বিভিন্ন ঐতিহাসিকের গবেষণা অনুযায়ী, মিশরীয় সভ্যতাই প্রথম ধর্মঘট দেখেছিল। খ্রিস্টপূর্ব ১২ শতকের মাঝামাঝি সময় এই ঘটনা ঘটে। সেই সময় ফ্যারাওয়ের আসনে ছিলেন তৃতীয় রামেসিস। মিশরের বিভিন্ন স্থাপত্য মূলত ক্রীতদাসদের দিয়ে তৈরি করানো হলেও, কিছু ক্ষেত্রে বিভিন্ন ক্রাফটম্যানদেরও সেই কাজে নিযুক্ত করা হত। প্রাচীন মিশরের দায়ের এল-মেদিনাতে এইরকমই একটি স্থাপত্য তৈরির সময় ধর্মঘটে বসেন কর্মীরা। তাঁদের মুখে ছিল সেই সনাতন দাবি— “খাদ্য চাই, রেশন চাই, বস্ত্র চাই”।

সেই সময়কার একটি প্যাপিরাস থেকেও এই কথা জানা যায়। তাঁদের ঠিকঠাক রেশন দিতে হবে, খাবার দিতে হবে— এই দাবিতেই কর্মীরা নিজেদের সরঞ্জাম ফেলে দেন, এবং কাজ বন্ধ করে মাটিতে বসে পড়েন। পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথমবার এমন ঘটনা ঘটে। রাষ্ট্রশক্তির বিরুদ্ধে, শাসকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের রাস্তা বেছে নিয়েছিলেন শ্রমজীবীরা। পরে তাঁদের কী হয়েছিল, সেটা জানা না গেলেও, খানিক অনুমান করা যায়। কিন্তু যে রাস্তা খুলে দিয়ে গিয়েছিলেন ওই শ্রমিকরা, তা আজও দেখে যাচ্ছে গোটা বিশ্ব। অপ্রতিরোধ্য আন্দোলনই সফলতার কারণ l