে উঠেছে...

read more
হীরালাল সেনঃ একজন হারিয়ে যাওয়া প্রতিভাধর উদ্ভাবক

হীরালাল সেনঃ একজন হারিয়ে যাওয়া প্রতিভাধর উদ্ভাবক

১৮৭০ সাল। মানিকগঞ্জের বগজুরি গ্রামের এক উচ্চাভিলাষী জমিদার বাড়িতে আসর বসেছে, আমোদ-ফূর্তির আসর। প্রতিবারের মতো আজও একজন বাইজি এসেছেন, নেচে-গেয়ে আনন্দ দিয়ে যাচ্ছেন জমিদার বাড়ির পুরুষদের। বাইজি নাচছেন এবং দর্শকরা তার পায়ের কাছে আবির ছুঁড়ে দিচ্ছেন। বাইজির প্রতিটি ছন্দোময়...

read more
দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবৈষম্য বিরোধী আন্দোলন

দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবৈষম্য বিরোধী আন্দোলন

১৯৪৮ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকাতে এক আইনত জাতিগত বিভাজন ব্যবস্থার প্রচলন ছিল। ব্রিটিশ শাসিত সরকার দক্ষিণ আফ্রিকার অধিবাসীদের কৃষ্ণাঙ্গ, শ্বেতাঙ্গ, দক্ষিণ এশীয়, বর্ণসংকর এই চার বর্ণে ভাগ করে। যাবতীয় ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখেছিল দেশের মোট জনসংখ্যার ২০% এর কম...

read more

গল্প এবং কথা

আমাদের বাংলাদেশ

গ্যালারি

বিশ্ব ইতিহাস