এপ্রিল, ১৯৯২ সালে যখন বসনিয়া ও হার্জিগোভিনা নিজেদের যুগোস্লাভিয়া প্রজাতন্ত্র থেকে আলাদা হয়ে পৃথক স্বাধীন দেশ হিসেবে নিজেদের স্বাধীনতা ঘোষণা করে তার ঠিক পরেই দেশটি এক ঘৃণ্য বাস্তবতার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে যায়। ভিন্ন জাতির এই দেশটিতে সার্বিয়ান আধিপত্যবাদী সৈন্যরা বসনিয়ান মুসলিমদের উপর ব্যাপক হারে হত্যার ছক কষে যা পরবর্তীতে এথনিক ক্লিনসিং বা জাতিগত নিধনযজ্ঞ হিসেবে স্বীকৃতি পায়। বসনিয়ায় থাকা ক্রোয়াটরাও এই হত্যাকাণ্ডের স্বীকার হলেও মূলত সার্বদের লক্ষ্য ছিল মুসলিমদের শেষ করে দেয়া। বৈচিত্র্যময় এ দেশে কিভাবে গণহত্যার প্লট তৈরি হল আর কেনইবা বলকান অঞ্চলের এই দেশটিকে জাতিগত দিক থেকে বৈচিত্র্যময় বলছি তা বুঝতে হলে আমাদের পেছনের ইতিহাস জানতে হবে।

১৯৪৬ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বসনিয়া ও হার্জিগোভিনা(১৯৬৩ সালে সোশালিস্ট রিপাবলিক) বলকান অঞ্চলের সার্বিয়া, মন্টিনিগ্রো, মেসিডোনিয়া, ক্রোয়েশিয়া, স্লোভেনিয়ার সাথে যুগোশ্লাভিয়া প্রজাতন্ত্রের অংশ হয়ে যায়। যুগোস্লাভিয়া প্রজাতন্ত্রে বসনিয়া ও হার্জিগোভিনার সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা ব্যাপক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যায়। মুসলিমদের জাতি হিসেবে গণ্য করা হত না সেখানে, বসনিয়ার কোরআন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ অনেক ঐতিহাসিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ষাটের দশকে এসে বসনিয়ার মুসলিমদের সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করে যুগোস্লাভিয়া প্রজাতন্ত্রের কমিউনিস্ট সরকার। ১৯৬৭ সালে বসনিয়ার মুসলিমদের স্বতন্ত্র জাতি হিসেবে স্বীকার করে নেয়া হয়। এর আগে ১৯৬১ সালে বসনিয়ার মুসলিমদের ‘জাতিগত দিক দিয়ে মুসলিম’ বলে ঘোষণা করা হয়। ১৯৭১ সালের আদমশুমারীতে দেখা যায় বসনিয়া ও হার্জিগোভিনায় মুসলিমরা এককভাবে আধিপত্যশীল গোষ্ঠী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। কিন্তু বসনিয়ায় মুসলিমদের এই একক আধিপত্য দুই দশক পর হুমকির মুখে পড়ে। ১৯৭১ এর পর থেকে সার্বিয়া ও ক্রোয়েশিয়া থেকে ব্যাপকহারে বসনিয়ায় ও হার্জিগোভিনায় দেশান্তর ঘটে ফলে ১৯৯১ সালে বসনিয়ায় সার্ব ও ক্রোয়েটরা জনসংখ্যায় অর্ধেকে পরিণত হয়। তখন থেকে বসনিয়ার মুসলিমদের আলাদা নামে পরিচিত হতে হয় এবং তারা বসনিয়াক হিসেবে পরিচিতি পায়।

যুগোস্লাভিয়ার ভাঙ্গন  ও সার্বদের উচ্চাকাঙ্ক্ষা

১৯৮০’র দিকে যুগোস্লাভিয়ার অর্থনৈতিক অবস্থা চরম খারাপ হয়ে পড়ে। ফলে যুগোস্লাভিয়ার রাজনীতির প্রতি গণ অসন্তোষ তৈরি হয়। এই সুযোগে জাতীয়তাবাদী রাজনীতিকরা নিজেদের অবস্থান তৈরি করে নেয় এবং ১৯৮৯ সালে স্বাধীন রাজনৈতিক দল গঠন করা হয় যার ফলশ্রুতিতে ১৯৯০ সালে ক্রোয়েশিয়া ও স্লোভেনিয়ায় বহুদলীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৯১ সালে বসনিয়া ও হার্জিগোভিনায় নির্বাচন হলে নতুন দলটি তিনটি জাতির প্রতিনিধিত্ব করে এবং জনসংখ্যার বিচারে আসন দখল করে। বসনিয়ান নেতা আলিজা ইজেতবেগভিচ এর যুগ্ম প্রেসিডেন্সির নেতৃত্বে ত্রিপক্ষীয় কোয়ালিশন সরকার গঠিত হয়। কিন্তু বসনিয়ায় থাকা সার্বরা এই সরকারে সন্তুষ্ট হলো না। যুগোস্লাভিয়ার মদতপুষ্ট বসনিয়ান সার্ব নেতা রাদোভান কারাদজিচ এবং তার সার্বিয়ান ডেমোক্রেটিক পার্টি নবগঠিত সরকার থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয় এবং নিজেরা একটি ‘সার্বিয়ান ন্যাশনাল এসেম্বলি’ গঠন করে। যাইহোক, মার্চ, ১৯৯২ তে প্রেসিডেন্ট ইজেতবেগভিচ একটি গণভোটের মাধ্যমে বসনিয়ার স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। বলকান অঞ্চলে বসনিয়ান সার্ব বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বহুল আকাংখিত “গ্রেটার সার্বিয়া” প্রতিষ্ঠার এই স্বপ্ন অচিরেই এক অসম সংঘাতের জন্ম দিতে থাকে।

১৯৯২ সালের মে মাসের প্রথমদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় কমিটি( পরবর্তীতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন)  বসনিয়া ও হার্জিগোভিনাকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার দুইদিনের মাথায় বসনিয়ান সার্ব সৈন্যরা সার্বিয়ান নেতা মিলোসিভিচ ও যুগোস্লাভিয়ান আর্মির সহায়তায় বসনিয়া ও হার্জিগোভিনার সারায়েভো শহরে বোমাবর্ষণ শুরু করে। পূর্ব বসনিয়ার বসনিয়াক নিয়ন্ত্রিত শহর জেবরনিক, ফোকা ও ভিসেগার্ডে থেকে জোরপূর্বক বসনিয়াকদের নিষ্ঠুরভাবে হত্যাযজ্ঞের মাধ্যমে স্থানান্তরিত করা হয় যা পরবর্তীতে এথনিক ক্লিনসিং হিসেবে স্বীকার করে নেয়া হয়। যদিও বসনিয়ার নতুন সরকার নিজেদের অঞ্চল রক্ষার্থে যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছিল, কখনো ক্রোয়েশিয়ান আর্মির সাহায্য নিয়ে তবুও ১৯৯৩ সালের শেষ নাগাদ বসনিয়ান সার্বরা দেশটির অর্ধেক নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। পূর্বে কারাদজিচের দল নিজেরা আলাদা প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করে। সম্ভাব্য গণহত্যা থেকে বাঁচতে বসনিয়ান ক্রোয়াটরা দেশ থেকে পালিয়ে যায় কিন্তু বসনিয়াকদের (বসনিয়ান মুসলিম) উল্লেখযোগ্য একটি অংশ ছোট ছোট শহরে রয়ে যায়। বসনিয়াক-বসনিয়ান ক্রোয়াট এবং সার্বদের মধ্যকার বেশকিছু শান্তিচেষ্টা ভেস্তে যায় এবং বসনিয়ান সার্বরা তাদের দখলকৃত অঞ্চলগুলো ত্যাগ করতে অস্বীকৃতি জানায়। এই সংকটে জাতিসংঘের ভূমিকা ছিল নিরব দর্শকের মত। তবে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা মানবিক সাহায্যের ভূমিকা পালন করেছিল।

সেব্রেনিকা গণহত্যা


১৯৯৫’র গ্রীষ্ম পর্যন্ত পূর্ব বসনিয়ার তিন শহর সেব্রেনিকা, জেপা এবং গরাজদে বসনিয়ান সরকারের অধীনে থাকে। ফলে জাতিসংঘ এই তিন শহরকে ১৯৯১ সালে নিরাপদ অঞ্চল ঘোষণা করে সেখানে শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েন করে। জুলাই ১১, ১৯৯৫ সালের দিকে বসনিয়ান সার্ব সৈন্যরা সেব্রেনিকার দিকে অগ্রসর হতে থাকে। রাটকো ম্লাদিচের নেতৃত্বে পুরো সেব্রেনিকা শহর অবরুদ্ধ করে ফেলে সার্ব সৈন্যরা। সেখানে থাকা ডাচ শান্তিরক্ষীরা পিছু হটলে বসনিয়াক যোদ্ধারা ডাচদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে পড়ে এবং তাদের উপর আক্রমণ করলে এক ডাচ সৈন্য নিহত হয়। ফলে আরো ৩০ ডাচ সৈন্য সার্বদের নিকট আত্মসমর্পণ করলে তাদেরকে জিম্মি করা হয় এবং সেব্রেনিকার নিয়ন্ত্রণ সার্বদের হাতে চলে যায়। অবশিষ্ট থাকা ডাচ শান্তিরক্ষীরা ন্যাটোকে বিমান হামলা চালানোর অনুরোধ করলে সার্বরা জিম্মি থাকা ৩০ ডাচদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে। ফলে ন্যাটো থমকে যায়। এরপরই শুরু হয় ইতিহাসের অন্যতম নারকীয় এক হত্যাযজ্ঞ। রাটকো ম্লাদিচের নেতৃত্বে সেদিন সার্ব সৈন্যরা বসনিয়াক পুরুষদের আলাদা করে ব্রাশফায়ারে হত্যা করে গণকবর তৈরি করে। বসনিয়াক নারীদের ধর্ষণ করা হয়। প্রায় ৭ থেকে ৮ হাজার বসনিয়াক এই গণহত্যার  মুখোমুখি হয়। পূর্বাঞ্চলীয় শহর জেপা সার্বদের নিয়ন্ত্রণে আসার পর এবং সারায়েভোর এক বাজারে বোমা হামলার এই গণহত্যার বিরুদ্ধে বিশ্ব প্রতিবাদী হয়ে উঠে। জাতিসংঘের দেয়া আল্টিমেটামকে প্রত্যাখ্যান করলে সার্বদের লক্ষ্যবস্তুতে বসনিয়াক-ক্রোয়াট-ন্যাটোর সম্মিলিত বাহিনী আঘাত হানতে থাকে। জাতিসংঘের আরোপিত অর্থনৈতিক অবরোধ এবং সার্বিয়ার অর্থনীতির বেহাল দশার সাথে সার্ব সৈন্যদের পরাজয়ে যুদ্ধে পিছু হটে সার্বরা। মিলোসিভিচ যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া শান্তিপ্রস্তাবে সম্মতি দেয়। নভেম্বর, ১৯৯৫ তে যুক্তরাষ্ট্রের ওহিও রাজ্যের ডেটনে মিলোসিভিচ, ইজেতবেগভিচ এবং ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট ফ্রাঞ্জো তুজমানের উপস্থিতিতে  ক্রোয়াট-বসনিয়াক ফেডারেশন (বসনিয়া ও হার্জিগোভিনা)  এবং সার্ব প্রজাতন্ত্রের জন্ম হয়। পুরো বসনিয়া যুদ্ধে প্রায় ২ লক্ষ মানুষ নিহত হয় যার ৮০ ভাগই ছিল বসনিয়ান মুসলিম।

 

তথ্যসূত্র
https://www.britannica.com/event/Bosnian-War
https://www.google.com/amp/s/www.history.com/.amp/topics/1990s/bosnian-genocide
https://www.google.com/amp/s/www.bbc.com/bengali/news-53374681.amp

শিউলি ফুলের বিষণ্ণতার গল্প

শরতের রাতের সৌন্দর্য বলতে যে ফুলকে বোঝানো হয়, তা হলো শিউলি ফুল। তবে এ সৌন্দর্য আনন্দের নয়, বেদনার প্রতীক। শিউলি ফুলের নাকি সব সময়ই মন খারাপ থাকে। সূর্যের ওপর তার এক রাশ অভিমান। তাই তো রাতের আঁধারেই নিজেকে ফুটিয়ে তুলতে পছন্দ করে সে এবং সূর্য ওঠার আগেই লুকিয়ে ঝরে পড়ে।...

মিশরীয় সিন্ডারেলা

মিশরে তখন ১৬ তম রাজবংশের যুগ। পার্সিয়ান আক্রমনের সম্ভাবনায় দিন গুণছে মিশর। সে সময় মিশরীয় সৈন্যদের তুলনায় গ্রীক সৈন্যদের কদর ছিলো অনেক বেশি। কারণ গ্রীক সৈন্যদের দক্ষতার গল্প প্রচলিত ছিলো বিশ্ব জুড়ে। এমন সময় ফারাও এপ্রিয়েজকে হত্যা করে মিশরের নতুন ফারাও হলেন রাজবংশের...

প্রাচীন সভ্যতায় ঈশ্বরের ধারণার উৎপত্তি ও সংখ্যাগত অবনমন

যে কোন সভ্যতার প্রাচীন ইতিহাস ঘাটলেই আমরা বহু ঈশ্বর বা গডের অস্তিত্বের কথা জানতে পারি। তবে আজকের প্রেক্ষাপটে ঈশ্বর সম্পর্কে এ ধারণা অনেকটাই পাল্টেছে। কেননা বর্তমান বিশ্বে বহু ধর্মমত এখনও বিদ্যমান থাকলেও ঈশ্বরের সংখ্যার বিষয়টি কমে এসেছে। একেশ্বরবাদ কিংবা বহুঈশ্বরবাদী...

হিন্দু দেব-দেবীর ধারণা প্রাচীন মধ্য এশীয় বিশ্বাসেরই প্রতিরূপ নয় তো?

সিংহবাহনের ওপর এক হাতে চাঁদ ও এক হাতে সূর্য নিয়ে চার হাতবিশিষ্ট এক দেবী যুদ্ধবাজ ভঙ্গিমায় আসীন নিজের সন্তানদের প্রতিরক্ষার জন্য। খুব পরিচিত লাগছে তাই না? নিশ্চয়ই দেবী দুর্গার সাথে সাদৃশ্য খুঁজে পাচ্ছেন। কিন্তু এ তো দুর্গা নয়, ব্যাক্ট্রিয়ান মাতৃদেবী ‘নানায়াহ’ বা ‘ননা’...

মহাবীর কর্ণের অন্তিম যাত্রা

সূর্যদেব অস্তে চলে যাচ্ছেন। গোধূলিবেলার লালচে আলোতে আমি পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছি আমার এই জন্মের শত্রুকে। তার গান্ডিব ধরা উদ্ধত হাতে চকচক করছে অঞ্জলিক বাণ, যা আমার মস্তক ছেদ করার জন্য একটু পরেই ছুটে আসবে।পান্ডব বীর অর্জুন, যে আমার চরম শত্রু আবার আমার সহদর কনিষ্ঠ ভ্রাতা।ওই...

মেহেদী হাসান খান

মেহেদী হাসান খান ১৮ বছর বয়সের মেহেদী হাসান খান ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে ডাক্তারি পড়তে ভর্তি হলেন,কিন্তু পড়াশোনায় তার মন নাই! কিন্তু কেন? তিনি নাওয়া- খাওয়া, পড়াশোনা বাদ দিয়ে একটা ছোট্ট কম্পিউটার সম্বল করে বাংলা ভাষায় লেখার জন্য লড়াই শুরু করলেন। একটাই জেদ, বাংলা...

ঢাকার হারিয়ে যাওয়া সংগ্রহশালা- বলধা জাদুঘর

১৯২৫ সালের ঢাকা; ফুলবাড়িয়া রেলস্টেশন থেকে বেরিয়ে রেললাইন ধরে নারায়ণগঞ্জের দিকে কিছুদূর এগুলে উয়ারি। উয়ারির শেষ সীমানায় এক সরু রাস্তা চলে দিয়েছে নারিন্দার দিকে। সরু সেই রাস্তার একপাশে বহু পুরাতন খ্রিস্টান কবরখানা আর তার বিপরীতে উঁচু পাচিলঘেরা কম্পাউন্ডের ভেতর দোতলা...

সুন্দরবন ধ্বংসের ইতিবৃত্ত

ব্রাজিলের চিরসবুজ বিস্তৃত এমাজন (Amazon Rainforest) গহীন বনাঞ্চলকে বলা হয় বিশ্বের ফুসফুস, তেমনি সুন্দরবনও বাংলাদেশের শ্বাস-প্রশ্বাসের এক অঙ্গ। এই ঘন বনাঞ্চল বাংলাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগেরও এক প্রতিরোধ। সুন্দরবনকে ঘিরে আশেপাশের জনপদে ছড়িয়ে আছে অনেক পৌরাণিক কাহিনী। এমনি...

ঢাকার এক বিস্মৃত চিকিৎসক

দিনটি ছিল ১৫ই নভেম্বর ১৮৬৪ সাল, মঙ্গলবার। সন্ধ্যা নামতে আর বেশি দেরি নেই। নারিন্দার খ্রিস্টান কবরস্থানের দীর্ঘ ঘাসের ঝোপে অবশ্য তখনই অন্ধকার নেমে এসেছে। সন্ধ্যা হলে এই এলাকায় সহজে কেউ পা বাড়ায় না। কিন্তু সেদিন পুরো এলাকা লোকে লোকারণ্য- আছে ইংরেজ, আরমেনিয়, দেশী সব...

ঢাকার ঐতিহাসিক তারা মসজিদ

পূর্বকথাঃ উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ের কথা। আরমানিটোলার মহল্লা আলে আবু সাঈদে তখন এক প্রভাবশালী জমিদারের বাস, নাম- মীর্জা গোলাম পীর। দাদা মীর আবু সাঈদ  ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির রমরমা যুগে তুরস্ক থেকে এসে ঢাকায় থিতু হয়েছিলেন। মীর্জা গোলাম পীরের আরেক নাম মীর্জা আহমেদ জান। তবে...